মরুভূমির জলদস্যু এর সকল পোস্ট

3 - Kadam Rasul Dorga (10)

ঝটিকা সফরে নারায়ণগঞ্জ – কদম রসুল দরগাহ

গত বছর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জ সফরে। সদস্য আমরা এক পরিবারের চারজন। উদ্দেশ্য ছিল নারায়ণগঞ্জের কিছু প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা। সেই উদ্দেশ্যে আমরা সকাল সকাল বেরিয়ে যাই বাড়ি থেকে। বাড্ডা থেকে আসমানী পরিবহনের বাসে ১ ঘণ্টায় চলে আসি মদনপুর চৌরাস্তায়। রাস্তা পার হয়ে সকালের নাস্তা করে নিয়ে একটা সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ করি ৩০০ টাকায় গোটা আটেক স্থানে যাবো বলে।

প্রথম লক্ষ্য ছিল বন্দর মসজিদ (মিলের মসজিদ) বলে একটি পুরনো ৩ গম্বুজ মসজিদ দেখার। কিন্তু সেটি খুঁজে বের করতে না পেরে চলে যাই কাছাকাছি থাকা ১নং ঢাকেশ্বরী দেব মন্দিরে। মন্দিরটি দেখে আমরা চলে আসি নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জে অবস্থিত T Hossain House এর সামনে। শত বছররে পুরনো কিন্তু এখনো ঝকঝকে চমৎকার বাড়িটি দেখে আমরা চলে আসি “কদম রসুল দরগা”।

নারায়ণগঞ্জের একটি চমৎকার যায়গা হচ্ছে কদম রসুল দরগা। নারায়ণগঞ্জ শহরের বিপরীত দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে নবীগঞ্জে অবস্থিত কদম রসুল দরগাহ। চমৎকার এই দরগাহটিতে রয়েছে আশ্চর্য একটি জিনিস। কথিত আছে এখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর কদম মোবারকের ছাপ সংবলিত একটি পাথর রয়েছে। এর জন্যই দরগাহ এর নামকরণ হয়েছে কদম রসুল দরগাহ। একটি সুউচ্চ স্থানে কদম রসুল দরগাহ অবস্থিত।

এখানে দেখতে পাবেন বিশাল উঁচু একটি প্রবেশ তোড়ন। চমৎকার কারুকাজ করা সুন্দর সুউচ্চ এই স্থাপনা দেখে মনে হবে একটি সুন্দর মসজিদ বা দরগা। আসলে এটি একটি প্রবেশ তোড়ন। অনেকগুলি সিঁড়ি ডিঙ্গিয়ে আপনাকে উঠতে হবে উপরে। এই তোড়নটি মোটামুটি পাঁচতালা দালানের উচ্চতার সমান। সিঁড়ি দিয়ে উঠার আগে জুতা খুলে হাতে নিয়ে নিতে ভুলবেন না।

তোড়ন পার হয়ে ভিতরে ঢুকে দেখবেন উত্তর দিকে রয়েছে একটি মসজিদ আর দক্ষিণ দিকে আছে একটি কবরস্থান যেখানে রয়েছে ১৭টি পাকা কবর। এই দুইয়ের মাঝে আছে ছোট্ট একটি সাদা শ্বেতপাথরের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মাজার। এখানেই রয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর কদম মোবারকের ছাপ সংবলিত পাথরটি। বড়সড় একটি খড়ম আকৃতির কালো পাথর এটি। আগে সব সময়ই দেখতে চাইলে দেখাতো কিন্তু এখন নির্দিষ্ট কিছু দিনেই শুধু কাচের বাক্স থেকে বের করে দেখায়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর কদম মোবারকের ছাপ। অবশ্য সত্যিই এটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর কদম মোবারকের ছাপ কিনা সেটা নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। আমাদের আলোচ্য বিষয় সেটি নয়। বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যাপার। এখানে এই পাথরটি গোলাপজল মিশ্রিত পানির মধ্যে চুবিয়ে রাখা হয়, আর দর্শনার্থীদের একটি গ্লাসে করে সেই পানিয় পান করতে দেয়া হয়।

আগেই বলেছি মাজারের পাশে রয়েছে কবরস্থান। কবরস্থানের ভিতরে রয়েছে বিশাল বড় কেটি কাঠ গোলাপের গাছ। সেই কাঠগোলাপের গাছের একটি ডালে মহিলারা আজমির শরীফের লাল-হলুদ সুতা বাধেন কোন মানত করে। অনেক সুতা বাঁধা আছে, আরোও বাঁধা চলছে। কোন একটা মনোবাসনা পূরণের নিয়ত করে এই সুতো বাঁধা হয়। তাদের বিশ্বাস এতে করে তাদের সেই মনোবাসনা পূরণ হয়ে যাবে। কত বিচিত্র মানুষের মন।

মনে রাখবেন, আরবি সনের ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখ থেকে ১৫দিন ব্যাপী বিশাল এক মেলা বসে এখানে। এই কদম রসুল দরগার কাছেই আরেকটি মাজার রয়েছে, যেটি হানিফ চিস্তির মাজার নামে পরিচিত।

কথিত আছে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মেরাজের রাত্রে বোরাকে উঠবার সময় বেশকিছু পাথরে তার পায়ের ছাপ পরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পাথরটি আছে জেরুজালেমে। তাছাড়া আর কিছু পাথর রয়েছে ইস্তাম্বুল, কায়রো এবং দামেস্কতেও। আমাদের বাংলাদেশেও এমন দুটি পাথর রয়েছে, যার একটি আছে চট্টগ্রামে আর অপরটি রয়েছে নবীগঞ্জ কদম রসুল দরগায়।

মির্জা নাথান ১৭শ শতকে রচিত তার বিখ্যাত “বাহির-স্থানই গায়েবী” বইটিতে সর্বপ্রথম নবীগঞ্জের এই পাথরটির কথা উল্লেখ করেন। সম্রাট আকবরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণাকারী আফগান সেনাপ্রধান মাসুম খান কাবুলি, পদচিহ্ন সংবলিত এ পাথরটি একজন আরব বণিকের কাছ থেকে কিনেছিলেন। তার অনেক পরে ঢাকার জমিদার গোলাম নবী ১৭৭৭-১৭৭৮ সালে নবীগঞ্জের একটি উঁচু স্থানে একটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট দরগা নির্মাণ করে সেখানে পবিত্র সেই পাথরটি স্থাপন করেন। পরে কদম রসুল দরগার প্রধান ফটকটি গোলাম নবীর ছেলে গোলাম মুহাম্মদ ১৮০৫-১৮০৬ সালে নির্মাণ করেন।

সতর্কতাঃ
১। দরগার সামনের রাস্তায় অনেকেই দোকান সাজিয়ে বসেছে আগরবাতি, মোমবাতি, গোলাপজল, আতর, সুতা ইত্যাদি নিয়ে। চাইলে আপনি সেখান থেকে কিনতে পারেন, তবে কিনতেই হবে বা দরগায় এগুলি আপনাকে দিতেই হবে তা কিন্তু নয়।
২। জুতা খুলে মাজারে প্রবেশ করতে হয়।
৩। জুতা খুলে অবশ্যই হাতে করে নিয়ে যাবেন। বাইরে রেখে গেলে ফিরে এসে নাও পেতে পারেন।তবে এখন জুতা রাখার জন্য আলাদা ঘর ও লোক রাখা হয়েছে।
৪। ভেতরে প্রকাশ্য গঞ্জিকা সেবন হয়ে থাকে কখনো সখনো, মেলাতে অবশ্যই। তাই অপরিচিতদের সাথে না মেশাটাই ভালো সেখানে। বর্তমানে গঞ্জিকা সেবন কমেছে।
৫। কোন খাদেম বা অন্য কাউকে পাত্তা দেয়ার দরকার নেই, নিজের মত করে দেখে চলে আসুন। যায়গাটা নিরাপদ, অন্যান্য মাজারের মত টাউট বাটপারের ছড়াছড়ি নেই। তবুও সাবধান থাকতে কোন দোষ নেই।


দরগাহের সামনেই আছে কয়েকটি পুরনো বাড়ি।


দরগাহের সিঁড়িতে আমার দুই কন্যা।

জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°37’49.3″N 90°31’11.9″E

পথের হদিস : ঢাকা থেকে বাসে মদনপুর, মদনপুর থেকে শেয়ার সিএনজি বা ইজি বাইকে কদম রসুল দরগাহ এর সামনে।
তাছাড়া বাস বা ট্রেনে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে রিকসা নিয়ে চলে আসা যায় কদম রসুল দরগায়।

Sunset_01_ (4)

বিদায় বেলায় – ০১

ভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় বেড়াতে গিয়ে বেশ কিছু সূর্যাস্তের ছবি আমি তুলেছি আদিতে, এখনো তুলছি সুযোগ পেলেই। সেই সমস্ত সূর্যাস্তের ছবি গুলি বিভিন্ন সময় ফেইসবুকে শেয়ার করেছি। সেখান থেকে ৫টি বিদায়বেলার ছবি রইলো।

১। আলোক গোলক

একদা গিয়ে ছিলাম যমুনার তীরে, বিদায় বেলায় সূর্য ঢলে পরে পশ্চিমে।

ছবি তোলার স্থান : যমুনা সেতু।
ছবি তোলার তারিখ : ২৩/৫/২০১৪ ইং

২। বিদায় বেলার আগেই

ছবি তোলার স্থান : আশ্রম, নাগরি, কালীগঞ্জ।
ছবি তোলার তারিখ : ২১/০২/২০১৬ ইং

৩। লুকচুরি

ছবি তোলার স্থান : কাপ্তাই লেক, রাঙ্গামাটি, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৭/০১/২০১৪ ইং

৪। বিদায় বেলার খেলা

ছবি তোলার স্থান : লাবুনী পয়েন্ট, কক্সবাজার।
ছবি তোলার তারিখ : ১৮/০৫/২০১৪ ইং

৫। আড়ালে

পাহাড়ের উপড়ে দাঁড়িয়ে রক্তিম রং ছড়িয়ে সূর্যের বিদায় দেখার সৌন্দর্যই আলাদা।

ছবি তোলার স্থান : সাজেক, রাঙ্গামাটি, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ১৩/১০/২০১৬ ইং

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ৫

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন পঞ্চম পর্বের ১৪টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

৪১ : বুদ্ধনারকেল

ছবি – নিজ

৪২ : বর্মি মইলাম
bRW0ozKh
ছবি – নেট

৪৩ : মনিরাজ

ছবি – নিজ

৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম

ছবি – নেট

৪৫ : রিটা

ছবি – নেট

৪৬ : রেড ভান্ডা

ছবি – নেট

৪৭ : লেডিস স্লিপার

ছবি – নেট

৪৮ : লতা বট

ছবি – নেট

৪৯ : সিংড়া

ছবি – নেট

৫০ : সিভিট

ছবি – নেট

৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম

ছবি – নেট

৫২ : সমুন্দরফল

ছবি – নেট

৫৩ : হাড়জোড়া

ছবি – নিজ

৫৪ : হরিনা

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ৪

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন চতুর্থ পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

৩১ : পুদিনা

ছবি – নেট

৩২ : প্রশান্ত আমুর

ছবি – নেট

৩৩ : পশুর
eeroAE0h
ছবি – নেট

৩৪ : বইলাম

ছবি – নেট

৩৫ : বালবোফাইলাম

ছবি – নেট

৩৬ : বাঁশপাতা

ছবি – নিজ

৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম

ছবি – নেট

৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম

ছবি – নেট

৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম

ছবি – নেট

৪০ : বড় ভেন্ডপসিস

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ৩

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন তৃতীয় পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

২১ : জহুরী চাঁপা
1nzSJRLh
ছবি – নেট

২২ : টালি

ছবি – নেট

২৩ : ডুথি

ছবি – নেট

২৪ : তালিপাম

ছবি – নিজ

২৫ : তেজবহুল

ছবি – নেট

২৬ : তমাল

ছবি – নিজ

২৭ : ত্রিকোণী বট

ছবি – নেট

২৮ : ধুপ

ছবি – নিজ

২৯ : নীল রাস্না

ছবি – নেট

৩০ : পাদাউক

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ২

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন দ্বিতীয় পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

১১ : কুম্ভি

ছবি – নিজ

১২ : কুর্চি

ছবি – নেট

১৩ : কর্পূর

ছবি – নিজ

১৪ : কুসুম বা জায়না

ছবি – নিজ

১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট

ছবি – নেট

১৬ : খলশী

ছবি – নেট

১৭ : গয়া অশ্বথ

ছবি – নেট

১৮ : গলগল

ছবি – নেট

১৯ : চুন্দুল

ছবি – নেট

২০ : জইন

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

KB-01- 00 - Copy

কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক

আমাদের অনেকেই কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়া ফুল দুটিকে গুলিয়ে ফেলেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন –
যে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং লাল সেটির নাম কৃষ্ণচূড়া“, আর
যে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং হলুদ সেটির নাম রাধাচূড়া“।
আবার অনেকে কনকচূড়াকে মনে করেন রাধাচূড়া
যদিও কনকচূড়া দেখতে রাধাচূড়া বা কৃষ্ণচূড়া কোনটার মতই নয়। আসলে তিনটি ফুলই আলাদা আলাদা ফুল।

কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামDelonix regia
রাধাচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামCaesalpinia pulcherrima
কনকচূড়ার বৈজ্ঞানিক নামPeltophorum pterocarpum
কৃষ্ণচূড়া চেনার উপায় :

কৃষ্ণচূড়া গাছ সবাই চেনে, নতুন করে চেনানোর কিছু নেই। শুধু যেখানে ভুল হয় সেটা হচ্ছে ফুলের রং দেখে তাকে কৃষ্ণচূড়া থেকে রাধাচূড়ায় ঠেলে দিয়ে। এখানে মনে রাখতে হবে ফুলের রং লাল, কমলা, হলুদ যাই হোকনা কেন সেটি কৃষ্ণচূড়াই এবং কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় বড় উদ্ভিদ। কৃষ্ণচূড়ার ফুলের মঞ্জুরি অনেকটা থোকার মত হয় এবং ফুলের আকার বেশ বড়।

রাধাচূড়া চেনার উপায় :

রাধাচূড়াকে ছোট কৃষ্ণচূড়াও বলা হয়। কৃষ্ণচূড়া গাছের ছোট সংস্করণ বলা চলে রাধাচূড়া গাছকে। কৃষ্ণচূড়ার মতো রাধাচূড়ার ফুলের রং লাল, কমলা, হলুদ হয়, তবে রাধাচূড়া একটি ছোট উদ্ভিদ। ঢাকার সড়ক ডিভাইডারে একে প্রচুর দেখা যায়। রাধাচূড়ার ফুলের মঞ্জুরি অনেকটা পেগোডার মত উপরের দিকে উঠে যায়। ফুলের আকার কৃষ্ণচূড়ার চেয়ে ছোট।

কনকচূড়া চেনার উপায় :

কনকচূড়ার গাছ কৃষ্ণচূড়ার মতোই একটি বৃক্ষ জাতীয় বড় উদ্ভিদ। কনকচূড়া ফুলের রং হলুদ। ডালের আগায় কয়েকটি আলাদা আলাদা ফুলের মঞ্জুরি ঊর্ধ্বমুখী হয়ে বের হয়। ফুলের কলি গুলি থাকে গোলগোল। মঞ্জুরি নিচ থেকে ফুলফোটা শুরু হয়। এই ফুল দেখতে কৃষ্ণচূড়া বা রাধাচূড়ার মতো হয় না।

এক সাথে ৩টি ফুলেরই ছবি দেয়া হল। চেনার জন্য।

উপরের দুটি ছবি কৃষ্ণচূড়ার, মাঝে দুটি ছবি রাধাচূড়ার। নিচের দুটি ছবি কনকচূড়ার। প্রতিটি ফুলের ছবি আমার নিজের তোলা।

KB-01- 00 - Copy

ঐতিহ্য সফর : আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ

২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখ শুক্রবার ফেসবুক গ্রুপ Save the Heritages of Bangladesh তাদের ২৫তম ইভেন্ট পরিচালনা করছিলো। অন্য সব সদস্যদের সাথে আমি আমার বড় কন্যা সাইয়ারাও ঐদিন অংশ নিয়েছিলাম ডে ট্যুরে আড়াইহাজার ও সোনারগাঁয়ের কিছু প্রাচীন জমিদার বাড়ি, মন্দির, মঠ, মসজিদ ঘুরে দেখার জন্য। এখানে বলে রাখা ভালো এই ট্যুর গুলিতে শুধু প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যগুলি দেখার তালিকায় স্থান পায়। ঐতিহ্য সফরের ঐদিনে আমরা যে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যগুলি দেখেছিলাম তা হচ্ছে –

১। বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি – আড়াইহাজার

২। বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ির পিছনে অন্য একটি বাড়ি

৩। বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ির কাছেই অন্য একটি প্রাচীন বাড়ি

৪। পালপাড়া মঠ – আড়াইহাজার

৫। বীরেন্দ্র রায় চৌধুরী জমিদার বাড়ি – আড়াইহাজার

৬। মহজমপুর শাহী মসজিদ – সোনারগাঁ

৭। লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম – বারদী

৮। জ্যোতি বসুর বাড়ি – বারদী

৯। পথের ধারে নাম না জানা মঠ – সোনারগাঁ

১০। ঠাকুর বাড়ি যাবার পথে ছোট মঠ – সোনারগাঁ

১১। ঠাকুর বাড়ি – সোনারগাঁ

১২। ঠাকুর বাড়ি মঠ – সোনারগাঁ

১৩। দুলালপুর পুল – সোনারগাঁ

১৪। পানাম নগর – সোনারগাঁ

১৫। সর্দার বাড়ি – শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর

১৬। গোয়ালদি মসজিদ – সোনারগাঁ

১৭। আব্দুল হামিদ মসজিদ – সোনারগাঁ

আগামীতে আবার দেখা হবে অন্য কোন অঞ্চলের প্রাচীন কোন স্থাপত্যের সামনে।

সফর সংঙ্গী সকলে

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা – ১

বাংলাদেশে ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদ আছে যাদের ইচ্ছাকৃতভাবে উঠানো, উপড়ানো, ধ্বংস বা সংগ্রহ করা নিষিদ্ধ। আপনি যদি তাদে ইচ্ছাকৃতভাবে উঠান, উপড়ান, ধ্বংস বা সংগ্রহ করেন তাহলে আপনার ১ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারেন। এই একই অপরাধ যদি আপনি দ্বিতীয়বার করে তাহলে আপনার এই দণ্ড দ্বিগুণ হবে। এই ৫৪ প্রজাতির গাছগুলিকে বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদ বলা হয়

৫টি পর্বে এই ৫৪টি গাছ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এবার দেখেন প্রথম পর্বের ১০টি গাছের কতটিকে আপনি চিনেন।

১ : অনন্তমূল

ছবি – নেট

২ : উদাল
R8tb6slh
ছবি – নিজ

৩ : উদয়পদ্ম

ছবি – নেট

৪ : উরি আম

ছবি – নেট

৫ : উর্বশী

ছবি – নিজ

৬ : কাঁটালাল বাটনা

ছবি – নেট

৭ : কামদেব

ছবি – নিজ

৮ : কির্পা

ছবি – নেট

৯ : কুঁচ

ছবি – নেট

১০ : কোথ

ছবি – নেট

সম্পূর্ণ তালিকা
১ : অনন্তমূল
২ : উদাল
৩ : উদয়পদ্ম
৪ : উরি আম
৫ : উর্বশী
৬ : কাঁটালাল বাটনা
৭ : কামদেব
৮ : কির্পা
৯ : কুঁচ
১০ : কোথ
১১ : কুম্ভি
১২ : কুর্চি
১৩ : কর্পূর
১৪ : কুসুম বা জায়না
১৫ : খাসি পিচার প্লান্ট
১৬ : খলশী
১৭ : গয়া অশ্বথ
১৮ : গলগল
১৯ : চুন্দুল
২০ : জইন
২১ : জহুরী চাঁপা
২২ : টালি
২৩ : ডুথি
২৪ : তালিপাম
২৫ : তেজবহুল
২৬ : তমাল
২৭ : ত্রিকোণী বট
২৮ : ধুপ
২৯ : নীল রাস্না
৩০ : পাদাউক
৩১ : পুদিনা
৩২ : প্রশান্ত আমুর
৩৩ : পশুর
৩৪ : বইলাম
৩৫ : বালবোফাইলাম
৩৬ : বাঁশপাতা
৩৭ : বাসন্তীরঙা ডেনড্রোবিয়াম
৩৮ : বিশালপত্রী ডেনড্রোবিয়াম
৩৯ : বেসক ডেনড্রোবিয়াম
৪০ : বড় ভেন্ডপসিস
৪১ : বুদ্ধনারকেল
৪২ : বর্মি মইলাম
৪৩ : মনিরাজ
৪৪ : মহা ডেনড্রোবিয়াম
৪৫ : রিটা
৪৬ : রেড ভান্ডা
৪৭ : লেডিস স্লিপার
৪৮ : লতা বট
৪৯ : সিংড়া
৫০ : সিভিট
৫১ : সিম্বিডিয়াম অ্যালোয়ফোলিয়াম
৫২ : সমুন্দরফল
৫৩ : হাড়জোড়া
৫৪ : হরিনা

সূত্র : বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২

1pirate - Copy

বান্দরবান ভ্রমণ – শৈলপ্রপাত

২৫ তারিখ রাতে ঢাকা থেকে ““খাগড়াছড়ির পথে…”” রওনা হয়ে ২৬ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়িতে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে রেস্ট নিয়ে আমাদের “খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – শুরু” হয় “আলুটিলা গুহা” দিয়ে। আলুটিলা গুহা দেখে আমরা চলে যাই রিছাং ঝর্ণা দেখতে। ঝর্ণা দেখা শেষে আমরা যাই প্রাচীন শতবর্ষী বটবৃক্ষ দেখতে। সেদিনের মত শেষ স্পট ছিল আমাদের ঝুলন্ত সেতু দেখা।

পরদিন ২৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটির দিকে রওনা হই একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে। পথে থেমে দেখে নিই “অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”। ২৭ তারিখ দুপুরের পরে পৌছাই রাঙ্গামাটি। বিকেল আর সন্ধ্যাটা কাটে বোটে করে কাপ্তাই লেক দিয়ে “সুভলং ঝর্ণা” ঘুরে।

২৮ তারিখ সকাল থেকে একে একে দেখে এলাম ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার। দুপুরের পরে বাসে করে রওনা হয়ে যাই রাঙ্গামাটি থেকে বান্দারবানের উদ্দেশ্যে। রাতটা কাটে বান্দরবানে।

পরদিন ২৯ তারিখ সকালে একটি জিপ ভাড়া করে নিয়ে চলে যাই নীলগিরিতে। নীলগিরিতে অনেকটা সময় কাটিয়ে রওনা হই ফেরার পথে “শৈলপ্রপাত” দেখবো বলে।

নীলগিরি থেকে “শৈলপ্রপাত” যাওয়ার পথে সামনে পরবে চিম্বুক পাহার
এক সময় ধরা হতো বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম পাহাড় এই চিম্বুক। বান্দরবান শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরের চিম্বুক পাহাড় সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৫০০শ ফুট উঁচু। এখানে গিয়েছি আগে কয়েকবার তাই এবার আর কষ্ট করে উপরে সবাই উঠবো না ঠিক করেছি। শুধু স্বপন একা চিম্বুকের চুম্বক আকর্ষণে উপরে একটা ঢু মেরে আসে। এই ফাকে আমরা চিম্বুকের নিচে থাকা পাহাড়ি পেঁপে আর মালটা কিনে খেয়ে আবার রওনা হয়ে যাই। এবার থামবো বান্দরবান শহর থেকে সাড়ে ৭ কিলোমিটার দূরের শৈলপ্রপাতের সামনে। শৈলপ্রপাতটি একেবারেই পথের ধারে।


রাস্তার পাশেই আছে পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার বা বসার ছাউনি, সেখান থেকে অনেক ধাপের সিঁড়ি নেমে গেছে নিচে প্রপাতের ধারে।

বর্ষায় এই শৈলপ্রপাতের রূপ অপরূপ হয়ে ওঠে, বিশাল জলধারা ছটে চলে প্রচণ্ড গতিতে। সেই সময় এর কাছে যাওয়াটা কষ্টসাধ্য ও ভয়ংকর। পুরটা দেখার সুযোগই থাকে না তখন। পাথর থাকে মারাত্মক পিচ্ছিল, একটু এদিক-ওদিক হলেই পা পিছলে আলুর দম হতে হবে তখন।

আমরা যে সময় গিয়েছি (জানুয়ারি মাসে) তখন প্রপাতে জলের ধারা ক্ষিণ, অল্প জল পাথরের উপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ পাথরই শুকনো তাই অনায়াসেই তার উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া যায়।

প্রপাতের নিচের অংশের সমনেই একটা চওড়া ঢালু অংশ আছে, জল জমে আছে সেখানে। জলে না নামতে চাইলে এই অংশ টুকু লাফিয়ে পার হওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই (মেয়েদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব)। শীতের সময় বলে আমরা এই অংশটুকু দেখতে পেলাম, বর্ষায় এর ধারে কাছেও যাওয়া যাবে না। শীতকাল হওয়াতে শৈলপ্রপাতের পুরটা হেঁটে দেখে আসতে পারলাম আমরা।

প্রপাতের শেষ অংশে এসে বেশ কয়েক ফুট নিচে জল গড়িয়ে গিয়ে একটি মাঝারি আকারের পুকুরের মত হয়েছে, সেখান থেকে জল চলে যাচ্ছে পাহাড়ি ছড়া বা খাল হয়ে।

এই প্রপাতের জলই আশপাশের পাহাড়ি গ্রামগুলির একমাত্র জলের উৎস, এই জলই ওরা পান করে, আবার এই জলেই চলে অন্যান্য সমস্ত কাজ‌ও।

প্রপাতের উপরে রাস্তার পাশে পাহাড়িরা তাদের নিজেদের হাতে তৈরি নানা সামগ্রীর পশরা নিয়ে বসেছে পর্যটকদের জন্য, আর আছে নিজেদের উৎপাদিত ফল আর ফসলের আসরও। চাইলেই কিনে নিতে পারেন, তবে অবশ্যই দরদাম করে।

ওরা যে আনারস বলবে মধুর মত মিষ্টি সেটা আপনি মুখেরও দিতে পারবেন না, আর যে মালটা বা কমলা বলবে চিনির মত মিষ্টি সেটা খেলে আপনার মাথার উকুনগুলি মাথা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করবে। তবে ভালো পাকা পেঁপে আর কলা খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।

আগামী পর্বে দেখা হবে নীলাচলে।

1pirate - Copy

বান্দরবান ভ্রমণ – নীলগিরি

২৫ তারিখ রাতে ঢাকা থেকে ““খাগড়াছড়ির পথে…”” রওনা হয়ে ২৬ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়িতে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে রেস্ট নিয়ে আমাদের “খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – শুরু” হয় “আলুটিলা গুহা” দিয়ে। আলুটিলা গুহা দেখে আমরা চলে যাই রিছাং ঝর্ণা দেখতে। ঝর্ণা দেখা শেষে আমরা যাই প্রাচীন শতবর্ষী বটবৃক্ষ দেখতে। সেদিনের মত শেষ স্পট ছিল আমাদের ঝুলন্ত সেতু দেখা।

পরদিন ২৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটির দিকে রওনা হই একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে। পথে থেমে দেখে নিই “অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”। ২৭ তারিখ দুপুরের পরে পৌছাই রাঙ্গামাটি। বিকেল আর সন্ধ্যাটা কাটে বোটে করে কাপ্তাই লেক দিয়ে “সুভলং ঝর্ণা” ঘুরে।

২৮ তারিখ সকাল থেকে একে একে দেখে এলাম ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার। দুপুরের পরে বাসে করে রওনা হয়ে যাই রাঙ্গামাটি থেকে বান্দারবানের উদ্দেশ্যে।

বান্দরবনে পৌছতে পৌছতে রাত হয়ে যায়। দুই একটি হোটেল আগে থেকেই জানা আছে, কিন্তু সেগুলিতে পছন্দ মত রুম না মিলাতে চলে আসলাম ট্রাফিক মোড়ের কাছে হোটেল “ফোরস্টার”এ। স্বপনের ভাগ্যে এবারও কাপল বেড, এবং সবচেয়ে ভালো রুমটা।

রাতের খাওয়া বাকি এখনও। রাজার মাঠের পাশেই আছে চেনা রেস্টুরেন্ট “রি-স্বং সং”। বান্দরবনে আসলেই এখানে খাওয়া দাওয়া করি আমরা। ফ্রেশ হয়ে চলে যাই সেখানে।

রাতের খাবারের পার্ট শেষে রাতের আড্ডা শুরু হয় স্বপনের রুমে। আগামী কালের ট্যুর প্লান নিয়ে আলোচনার পরে ঠিক হয়, সকালের নাস্তা সেরে জিপ নিয়ে যাব নীলগিরি। সেখান থেকে ফেরার পথে চিম্বুক হয়ে থামবো শৈল প্রপাতে। সব ঘুরে বান্দরবন ফিরে দুপুরের খাবার শেষে বিকেলে যাব নীলাচল, সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকব সেখানে, দেখব সূর্যাস্ত।

২৯ তারিখ সকাল, নাস্তা সেরে গত রাতের প্লান মাফিক চলে আসি জিপ ষ্টেশনে। অনেক দরদাম করে একটি জিপ ঠিক করি নীলগিরি আর শৈলপ্রপাত যাওয়ার জন্য।

শহর ছেড়ে বের হতেই শুরু হয় পাহাড়ি উঁচুনিচু পথ। অনেক বার গিয়েছি এই পথে তবুও পুরনো হয় না। সব সময় তার সেই পুরনো মায়াতেই টানে।

পাহাড়ি পথ আর পথের ধানের পাহাড়ি বসতির বিচিত্র জীবন যাপনে সাক্ষী হয়ে ছুটে চলে আমাদের গাড়ি। পাহাড়ের মাঝ দিয়ে নদীর মতো একে বেকে চলেছে পথ আর পাহারের নিচ দিয়ে পথের মতো একে বেকে বয়ে চলেছে, পাহাড়ি নদী।

পথে দু যায়গায় থামতে হয়। একটি পুলিশ চেকপোস্ট, অন্যটি আর্মি চেকপোস্ট। পুলিশ চেক পোস্টে টুরিস্টদের নামতে হয় না কিন্তু আর্মি চেক পোস্টে নেমে নাম ঠিকানা ফোন নাম্বার দিয়ে আসতে হয়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখানে অবশ্যই সবাই সঠিক তথ্য দিবেন, এগুলি হয় তো আপনারই কাজে লাগবে যদি কোন সমস্যা বা দুর্ঘটনা ঘটে।


পুলিশ চেকপোস্টের সামনে আমাদের জিপ

ঘণ্টা দেড়েকের জার্নি শেষে আমরা পৌছাই আমাদের প্রথম গন্তব্য “নীলগিরি”। ঝাঁঝাঁ রোদ্দুর চার ধারে, চকচকে রদ উঠেছে। গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা চড়াই টপকে উঠে যাই ভিউ পয়েন্টের ছাউনির নিচে।

বেশকয়েকটা ভিউ পয়েন্ট আছে এখানে। সেগুলি হেঁটে হেঁটে দেখি আর সেই সাথে চলে ক্লিক-ক্লিক ক্যামেরার কাজ। ক্যামেরার চোখে আপনারাও দেখুন শীতের নীলগিরি।


এই ধরনের একটা যায়গায় থাকতে গেলে আপনার পকেটের জোড় থাকতে হবে।


নীলগিরি হেলিপ্যাড


বসবেন নাকি একটু!


ভিউপয়েন্টে সাইয়ারা


সবার সামনের ভিউপয়েন্ট


ম্যাপের সামনে সাইয়ার ও বুসরা


পূর্বদিকের ভিউপয়েন্টে, পিছনে সাঙ্গু নদ


আড্ডা

ফিরবো এবার….

আগামী পর্বে দেখা হবে শৈলপ্রপাতে।

sssssssssssssss14 - Copy

এপিগ্রাম ইন “অয়োময়” ও “অদ্ভুত সব গল্প”

হুমায়ূন আহমেদের বইগুলির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক যেটা আমার কাছে মনে হয় তা হচ্ছে “এপিগ্রাম”। বই পড়ার সময় এপিগ্রাম গুলি সহজাত ভাবেই আমার চোখে পড়ে, আর সেগুলিকে আলাদা করে টুকে রাখাটা আমার স্বভাব। শত শত বইয়ের এপিগ্রাম দুটি ডায়রিতে লেখা আছে। এখনও বই পড়ার সময় এই অভ্যাস নিরবে কাজ করে যায়। তারই ফল এই লেখাগুলি। এখানে আজ হুমায়ূন আহমেদের লেখা “অয়োময়” ও “অদ্ভুত সব গল্প” বই দুটির এপিগ্রাম শেয়ার করবো।

অয়োময় গল্পের বইটিতে মাত্র ৩টি এপিগ্রাম আমি পেয়েছি।

১। টাকা পয়সা, ক্ষমতা, এই সব বেশী থাকলে মানুষের স্বভাব ঠিক থাকে না।

২। মৃত্যুর ভয় নিয়ে বেচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।

৩। শিক্ষক সম্প্রদায়ের স্বভাবই হচ্ছে যখন তখন উপদেশ দিয়ে বেরানো।

অদ্ভুত সব গল্প গল্পের বইটিতে মাত্র ৭টি এপিগ্রাম আমি পেয়েছি।

১। শরম নারীর ভূষণ, পুরুষের কলঙ্ক।

২। সকাল বেলার সময়টা হল ব্যস্ততার সময়।

৩। সবকিছু সবাইকে বলে বেরাতে হবে তাতো না।

৪। অফিসের লোকজন অকাজের কথা বলতেই বেশি পছন্দ করে।

৫। যে যেটা অপছন্দ করে তার কপালে সেটাই জোটে।

৬। মানুষের সবচেয়ে ভাল লাগে অচেনা কোন যায়গা থেকে উপহার পেতে।

৭। মূর্খদের সবাই স্নেহ করে। বুদ্ধিমানদের কেউ স্নেহ করেনা, ভয় পায়।

A_06_ (30)

রাঙ্গামাটি ভ্রমণ – ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার

২৫ তারিখ রাতে ঢাকা থেকে ““খাগড়াছড়ির পথে…”” রওনা হয়ে ২৬ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়িতে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে রেস্ট নিয়ে আমাদের “খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – শুরু” হয় “আলুটিলা গুহা” দিয়ে। আলুটিলা গুহা দেখে আমরা চলে যাই রিছাং ঝর্ণা দেখতে। ঝর্ণা দেখা শেষে আমরা যাই প্রাচীন শতবর্ষী বটবৃক্ষ দেখতে। সেদিনের মত শেষ স্পট ছিল আমাদের ঝুলন্ত সেতু দেখা।

পরদিন ২৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটির দিকে রওনা হই একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে। পথে থেমে দেখে নিই “অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”। ২৭ তারিখ দুপুরের পরে পৌছাই রাঙ্গামাটি। বিকেল আর সন্ধ্যাটা কাটে বোটে করে কাপ্তাই লেক দিয়ে “সুভলং ঝর্ণা” ঘুরে।

কাপ্তায়ে নৌভ্রমণ শেষে হোটেলে যখন ফিরেছি তখন রাত হয়ে গেছে। রাতের খাবার শেষ করে রুমের সামনে হোটেলের ছাদে পাতা দোলনায় বাচ্চারা দুলতে লাগলো আর আমরা তিন তালার রুমে চলে গেলাম, রাত্রি কালীন আড্ডায়। অনেক রাত পর্যন্ত চলল আড্ডা, হ্রদের উপর ঝুলে থাকা বেলকুনিতে বসে। পরিচিত তারারা জলের নিচ থেকে উকি দিয়ে এক সময় মাথার উপরে উঠে আসতে লাগলো, তাই আমরা আড্ডার পাট চুকিয়ে ঘুমতে গেলাম।

পরদিন ২৮ তারিখ সকালে নাস্তা সেরে আবার প্রস্তুত বেড়াতে যাওয়ার জন্য। বসিরের আলসেমি রোগ আছে, তাই ও আমাদের সাথে বের হল না, রয়ে গেলো হোটেলেই।


হোটেলের ছাদে, বোট ওয়ালা চেষ্টা করে আমাকে রাজি করাতে ওর বোট নিয়ে ঘুরতে যেত।

আমরা বাকিরা বেরিয়ে পরলাম। রিজার্ভ বাজার থেকে একটা CNG নিয়ে নিলাম ঝুলন্ত সেতুতে যাব। আমরা আছি ৬ জন আর গাড়ির ক্যাপাসিটি ৫ জন, তাই আমি রয়ে গেলাম অন্য একটাতে যাব বলে। বাকি ৫ জন চলে গেলো, মিনিট পাঁচেক পরে আমিও আরেকটা CNG নিয়ে রওনা হলাম। ভাড়া নিয়ে কোন কথা বলা যায় না, সব যায়গার ভাড়াই রেট করা।

সেই অতি-পরিচিত ঝুলন্ত সেতুর সামনে এসেছি আবার। আমার মনে হয় বাংলাদেশের এমন কোন ব্যক্তি নাই যিনি এই সেতুর ছবি দেখেন নি। আমি অনেক অনেক বছর আগে একবার এসেছিলাম। আমার মনে হয় সেতুটার মূল আকর্ষণ এর অবস্থান এর জন্য। চারপাশের দৃশ্য আর মনোরম পরিবেশই একে এত আকর্ষণীয় করে রেখেছে।
বেশ কিছুটা সময় কাটালাম এখানে, চলল ছবি তোলাও।

ঝুলন্ত সেতু থেকে এবার যাব চাকমা রাজবাড়ি আর রাজবন বিহার দেখতে। এবার দুটি CNG ভাড়া নিয়ে নিলাম, খুব বেশি সময় লাগেনা বিহারে পৌছতে। সামনেই খেয়া ঘাট, নৌকো দিয়ে যেতে হবে রাজবাড়ি আর রাজবন বিহার দেখতে, পাশাপাশি দুটি দ্বীপে এই দুটির অবস্থান।

খেয়া নৌকোয় পার হয়ে প্রথমে গেলাম রাজবাড়িতে, যদিও জানি এখানে দেখার কিছুই নেই। পুরনো কাচারি বাড়িটা এখনও কোন মতে টিকে আছে, পাশেই নতুন একটি আধুনিক বাড়ি উঠে গেছে। সামনের মাঠটা আগরে মতই আছে, আর আছে সেই “ফতে খাঁ কামান”। ক্যামেরাটা ছিল ইস্রাফীলের হাতে, কি কারণে কে জানে তেমন কোন ছবি তোলেনি সে!


মাঠের পাশের এই হাতির বাচ্চাটা আমাদের বাচ্চাদের বেশ আনন্দ দিয়েছে


পূর্ব পরিচিত “ফতে খাঁ” কামানের পাশে বসে ছিলাম


হাতি ছেড়ে সব এবার কামানের উপর হামলা করতে এসেছে

এখান থেকে আবার নৌকোয় করে গেলাম পাশের টিলার রাজবন বিহারে। প্রথমবার যখন গিয়েছি তখন এখানে সবে মাত্র বিশাল এই টাওয়ারের কাজ শুরু করতে ছিল। অনেক বছর পরে আজ আবার আসলাম, আর হয়তো কখনো এখানে আসা হবে না।


এটার উপরে নাকি মৃতদের কি আনুষ্ঠানিকতা পালন করে


রাজবন বিহার


রাজবন বিহারের দক্ষিণ দিকের ঘাটে


স্বপনের খুব ক্ষধা….


রাজবন বিহারের দক্ষিণ দিকের ঘাটে

রাজবন বিহার পর্যন্ত সড়ক পথে যোগাযোগ আছে। কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আবার বিহারের সামনে থেকে CNG নিয়ে ফিরে আসি হোটেলে। রাঙ্গামাটি ভ্রমণ শেষ, আজই চলে যাবো বান্দরবনে


হোটেলের ছাদ থেকে কাপ্তাই


রাঙ্গামাটি টু বান্দারবান


পথে পারাপার…..

আগামী পর্বে দেখা হবে বান্দরবানে।

A_06_ (30)

ফুলের নাম : শিবজটা

ফুলের নাম “শিবজটা”। কেম অদ্ভূত নাম, তাই না! যেমন অদ্ভূত নাম তেমনি দেখতেও বেশ অদ্ভূত।

শুধু শিবজটা নয়, আরো অনেক গুলি আঞ্চলিক নাম এর রয়েছে। যেমন – বিলাই লেজা, শিবঝুল, ব্রহ্মজটা, হারিটামুঞ্জুরি ইত্যাদি। বুঝতেই পারছেন নামের সাথে চমৎকার মিল রয়েছে দেখতে। নামকরণের কারণও এটাই।

ইংরেজি ও কমন নাম : Acalypha Cat Tail, Caterpillar Plant, Chenille Plant, Philippines Medusa, Red hot cat’s tail, Fox tail, Hispid Copperleaf, Redspike Copperleaf, Chenille Copperleaf ইত্যাদি।

বৈজ্ঞানিক নাম : Acalypha hispida

গাছটির আদিভূমি বা আদিনিবাস দক্ষিণপূর্ব এশিয়া। শিবজটা ঝোপাকৃতির ঔষধি গুণসম্পন্ন ফুল গাছ যা টবেও লাগানো যায়। নারায়ণগঞ্জের বাবা সালেহ মাজার প্রাঙ্গনে দেখেছি টবে লাগিয়ে রেখেছে। ফুলও ফুটেছে বেশ সুন্দর।

শিবজটা গাছের উচ্চতা মাটিতে১০ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা আর ৩ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত বিস্তিত হতে পারে। তবে তার জন্য অনেক বছর সময় লাগে। টবে এর বারবারন্ত কিছুটা কম হলেও মাটিতে এই গাছে দ্রুত বর্ধনশীল। গাছে কোন কাঁটা নেই।

লাল বা গাঢ় লাল, কখনো কখনো কিছুটা খয়রী লাল লম্বাটে ফুল গুলি দীর্ঘস্থায়ী হয়। অনেকদিন পর্যন্ত টিকে থাকে। ফুল ফোটার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই, সারা বছর জুড়েই ফুল ফুটতে পারে। একবার ফুল ফুটতে শুরু করলে পর্যায়ক্রমে ও বারবার ফুটে। তবে এই ফুল কিন্তু ফুল গন্ধহীন। ফুল গন্ধহীন বলে কোন প্রাণী বা পতঙ্গ আকর্ষিত হয় না। এর কোন ফল হয় কিনা তা আমার জানা নেই। তবে বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মে এবং কাটিং পদ্ধতিতেও কলম করা যায়।

শিবজটা গাছে মাঝারি আকারের অনেকটা উপবৃত্তাকার সবুজ সরল পাতা হয়। পাতার কিনারা কিছুটা করাতের মত ছোট ছোট খাজকাটা থাকে। খাবার পক্ষে প্রাণীদের জন্য এই গাছের যে কোন অংশই বিষাক্ত।

ছবি : নিজ।
ছবি তোলার স্থান : বলধা গার্ডেন, ঢাকা (প্রথম ৪টি) এবং বাবা সালেহ মসজিদ, নারায়ণগঞ্জ (শেষ ৪টি)।
ছবি তোলার তারিখ : ১৬/০৩/২০১৭ ইং ও ২৪/১২/২০১৮ ইং

তথ্য সূত্র : বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহীত ও পরিমার্জিত। তথ্যে কোন ভুল থাকলে জানানোর অনুরোধ রইলো।

A_06_ (30)

রাঙ্গামাটি ভ্রমণ – সুভলং ঝর্ণা ও কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহার

২৫ তারিখ রাতে ঢাকা থেকে ““খাগড়াছড়ির পথে…”” রওনা হয়ে ২৬ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়িতে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে রেস্ট নিয়ে আমাদের “খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – শুরু” হয় “আলুটিলা গুহা” দিয়ে। আলুটিলা গুহা দেখে আমরা চলে যাই রিছাং ঝর্ণা দেখতে। ঝর্ণা দেখা শেষে আমরা যাই প্রাচীন শতবর্ষী বটবৃক্ষ দেখতে। সেদিনের মত শেষ স্পট ছিল আমাদের ঝুলন্ত সেতু দেখা।

পরদিন ২৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটির দিকে রওনা হই একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে। পথে থেমে দেখে নিই “অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”।

২৭ তারিখ দুপুরের পরে পৌছাই রাঙ্গামাটি। হোটেলে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসি দুপুরের খাবার খেতে। আগেই ছমির উদ্দিনকে (বোট ম্যান) টাকা দিয়ে এসেছি বোটের জন্য তেল কিনতে। খাবার শেষ করেই বেরবো নৌভ্রমণে, গন্তব্য “সুভলং ঝর্ণা”।

তাইপিং রেস্তরাতে দুপুরের খাবার খেলাম (বেশ ভালো মানের খাবার)। ইতোমধ্যে বোট এসে দাঁড়িয়ে আছে ঘাটে। বোটের ছাদে চেয়ার আর টুল দেয়া আছে সবার জন্য, সবাই সেখানেই বসেছি। আকাশে সূর্য তার আধিপত্য বিস্তার করে আছে রোদের শাসনে। শীতের বিকেলে জল ছোঁয়ে আসা শীতল বাসাত তার ঠাণ্ডার কামড় বসাতে পারছেনা মিষ্টি রোদের জন্য।


বাচ্চাদের জন্য হালকা খাবার আর পানিও আনতে গেছে স্বপ্ন, ফেরার নাম নেই, তাই অপেক্ষায় আমরা সবাই।

চলতে শুরু করে আমাদের বোট ভট-ভট শব্দে নিথর জল কেটে। চারপাশে ছড়িয়ে আছে জলের সাথে মানিয়ে নেয়া জনজীবন।


এমন দুটি বানরের দলের সাথে দেখা হয়ে ছিল আমাদের, ছুড়ে কলা দিয়ে ছিলাম খেতে

এতো সুন্দর এই কাপ্তাই লেক তা লিখে-বলে বা ছবি দেখিয়ে বুঝানো সম্ভব নয়। দেখতে হবে নিজ চোখে। জলের উপরে বিকেলের কোন তুলনাই হয় না। জলের উপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ঘন জঙ্গলে ঢাকা টিলার উপর যখন বিকেলের হলদে রোদ এসে পরে তার মায়া ভোলার নয়। সেই সোনালী পাহারের ছায়া পরে নিচের টলটলে জলে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেয়া যায় এই অপরূপ দৃশ্যের দিকে তাকিয়ে।


হোলদে রোদের সোনালী ঝিলিক হ্রদের জলে


পেদা টিংটিং রেস্টুরেন্ট, উচিত হবে এই সব রেষ্টুরেন্টে খাওয়া থেকে অনেক দূরে থাকা


পাহাড়ের আড়ালে মুখ লুকাচ্ছে সূর্য


সামনের পথ যেন পাহারের আড়ালে হারিয়ে গেছে


সামনেই সুভলং ঝর্ণা

প্রায় এক ঘণ্টা ১০ মিনিটের যাত্রা শেষে পৌঁছে যাই সুভলং ঝর্ণার কাছে। কিন্তু হায়, এক ফোটা জল নেই ঝর্ণায়। বোট ম্যান চালাকি করেছে আমাদের সাথে, ঝর্ণা যে এখন শুকনো এটা সে বলেনি আমাদের। প্রতিটা খারাপ জিনিসের একটা ভাল দিক থাকে। আগামীতে আবার রাঙ্গামাটি আসার একটা অজুহাত তৈরি হল এই শুকনো ঝর্ণার কারণে।


জলহীন সুভলং ঝর্ণা


বর্ষায় এই পথে তোরে ঝর্ণার জল বয়ে চলে, এখন শুকনো

কিছুটা সময় এই শুকনো ঝর্ণার ধারে কাটিয়ে ভগ্ন মনোরথে ফিরে চলি বোটে। অলরেডি সূর্যি মামা তার রাজত্ব হারাতে বসেছে। শীত তার শিশুর দাঁতের ধার নিয়ে প্রস্তুত হয়েছে আক্রমণে, সেই তুলনায় আমাদের প্রস্তুতি নেই বললেই চলে।


শীত…..


জেলেরা জাল ফেলেছে জলে, রাতের বেলা তুলবে টেনে।


হ্রদের মাঝে টিলার বন জ্বলছিল আগুনে


রাতের আঁধারে রিজার্ভ বাজারের আলোর খেলা হ্রদের জলে

রাত হয়ে গেছে, আজকের মত ভ্রমণের পাট চুকলো। আগামী কাল আবার শুরু হবে ভ্রমণ রাঙ্গামাটিতে।