বাসা ভাঙা পাখি

বাসা ভাঙা পাখি

নীড় ভাঙা একটি পাখি
বন্ধ করে দুটি আঁখি
বসে বসে কাঁদে।

দুঃখের কথা ভাবতে গেলে
স্বপ্নে তাহার নয়ন মেলে
কত সুখের ঘর বাঁধে।

চোখের জলে ভিজে মাটি
খুঁজে পায় সুখের পরিপাটি
সঙ্গী হয়ে পূর্ণিমা চাঁদে।

তাহার আনন্দের নাই শেষ
ঝলকায় নতুন রূপের বেশ
দেখে যেন চক্ষু ধাঁধে।

আশেপাশের বিহগ যত
তাহার রূপে অবিরত
ঘুরে ফিরে উন্মাদে।

হঠাৎ তাহার স্বপ্ন শেষে
মন যায় হাওয়ায় ভেসে
চোখ খুলে কাঁদে।

যতই তাহার অঙ্গ ভেজে
ছাড়ে নাই আশা সে যে
একখান বাসা খোঁজে।

উড়ে বেড়ায় অবিরত
ছিন্ন ভিন্ন দুঃখীর মতো
এখনও যে।

কালাম হাবিব সম্পর্কে

কবি কালাম হাবিব ১৯৯৯সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি মালদা জেলার অন্তর্গত সাহাবান চক গ্রামে এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা লাল মহাম্মদ মিঞা ও মাতা রুকসেনা বিবি। মা বাবার তিন সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তান। শিক্ষা শুরু হয় সাহাবান চক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০৪ সালে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ২০০৯সালে বেদরাবাদ হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং ২০১৬ ও ২০১৮ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কলা বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ বেদরাবাদ হাই স্কুল থেকেই। তার পর ওই বছরই উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন 'কালিয়াচক সুলতানগঞ্জ কলেজ'-এ।বর্তমানে পার্শ্বীয় কালিয়াচক সুলতানগঞ্জ কলেজ'এর বি এ সাম্মানিক বাংলা বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পাঠরত। কবিতা লেখালেখির হাতেখড়ি দশম শ্রেণি পড়াকালীন , তবে আজও তার বেগ প্রবাহমান! কবির এই লেখালেখি বিশেষ কারও দ্বারা প্রভাবিত নয় বললেই চলে কবিতা পড়তে পড়তে ভাবনা আর সেই ভাবনা লিপিবদ্ধ করার অধীর আগ্রহই হাতে উঠে আসে কলম! কবিতার পাশা পাশি গল্প লেখাতেও কবির রয়েছে বিশেষ আগ্রহ ও মনোযোগ! কবির কবিতায় কথা বলে কলম, শরিয়তের মধ্যে থেকে সঠিক সত্য কল্যাণময় আদর্শের! কোন ভীরুতার ধার ধারেনা, সর্বাবস্থায় আওয়াজ তোলে সজীব তীক্ষ্ণ জীবন্ত দন্ড খান প্রতিবাদের শীর্ষক মাকামে! কবির প্রথম কবিতা "বেআইনি অস্ত্র ” এবং প্রথম গল্প " নৌকা যাত্রীরা"। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী কয়েটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সাথে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত রয়েছেন......

3 thoughts on “বাসা ভাঙা পাখি

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।