১৬৫০ সালের দিকে মোঘল আমলে যখন মীর জুমলা বাংলার সুবাদার ছিলেন তৎকালীন সময়ে সমৃদ্ধ শহর ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকাকে নদী পথে আগত মগ ও পর্তুগিজ শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত করতে ও জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে রক্ষ্যা করার জন্য নদীর তীরে ৩টি দূর্গ তৈরি করা হয়। এই তিনটি দূর্গকে “জলদূর্গ” বলা হতো। ৩টি জলদূর্গের ২টি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার দুই পাড়ে। একটি শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পাড়ে “হাজীগঞ্জ দূর্গ”। অন্যটি শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাড়ে “সোনাকান্দা দূর্গ”। ৩য়টি মুন্সীগঞ্জের “ইদ্রাকপুর দূর্গ”।
সোনাকান্দা দূর্গ
হাজীগঞ্জ দূর্গ
ইদ্রাকপুর দূর্গ
প্রথম তিনটি ছবি বিভিন্ন সময়ে আমার নিজের তোলা। শেষ ছবিটি গুগল ম্যাপ স্যাটেলাইট ভিউ থেকে তৈরি করেছি আমি।
পথের হদিস :
ঢাকা থেকে বাসে বা ট্রেনে চলে আসুন নারায়ণগঞ্জ। বাস বা ট্রেন স্টেশন থেকে রিক্সা নিয়ে চলে আসুন হাজীগঞ্জ কেল্লা। হাজীগঞ্জ কেল্লা দেখা শেষে খেয়া নৌকায় শীতলক্ষ্যা পার হয়ে আবার রিক্সা নিয়ে চলে যান সোনাকান্দা দূর্গে।
ঢাকা থেকে বাসে চলে আসুন মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর। মুক্তারপুর থেকে রিক্সা বা অটোরিক্সায় ইদ্রাকপুরের কেল্লা যাওয়া যায়।
মগ ও পর্তুগিজ শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত করতে ও জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে কেবল নিজেদের রক্ষা করার কতই না প্রস্তুতি ছিলো সুবেদার ভাই সাহেবদের। ট্যাক্স অফিসকে বাঁচানোর কত কৌশল !! অথচ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে এদের কাউকে তেমন ভূমিকা ছিলো বলে আমার অন্তত জানা নেই।
ধন্যবাদ প্রিয় দস্যু ভাই। শুভ সকাল।
তাদের নেশা ছিল ধনদৌলত নিজ হস্তগত করা এবং ফেরার পথে সব সাথে করে নিয়ে যাওয়া।
এই তো সঠিক বলেছেন।
দর্শনীয় জায়গা গুলোতে যেতে চাইলে আপনার দেয়া ইনফরমেশন অনেকের কাজে লাগবে। শুভেচ্ছা জানবেন ছবি দা।
এই সমস্ত পোষ্টের ক্ষেত্রে আমি চেষ্টা করি যাওয়ার ব্যবস্থা সম্পর্কে সামান্য তথ্য দিতে।
ছবি গুলোন তারিফ আমি বরাবরই করি। আমার কাছে ভীষণ পছন্দ হয় ভাই।
আমার কোন রকমে তোলা ছবি, ভালো লাগাটা আপনার গুণ, ছবির না।