“বই তে” শারদীয়া
আমার দূর্গা বইগুলোতে লুকিয়ে আছে
পাতার সাদা সাদা হাতগুলো আমাকে মহিষাসুর ভেবে এগিয়ে আসে
ছন্দগুলো রক্ষনশীল একঘেঁয়ে কথাগুলো “মহালয়া”র সেই
“যা দেবী সর্বাভূতেষু–“—
অসহ্য মণ্ডপ চর্চা
কোন এন্টারটেনম্যান্ট নেই
“খোলা আকাশের” “বুকভরা মুক্ত অক্সিজেন নেই–!
টেবিল ভর্তি অহেতুক “সাজগোজের আবর্জনা–“?
খোলা বারান্দা
খোলা চুল
খোলা মন
দখিনা হাওয়ায় ——
মায়ের আলতাভরা পায়ের ছাপ—–
পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রোমান্টিক কিশোরকুমারের গান—–
সংগে গলা জড়িয়ে ধরে থাকা ভেজা প্রকৃতি
ভেজা প্রেম—
ভেজা চোখ—
শারদীয়া য় শুঁকতে থাকা এক আশ্চর্য অনুভূতি
আরব্য উপন্যাসের শেষ পর্বের
দগ্ধ “শিহরণ”—-
চোখ খুললেই মনে হয় “সুন্দর ধূপবাতির” গন্ধ উবে যাবে—
আবার “বই পত্র” হেঁটে হেঁটে আসবে ক্লাশের” ঘন্টা নিয়ে—-
কালো কালো অক্ষর গুলো যেন ষাঁড়ের ন্যায় মাথার ভিতরে
সারা বছর ধরে তাড়িয়ে বেড়ায়—?!
বেশ লিখেছেন দিদি।
আপনার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ কবি।