অরিত্রির জন্য কবিতা

ঈশ্বরের কাছে আমি কি চেয়েছিলাম সেদিন সান্ধ্য প্রার্থনায়- মনে আছে। জাদুঘরের কাঁচ ঘেরা সুপ্রাচীন পুথি কখনও বড্ড ইচ্ছে হতো হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখি, পড়ি; একাকী বিষণ্ণ কোনও বিকেলে পারতাম যদি হাওয়ায় ভেসে উড়ে যেতে দূরের কোনও দেশে; আহা, সভেৎলানা খরকিনার মতো দীর্ঘকায় সুন্দরী সহপাঠী আমার ছিল না!

পুরোনো আসবাবের জং ধরা জীর্ণ কীলক তুমি কখনও দেখেছ অরিত্রি? জানি, দেখোনি। কিন্তু আমি দেখেছি। তাই পৃথিবীর কাছে আজ আমি কোনও স্মারক চাই না। পৃথিবী কাওকে স্মারক দেয় না। দেয়নি কোনওদিন।

আজ থেকে অনেকদিন পর তুমিও ঠিক জেনে যাবে, পৃথিবীর কাছে স্মারক চাইতে নেই। পৃথিবী স্মারক দেয় না। বিশ্বাস কর, তুমিও কোনও স্মারক পাবে না সেদিন।

4 thoughts on “অরিত্রির জন্য কবিতা

  1. অরিত্রি। এই ই হচ্ছে নির্মমতা।
    এই বঞ্চনাই স্বীকার করে বাকিদের চলতে হবে। শিক্ষা। :(

  2. কয়েকদিন থেকে বাংলাদেশের একটি শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতা চলছে এমন কিছু আনন্দবাজার পত্রিকাতেও দেখলাম। অন্য কোথাওর চাইতে দুই বাংলাতে শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু রদবদল হওয়া উচিত বলে মনে করি। পুস্তকভারে ঘরের সন্তানরা কাহিল। তাদের যারা শিক্ষা দেন তারা কেন জানি অস্থির হয়ে আছেন। বুঝিনা সমস্যাটি আসলে কাদের? আমরা অভিভাবকরা, নাকি যারা শিক্ষা দিচ্ছেন তাদের? জানতে চাই।

  3. সত্য অথবা কল্পিত যে কোন লেখায় আপনি সিদ্ধহস্ত অর্ক দা। যতদিন আপনার লেখা পড়েছি তাতে আমার এই বিশ্বাস জন্মেছে। অরিত্রি'র জন্য কষ্ট পেয়েছি। :(

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।