কথা না বলতে বলতে কথা বলা প্রায় ভুলেই যাচ্ছি আমি,
কথা বললে অকারণে খুব বেশি ভুল হয় আমার,
ভুলগুলো কোন শ্লোগানের ভাষা পায় না,
চোখের পাতায় বারুদের মতো জ্বলে ওঠে না বিপ্লব।
যে তুমুল ডাকে অযুতকোটি হাতের মুঠোয় অংকুরিত হয়েছিল আগুন,
প্রদীপ্ত হয়েছিল স্বপ্নময় আকাশ,
তা এখন অসুস্থ কথার ভেতরে শুয়ে থাকা একখন্ড বিষন্নতা মাত্র।
আমি সেই বিষন্নতা ছুঁয়ে
অনিচ্ছায় যেসব ভুল করে থাকি
তার নাম বিপ্লব নয়, যুদ্ধ নয়, কিংবা বিজয় ও নয়।
আমার ভুলের ভেতরে শুয়ে থাকে কোটি কোটি নীরব স্বপ্ন,
আর অজস্র স্বপ্নধর্ষক শকূনের নীল চোখ।
আমি কথা বললেই শকূনেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে নরম দেহে,
আমার ঝড়জল মাপা অপরাধী আঙুলে বেজে ওঠে সমুদ্রের সর্বনাশ,
বাকরুদ্ধ হয়ে যাই নিদারুণ অন্ধকারে।
প্রতিদিন হাজারটা শালিকের বেদনা স্পর্শ করে
আমি অপেক্ষায় থাকি আরেকটি তুমুল ডাকের,
আমার অন্তরে যে গর্বিত ধ্বনি সুতো কাটে অহর্নিশি,
আমি তার অপেক্ষায় থাকি কথা না বলে।
অপেক্ষায় থাকা নির্বাক ধ্বনিগুলো আমার কন্ঠে নির্জীব পড়ে থাকে,
আর আমি ধীরে ধীরে কথা বলা ভুলে যেতে থাকি।
কবিতায় অভিনন্দন প্রিয় কবি। আশা করবো ভালো ছিলেন।
ঠিক ভালো ছিলাম না। ব্যস্ততা, অসুস্থতা সব মিলিয়েই ছিলাম । কবিতার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আমি কথা বললেই শকূনেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে নরম দেহে,
আমার ঝড়জল মাপা অপরাধী আঙুলে বেজে ওঠে সমুদ্রের সর্বনাশ,
বাকরুদ্ধ হয়ে যাই নিদারুণ অন্ধকারে——–অসাধারণ প্রকাশ
আপনার ভালো লাগাতে ধন্য হলাম । কৃতজ্ঞতা অশেষ।
প্রথম অনুচ্ছেদে একখন্ড বিষন্নতা পড়ে নিজেই কিছুটা বিষন্ন হয়েছি। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে এর বিপরীত চিত্র। তৃতীয় অনুচ্ছেদে আবার বিষন্নতার ছায়া দেখে অনুচ্ছেদটা পড়া অসম্পূর্ণ রেখেই শেষ অনুচ্ছেদে চলে গেলাম। ওখানে অশেষ মুগ্ধতায় মন ভরে গেল।খালি জ্যোৎস্নার চেয়ে মেঘে ঢাকা আধেক জ্যোৎস্না আমাকে বেশি আন্দোলিত করে। যেকোন কবিতাকে যদি খালি জ্যোৎস্না বলি শেষের অনুচ্ছেদটা পড়ে মনে হল এই কবিতা মেঘের আড়ালে উঁকি দেয়া একটা নীলরঙা জ্যোৎস্না; শব্দে শব্দে মুগ্ধতা নিয়ে আমার জানালায় নেমে এসেছে। পরে প্রথম অনুচ্ছেদের সাথে দ্বিতীয় এবং এইভাবে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম যোগ করে দেখলাম এটা আসলে মধ্যরাতের পাহাড় দিয়ে বয়ে যাওয়া একটা বিষন্ন ঝর্ণা যা কেবল ঈশ্বরই বানাতে পারেন।
এত চমৎকার একটা মন্তব্যে আনন্দিত হবার চেয়ে কেমন লজ্জাবোধ হচ্ছে। অতি সাধারণ বলতে গেলে আবোল তাবোল লেখায় ও যে কারো এতটা মনোযোগ পাওয়া যেতে পারে তা ছিল কল্পনাতীত।
কবিতার প্রতি অনুচ্ছেদের বিশ্লেষণ আমাকে মোহিত করেছে। অনুরোধ থাকবে সুক্ষ সমালোচনার যা লেখাকে শাণিত করতে সহায়তা করে। ধন্যবাদ।
ভাল লাগলো
অশেষ ধন্যবাদ।
মনে হলো অনেক কাল পর যেন আপনার সাথে দেখা। লেখাও পড়লাম। আপনাকে মিস করেছি দিদি ভাই। অসুস্থ্য ছিলেন জেনে দুঃখ পেলাম। ফিরেছেন এর চেয়ে আনন্দের কি আছে। থাকুন না আমাদের সাথে।
আপনার মন্তব্য না পেলে দিদিভাই মনে হয় লেখাটা অসম্পূর্ণ।
সাংসারিক ব্যস্ততা সবসময়ই পিছু টেনে ধরে। তবুও সাথে আছি ভাই।
"অপেক্ষায় থাকা নির্বাক ধ্বনিগুলো আমার কন্ঠে নির্জীব পড়ে থাকে"— সুন্দর প্রকাশ দিদি!