শত জনম পরে,
রৌদ্র ঝিলমিল আকাশ নীলে
—প্রজাপতি করে খেলা
শুভ্রশঙ্খে সূর্যপ্রদ্বীপ জ্বেলে।
–
ঝাউয়ের কাননে শিরীষের ডালে
—দীপ্তোময়ী মৌনচঞ্চলা
ভেসে যায় মন নদীর জলে।
–
সাঁঝ-আঁধারে বিজন তারার মাঝে
——দেখি ধূম্রের কণ্ডুলী
মনে সন্ধ্যা আরতি হয়ে বাজে।
–
শতরুপে হৃদয় মন্দির সেজে
——–ক্ষণেই যায় চলি
ভেসে ঝরা পালকের মাঝে।
–
কুহেলি ঝরা পলাতকা প্রিয়া মোর
——নিশীথের গাঢ় মরীচিকা
আঁখি মেলে রয়েছ কোন্ দিগন্ত-সুদূর।
–
দেখা দাও যে তুমি একবার
——মুছে রুধির লিপিকা
ছোট্ট মনে এই তো বাসনা আমার।
–
স্বপন সুরার মোহিত ঘোরে
–তোমার প্রতিমা গড়ি,
নক্ষত্র খচিত মৃত্যুর পাথারে।
–
অপরুপ রুপ দেখে বারে বারে
—পাপড়ির মতন ঝরি,
আপ্লুত উত্সবে হৃদয় কেঁদে মরে।
–
দূর-দিগন্তের ঐ নীল সীমানায়
——–শত জনম পরে
চকিত দু’টি আঁখি তোমায় চায়।
–
রক্তিম চন্দন মেখে শত দলের নীড়ে
—অশ্রুহীন হাসিতে
আজ ও খেলা কর অলিদের ভিঁড়ে।
–
13/10/15
3 thoughts on “শত জনম পরে”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
আপনার লিখা গুলো পড়তে আমার দারুণ লাগে প্রিয় কবি। লিখাকে এগিয়ে নিন।
ভালো লিখেছেন কবি সুজন।
আবৃতির মতো কবিতা উপহার কবি সুজন ভাই।