মানুষের আমিত্ববোধ যত আদিম ও প্রবল তত আর কিছুই নয়। আমি সুখী, আমি দুঃখী, আমি দেখতেছি, আমি শুনতেছি, আমি বেঁচে আছি, আমি মরব ইত্যাদি হাজার হাজার রূপে আমি আমাকে উপলব্ধি করতেছি। কিন্তু যথার্থ “আমি”- এই রক্ত-মাংস, অস্থি, মেদ-মজ্জা-গঠিত দেহটাই কি “আমি” ? তাই যদি হয়, তবে মৃত্যুর পরে যখন দেহের উপাদান সমূহ পচে-গলে অর্থাৎ রাসায়নিক পরিবর্তনে কতগুলি মৌলিক ও যৌগিক পদার্থে রূপান্তরিত হবে, তখন কি আমার আমিত্ব থাকবে না ? যদি না-ই থাকে, তবে স্বর্গ-নরকের সুখ-দুঃখ ভোগ করবে কে? নতুবা “আমি” কি আত্মা ?
যদি তাই হয়, তবে আত্মাকে “আমি” না বলে “আমার”, এটা বলা হয় কেন? যখন কেহ দাবী করে যে, দেহ আমার, প্রাণ আমার এবং মন আমার, জগত সংসারে যা কিছু আছে সবই আমার হয় তবে আমি কার ?
তখন দাবীদারটা কে ?
জটিল প্রশ্ন।
মানুষের আমিত্ববোধ যত আদিম ও প্রবলই হোক না কেন; সেটা মানুষকে ধ্বংস করে।
জগত সংসারে যা কিছু আছে সবই আমার হয় তবে আমি কার ? সত্য প্রশ্ন।
* বিশাল প্রশ্ন…
বলা হয় সবচে' বাজে শব্দ হল, "আমি"। আমিত্ব বোধ অন্যতম নিকৃষ্ট একটা বোধ। মনোজগতে নানান ঘাটতি থাকলে এই বোধটা প্রখর হয়। তখন সেই মানুষটা বিবেক সম্পন্ন অন্য মানুষের চোখের নিত্তিতে শূন্য ওজনের হয়ে যায়।
দামি কথা নিয়ে দামি একটা পোস্ট।