একদা যখন রাস্তায় হাঁটতাম
তখন নিচু জমি থেকে রাস্তাগুলোকে পাহাড়ের সমান উঁচু মনে হত
মায়ের হাত ধরে নিচের দিকে তাকিয়ে
দৌড়ে মায়ের বুকে ফিরতাম..!
ছোট ছোট পথের দূরত্বও মনে হত ক্রোশ ক্রোশ দূর বুঝি
বাবার আঙ্গুল ধরে ধরে হাঁটার সেই দুরুত্বগুলো
পায়ে ব্যথার কারণ হত, হাপিয়ে উঠতাম
কিন্তু কখনই মনে হত না
পথটুকু শেষ হোক…!
মনে পড়ে চকে খেলার সময়গুলোর কথা
আকাশটাকে মনে হত শুণ্যের বাড়ি বুঝি
ওখানে শুধু চাঁদ থাকে, তারারা চাঁদের জন্য ওঠে
এবং প্রতিরাতে মা ঘুম পাড়ানোর সময়
চাঁদ তারারা আমার কাছে আসে..!
যখন “একদার” কথাগুলো বলছি
তখন আমি বর্তমানে, অনেক বড় হয়েছি
এখন অনেক নিচু জমি দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তাগুলোকেও
পাহারের মত উঁচু মনে হয় না
মনে হয় না কোন পথ অসীম দূরুত্বের,
চাঁদ, পৃথিবী, তারা সূর্যের সব সঠিক ব্যাখ্যা শিখে গিয়েছি
যা হারিয়েছি তা হল-
একটু ভয় পেলেই মায়ের বুকে ফেরার দিন
একটু একাকী লাগলেই বাবার আঙ্গুলে ধরে হারিয়ে যাওয়ার সময়,
আর ঘুমের সময়
মায়ের ঘুম ধরা অমনোযোগী মধুর সুরে ভাঙ্গা গলায় গাওয়া
কাজলা দিদি কবিতা শোনার ক্ষন…
10 thoughts on “সেই সে দিনগুলো”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমরা হারিয়ে ফেলি আমাদের সুমধুর অতীত। খুব সুন্দর করে নিজের অনুভূতি এঁকে পাঠকের মর্ম স্পর্শ করেছেন। শুভেচ্ছা প্রিয় কবি ।
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় কবি । ধন্যবাদ অনেক
লিখাটি পড়ে নস্টালজিক হলাম মি. সাঈদ। কিছু কিছু লিখা জীবনের সাথে মিলে যায়।
মিলে যাওয়া লেখা গুলোই ইতিহাস । আমারটি ইতহাস না হলেও সার্থক কারণ আপনার মন ছুঁয়েছে ।
যাপিত এই জীবনের পরিচিত সব সুর। ভালো হয়েছে লিখাটি।
কৃতজ্ঞতা ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য ।
কবিতাটি সুন্দর হয়েছে।
ভালো থাকবেন প্রিয় দিদি । ধন্যবাদ
* ভালো মানের লেখা…
ধন্যবাদ ভাই