কালাম হাবিব এর সকল পোস্ট

কালাম হাবিব সম্পর্কে

কবি কালাম হাবিব ১৯৯৯সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি মালদা জেলার অন্তর্গত সাহাবান চক গ্রামে এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা লাল মহাম্মদ মিঞা ও মাতা রুকসেনা বিবি। মা বাবার তিন সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তান। শিক্ষা শুরু হয় সাহাবান চক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০৪ সালে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ২০০৯সালে বেদরাবাদ হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং ২০১৬ ও ২০১৮ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কলা বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ বেদরাবাদ হাই স্কুল থেকেই। তার পর ওই বছরই উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন 'কালিয়াচক সুলতানগঞ্জ কলেজ'-এ।বর্তমানে পার্শ্বীয় কালিয়াচক সুলতানগঞ্জ কলেজ'এর বি এ সাম্মানিক বাংলা বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পাঠরত। কবিতা লেখালেখির হাতেখড়ি দশম শ্রেণি পড়াকালীন , তবে আজও তার বেগ প্রবাহমান! কবির এই লেখালেখি বিশেষ কারও দ্বারা প্রভাবিত নয় বললেই চলে কবিতা পড়তে পড়তে ভাবনা আর সেই ভাবনা লিপিবদ্ধ করার অধীর আগ্রহই হাতে উঠে আসে কলম! কবিতার পাশা পাশি গল্প লেখাতেও কবির রয়েছে বিশেষ আগ্রহ ও মনোযোগ! কবির কবিতায় কথা বলে কলম, শরিয়তের মধ্যে থেকে সঠিক সত্য কল্যাণময় আদর্শের! কোন ভীরুতার ধার ধারেনা, সর্বাবস্থায় আওয়াজ তোলে সজীব তীক্ষ্ণ জীবন্ত দন্ড খান প্রতিবাদের শীর্ষক মাকামে! কবির প্রথম কবিতা "বেআইনি অস্ত্র ” এবং প্রথম গল্প " নৌকা যাত্রীরা"। বর্তমানে পার্শ্ববর্তী কয়েটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সাথে শিক্ষকতার কাজে যুক্ত রয়েছেন......

অলীক এখন জগতে

এক সময় অলীকতায় করলাম আমি শেষ;
এই পৃথিবীর ক্ষুদ্র থেকে বৃহত্তর সব দেশ!
কোথাও খুঁজে পাইনি আমি মনুষ্যরূপী বেশ
যেথা যায় পাগল হই, অর্ধ শ্বাসে মৃত্য রই!

থাকলেও মুখ, কিছু বলার নেই কো ক্ষমতা
এইতো আজ, চলছে সমাজ, ভগ্ন মানবতা।
স্রষ্টার কিছু নেইকো দেখছি মন্দ কী অমিল
সবার প্রতি তাহার কর্ম এক দৃশ্যে অাপিল।

তবে অবাধ্যদের প্রতি অন্যরূপ কর্ম তাহার
দেখায় যদি নিজে থেকে লানতদারি বাহার।
মানবরূপী প্রাণ এপাশ ওপাশ ছোটে
কর্মে তাদের শয়তানও আর্তনাদে ওঠে।

শকুন-চিলে করছে লড়াই নিয়ে তাবে-দারি
অহর্নিশে ক্রন্দন করে জীবন দেওয়া বারি।
ছিচকে চোরেগাঁইতি মারে,ডাকাত করে বশে
একটু খানি ফুঁয়ের ঘাতে পাহাড় পর্বতও ধ্বসে।

দুয়ের চলন চারে পড়ে, বৃথা তারা সমাজ গড়ে
টাকার জেরে মগজ নড়ে,মিথ্যে তারা স্বর্গে চড়ে।
বৃথা ভেবে শেষ দিন, কলুষ গড়ে সীমা হীন
বিদ্যা বোঝা উদাসীন,বাদ পড়েনা মানব জ্বীন।

অলীক পুঞ্জে, কুঞ্জে কুঞ্জে ওই গুঞ্জরিয়া ধায়
খোলা চক্ষে, বিদীর্ণ বক্ষে, শত নিশান পায়।
পালা বদল, সজাগ সদল, হবে কেয়া -মতে
ফাঁকি বাজি, করো আজি, পড়বে ধরা ওতে
অলীক ভেবে, মেনে নেবে, তা তো বুঝি নয়।
চিরকালীন, নয় যে বিলীন, করবে সদা জয়।

“ভোট”এর ব্যাথা

ও ভাই আমার সরকার!
মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়া কি কোন নেই কর্ম আর?
কোন সালে সেই খুলেছ বদন তোমা অতি কাল হলো,
কত গড়েছ মৃত্যু মিছিল, আজ ভোল গো মোহ ভোল!
কর্কশ শব্দে ভরেছ দেশ, যেন মম মালিক গেছে ঘুমে।
হাজার হস্ত ছেড়েছে মম, বিদায় নিছে মাতৃভূমি চুমে!
দেখ গো হেথায়, ভোটার হাঁপাই, অশান্তি মাগিছে ছুটি!
দেশে ধ্বংসের গন্ধ, কর গো বন্ধ, মোহের লোটা লুটি!

মনে নাহি পড়ে, মালিকের গড়ে,কি ছিলাম আমি ভোরে?
তুমি বুঝালে সুঝালে সিধে বাঁকা গোল লম্বা চৌকা করে!
কভু হিংসা বিদ্বেষ, কভু সম্প্রীতি শেষ, কভু বা নম নম,
কভু মিথ্যে ফুঁৎকার-এ জড়িয়ে দিলে অসচ্ছ দাপ মম।
গঞ্জে গঞ্জে, অতি রঞ্জে, উড়িয়ে পুড়িয়ে মিটালে মম সাধ।
মোহের টানে, সম্প্রীতির প্রাণে, আজ জন্মে দিলে তুমি উন্মাদ!
আমার মালিক যারা, হয়ে পাগলপারা, অহর্নিশে তারা,
মোহের ঢিপে, দিলে গলা টিপে করে তাদের আত্মহারা!

গলির কোণে, মালিকের মনে,তুমি ধরিয়ে চুলা চুলি,
ঘন ঘন ঘন, পরিবর্তনে তোমার মোহের ফুঁৎকার তুলি।
তোমার মিথ্যা ফুঁৎকারে জনের কর্ণব্যাধিতে আমি নিরুপায়!
সেই হেতু গড়ে সেতু পড়েছি তোমার গর্দানে আমি ভাই।
যা হওয়ার ন্যায় হোক না, প্রবল করিয়াছি প্রতি বাদ;
আমায় ন্যায্য মূল্যে গড়িলে ভরিয়া যাবে কত মন স্বাদ।
তোমার ওই মরা দেহেতে আজ যারা ঢেলে দিলো প্রাণ,
তাদের হারায় গেল সবকিছু, অসহায়, নেই কোন ত্রাণ!

মালিকদের অন্তঃ অন্তঃ সুঘ্রাণ দিয়ে আমি, বেঁকে বসি যদি!
দেখো কি হবে তোমার তাঁবেদারি? কোথায় রবে
তোমার গদি?
তোমার যারা শ্বাসপ্রশ্বাস, তোমার ঘরের আলোক বাতি,
তারা আজ অজানা অচেনা, তাদের পেটে প্রতি দানে লাথি!
আমার কিছু মালিক আছে তাদের জন্ম যেন কুকুরের কাছে!
না বুঝে চাতুরী, তোমার বিষ্ঠার কোন সে স্বাদে ঘুরে পাছে
পাছে?

ও ভাই আমার সরকার!
রাখিবো কাহাকে সাক্ষী? কাহার কাছে করিবো বিচার?
তুমি শয়তান দেখেও কেন দেখোনা অমৃত সব কূল?
আমি যে অমর,আমার মালিকের দ্বারা আমিই তোমার মূল!
কত শত মস্তক আর হস্তে পদে তোমায় গড়ে দিয়েছি মতি।
তুমি ছিলে কোন অচেনা আবাল, আজ তোমায় দিয়ে জ্যোতি!
তুমি না থাকিলে মোর মালিকদের কিবা হতো তাতে ক্ষতি?
কৃতজ্ঞতা কি এই পাঠাইছো হিংসা বিদ্বেষ দাঙ্গা লড়াই আর অশান্তির মারফতি?

দেশ ও দশকে তুমি, ধ্বংসের ভেলা চুমি, করিয়ে দিলে ছারখার!
মরণের পরে হায়! হবে কি উপায়? পাইবে কি তারা মম ন্যায্য অধিকার?

শুনে নে

“যেথা গুজরাটি দুই ভাই মিলে,
মানব ও দেশটাকে তিলে তিলে,
কণ্ঠ স্বরের তীক্ষ্ণ দাবানলে,
হাজারো ছলে-বলে কৌশলে,
পরিণত করে চলেছে ধ্বংসের স্তুপ!
তবে কেন শত কোটি মানব রবে চুপ?”

“সদা যথা তথা গুজরাটি দুই ভাইয়ের ইশারায়,
ওই দাঙ্গাবাজ জন্তু জানোয়াররা আশকারা পায়!
দাঙ্গা লড়াইয়ে মানবের নেই কোন দোষ,
তবে মানবের প্রতি মানবের রবে কেন রোষ?
যেথা জারজ দুই গুজরাটি ভাইয়ের সর্ব দোষ!”

“মুসলিম হলে নাকি দিতে হবে অকারণে জান,
তারা দেখে নাকি শান্ত শান্তিতে মোড়া সংবিধান?
দেশের ও দশের মাথা মন্ত্রী ওই জারজ দুই সন্তান!”

“তাহাদের বোধ হীন মনে,না জানি কোন কু-স্বার্থের হেতু!
অহর্নিশ, অঙ্কুরিছে দূষণের বীজ,
মায়া ভব দেশে,সন্ত্রাসী বেশে, ধ্বংস করিছে
মানবের মাঝে, অপরূপ সাজে, অটুট থাকা মানব সম্প্রীতি,
আর ভুলে থাকা জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণ -এর বিভেদ, বিদ্বেষ হীন গড়া এক দৃঢ় সেতু! ”

“এ দেশ কিংবা ভবে, এক ভাষা উচ্চকিত হবে,
আছে যত
হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ,জৈন কিংবা ইহুদি খ্রিস্টান
পঙ্গপালের মতো
এরা আমার কেউ নয়!
শত শত কোটি পঙ্গপাল তারা হয় যদি মানব
শুনে নেরে জারজ দুই গুজরাটি দানব
সকল মানব’ই হল আমার মায়ের পেটের ভাই
আমার অন্তরের অন্তস্তলে তাদের ঠাঁই! ”

“এ-ও শুনে নে,
আছে যত অশান্তি সৃষ্টিকারী,
তাদের ধারের কাছে কি থাকতে আমি পারি?
যারা সন্ত্রাসী নয় তারা মানব, নেইকো তাদের ধর্ম
তোদের সন্ত্রাসী জারজ দুই গুজরাটি ভাইয়ের মতোই তাদের কর্ম!”

“আমি মুসলিম,চির রণবীর, মরণ কে করিনা ভয়
আল্লাহ কে সদা করি স্মরণ!
যেথায় যে হেতুতে রয়েছে বাঁধা
সেচ্ছাই সেথা করিবো মৃত্যু বরণ!”

“মসজিদে আগুন দিয়ে হাসি খুশি হয় যদি হয়ে যাক তাদের মুখ।
মসজিদে আগুন দেওয়া দেখে জ্বলে যদি আমার বুক!
আর সূর্যের মতো উষ্ণতায় হলে রক্ত গরম,
আমাকে কি বাঁধা দেওয়া যাবে? করা যাবে মরম?
রবের দেওয়া অমর বাণী পবিত্র যে আল কুরআন
আগুন জ্বালিয়ে কি দমনো যাবে তাঁর বিজয় গান?
এ দেহেতে থাকলে এক বিন্দু ঈমানি রক্ত
মহান রব’ই দেখিয়ে দেবে আমি কার ভক্ত!”

“ইসলাম রবে না চাপা, এ যে রক্তের অক্ষরে ছাপা
অটুট ও অটল
সঙ্গ ও দর্শনে থাকে সদা, মহান রবেরই ওয়াদা
শক্তি ও বল,
তোদের মতো কিছু আরশোলা ভক্ষক,
কি করিবে ইসলাম-এর
মহান শক্তিশালী রব’ই যে তার রক্ষক!”

.
১২/০৩/২০২০

প্রার্থনা

এই তো জানু পেতে বসেছি – পশ্চিমে আজ
গগনে নিঃস্ব একলা পুর্ণিমার চাঁদ।
নয়ন ভরা জলে,হস্ত দু’খান ঊর্ধ্ব গগনে –শেষের রাত্রি আমার একলা মোনাজাত।

কোথায় উড়ে গেল আজ বীর যোদ্ধাদের ক্ষমতা
অদৃশ্য এক বীজাণুতে?
চক্ষু সম্মুখে দাপানো শত কোটি পথভ্রষ্টের দল
দিশেহারা আজ,হয় পাথর নিশ্চল!

জাগাও শহর-নগর, গ্রাম-গঞ্জের প্রান্ত-প্রান্তরে
তোমার কল্যাণময়ী আজান গান!
কোটি কোটি বান্দার মুখে উঠুক শান্তির ঝড়
তারা আজ একটা ইনসাফ পাক!

নিয়ামতি এ বান্দার দেহ আজ পাপের বীজাণুতে
গ্রাস করেছে, পরকাল শূন্য করে!
ভুবন মেতে উঠেছে কেন আজ বরবর্তার ভাষায়?
কেমন লাগছে এই ধ্বংসের উল্লাস!

হে! আমার রব হেদায়েত দাও পথভ্রষ্টদের।
ঈমান বৃদ্ধি করে দাও……
যারা তোমার পথে অনড়,অটুট, অটল,
রক্ষা করো এ বীজাণুর দূর্ভোগ!

ধ্বংস করে দাও হেদায়েতহীনদের! সারা বিশ্বে
গজিয়ে রেখেছে শয়তানি পাখা।
ধ্বংস করে দাও! সেই মুনাফিকদের আজ যারা
পরিপূর্ণ দ্বীন নিয়ে করছে ছেলে খেলা।

কবুল হোউক এ পাপী বান্দার ক্ষুদ্র মোনাজাত!
এ ভুবনের শতকোটি বান্দার তরে…….
দাও আজ গহিন একটা রাত! তোমার দরবারে
দুহাত তুলে অঝর নয়নে কাঁদার সুযোগ।

মনস্কাম্য

ভাই, তোমা জীবন শত রঙিন চালে,
“ভরে উঠুক মুক্ত পবন তালে তালে,
হাজার দিশায় পেয়ে যাক স্বর্গ পথ,
শান্তি মোহনায় মিলে যাক মনোরথ!
ক্ষণিকের ভবে উদাস হোক না মন,
সত্যের ইস্পাতে গড়ে নিও জীবন!”

“স্কুল কলেজ আর ভার্সিটির জ্ঞান
তোমায় না যেন দেয় কুকর্মে ধ্যান!
রবের ঐ রজ্জুকে আঁকড়ে ধরতে,
ভবে শান্তির মিনার প্রতিষ্ঠা করতে,
পরকালে ধরতে ডান হস্তের পথ,
কঠিন ইস্পাতে গড়ে নিও মনোরথ!”

“পদে পদে কষ্টের ফিনকি ছুটুক যত,
না সরায়ে পদ সত্যে থাকুক অবিরত!
ছোটো খাটো লাভ হলেও অহরহ
পাপের সরোবরে রেখো না মোহ,
সদা পূণ্যের পথে সবে চক্ষু মেলে,
হাতে হাত ধরে ঐক্য গড়ে গেলে,
ধেয়ে আসবে শান্তির মোহনায় সাম্য
যদি ভবে এ হয় মানবের মনস্কাম্য!”

_________
*মনস্কাম্য
*Ideal man
১২/০৩/২০২০

শিক্ষা এখন আস্তাকুঁড়ে

শিক্ষা এখন আস্তাকুঁড়ে

শিক্ষায়তন সব আজ মনুষ্যরূপী আস্তাকুঁড়,
জ্ঞানের ধারা চরণ তলে হয়ে রয়েছে উপুড়।
দ্বি হস্ত-পদ প্রাণ আজ সেজে আস্তাকুঁড়ে,
সমাজটাকে পঙ্গু করে শিক্ষাঙ্গনে উড়ে।
জন্তুরও ভয় এখন জঙ্গলে থাকার!
কারণ, পাল্টে গেছে মানবতার আকার।
বিদ্যা এখন বই এ লেখা,
অন্ধর কাছে খুলে দেখা,
আরও বিদ্যা মুখের বচন,
নামে মূর্খের জীবন মোচন।
শিক্ষাঙ্গন হল পুঁজিবাদর আস্তানা,
সমাজ বিষাক্ত করে হাতে লাগায় দাস্তানা।

“অহেতুক অণুভ্রম”

তোমার একটু ভুলের ঝোঁকে
বয়তে জীবন গভীর শোকে,
হয়তো বা নিরন্তন ঘোরে ঘানি
হয়তো বা মরু মনে ঝটকানি;
তা হতে পারে কখনো ভরা জোয়ার,
ক্ষণিকের আনন্দ দিয়ে দৃশ্য তার
নিঃশেষ, চির নিরন্তর অদৃশ্য বেশ
যা এক ছাড়া দুই ততোধিক বক্ষ দেশ।
তবে জীবনের একটু ঘাম ঝরা নয় এমন শ্রম
দিলে পেতে সঠিক জীবন অহেতুক অণুভ্রম।

আমি’কে চিনলে

আমি’কে চিনলে

ভাষা আমি বুঝি নি
মূল্য আমি খুঁজিনি,
এ সাড়ে তিন হাত
কীসের গড়া পাত,
যাতে চলে ‘আমি’
ওই যে মানব নামী।

অন্ধরা তা দেখে
ভাষা বলতে শেখে,
চোখের রাজারা
হয় ভাষা হারা।

‘আমি’ জিনিসটা,
কোন আদর্শে শিষ্টা,
তার প্রশ্ন তারা তুলে না,
আদর্শ পেছাতে ভুলে না।

বলি ‘আমি’-র দিকে দেখো,
শুদ্ধ ভাষা বলতে শেখো,
‘আমি’-কে চেনো,
মূল্য দিয়ে কেনো
আদর্শ, অপরূপ
শান্তির বৃহৎ স্তূপ।

‘আমাকে’ লক্ষ্য নয়,
‘আমিকে’ করো জয়,
‘আমি’তে দিলে নজর,
স্থান শান্তির ওপর!

ডিগ্রী ছিলনা তাই

ডিগ্রী ছিলনা তাই

ডিগ্রী ছিলনা তাই,
পকেট কষ্ট পাই।
চব্বিশে শুধু B.A নয়
B.ED করেও আমি।
সাতাশেতে শুধু M.A নয়
M.ED করে বিপদগামী।।

শুধু দেখি কাগজ কালি,
চলতে গিয়ে চোখ খালি।
গেলো আমার বয়ষ ক্ষয়ে,
কাগজ বোঝা ব্যাগ বয়ে।
জুটেনি ডিগ্রী আমার,
ব্যর্থ তাই কতই খামার।
গেলাম আমি আরেক খোঁজে,
দুঃখ আমার ব্যাগ বোঝে।

বলে তোর তো শুধু কাগজ ফাইল,
সেথা লাগবে দ্যাখ ডিগ্রী পাইল।
ফাইল তোর কাগজ বোঝা,
পকেট ডিগ্রী খালি।
ভরা সমুদ্রে তাই
ভাটার নিশান পালি।।

দেখলাম

দেখলাম

সেদিন ভোরে হঠাৎ করে!
রাস্তার রোয়াকে দর্শন হলো
অদ্ভুত এক দৃশ্য!
দিনের আলো তখনও আবছা,
বিবর্ণ এক নিঃস্ব
জীব, বিনাশের শেষ মুহূর্তে দাড়িয়ে
আবিষ্কার করছে ;
শহুরে নিজ স্বার্থ ভোগী জানোয়ারদের
বুদ্ধি, ইশারায় ধরছে।

তার ইশারায় গঠনের ছায়া স্পষ্ট করে
আঁকছে সমাজ চিত্র।
দুই পা থেকে চার পায়ের সাহায্যে,
চক্ষু কোটরে নিঃস্ব নেত্র।
নিসাড় নয়, হালকা শক্তির ভরে
অন্য রোয়াকে অবতরণ
করতে গিয়ে সমাজের উচ্চ শিখরের
ইঙ্গিতে আচমকা মরণ।
তখন আর আবছা নয়, একেবারে স্পষ্ট
দিনের আলো
ওই রোয়াকের জীব, মানব আসলেই মানব
এতে সবার মুখ নিসাড় কালো।।

বাসা ভাঙা পাখি

বাসা ভাঙা পাখি

নীড় ভাঙা একটি পাখি
বন্ধ করে দুটি আঁখি
বসে বসে কাঁদে।

দুঃখের কথা ভাবতে গেলে
স্বপ্নে তাহার নয়ন মেলে
কত সুখের ঘর বাঁধে।

চোখের জলে ভিজে মাটি
খুঁজে পায় সুখের পরিপাটি
সঙ্গী হয়ে পূর্ণিমা চাঁদে।

তাহার আনন্দের নাই শেষ
ঝলকায় নতুন রূপের বেশ
দেখে যেন চক্ষু ধাঁধে।

আশেপাশের বিহগ যত
তাহার রূপে অবিরত
ঘুরে ফিরে উন্মাদে।

হঠাৎ তাহার স্বপ্ন শেষে
মন যায় হাওয়ায় ভেসে
চোখ খুলে কাঁদে।

যতই তাহার অঙ্গ ভেজে
ছাড়ে নাই আশা সে যে
একখান বাসা খোঁজে।

উড়ে বেড়ায় অবিরত
ছিন্ন ভিন্ন দুঃখীর মতো
এখনও যে।

বার্তা

📢 বার্তা 📣🌍👨‍👩‍👧‍👧
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
না করে “অসহায়, নিঃস্ব রাজনীতি”
না ফেলে সমাজকে দুর্বিপাকে
না সেজে “কু’চক্রে মানবতার দাস”
ওই কোণঠাসা খুলি হতে
“সত্য দ্বীনের” নিয়মটাকে
“সর্ব কালে শান্তি পেতে”
স্বেচ্ছায় করো প্রকাশ।।

তুমি একা নও,
সকলেই আগুয়ান হও!
তবেই খুঁজে পাবেনা ধর্ষণ,
এমনিতেই মানবতা হবে বর্ষণ
তোমাকে আর প্রতিবাদ করতে
ও কাঁদতে হবেনা ধর্ষিতার লাশ দেখে!
ধর্ষণ, ঘর্ষণ, নির্যাতন ও নিঃস্ব ভগ্ন মানবতা
ঘুচে,“তুমি মুক্তি পাবে এই দুনিয়া থেকে!”
“তা প্রকাশ করতেও যদি আঘাত পাও,
শান্তির বার্তা মনে করে তা,
সদরে গ্রহণ করে নাও!”

[২৬/১২/২০১৮]

সত্যে আহ্বান

সমাজ আজ ক্ষতবিক্ষত,
ধ্বংস লীলায় বাঁধা অবিরত,
রন্ধ্রে রন্ধ্রে দেখি সৃষ্ট মরণ বিল।
কোথায় গেলিরে সমাজবাদীরা দল,
ছুটে আয়, চোখ খুলে দ্যাখ;
তোদের বিবেকহীনতার ফল।
যাসনে ভুলে, দিসনা বিবেকের দুয়ারে খিল।

ছেড়ে দে ধ্বংসলীলা!
দে একটু দে, দে শান্তি খুঁজে।
তুই কে? উদ্দেশ্যই কী তোর?
একটু দ্যাখ বিবেকটাকে বুঝে।

ঝাঁপিয়ে পড়!
উপভোগের মতো সমাজ গড়!
নেরে নে, নে অস্ত্র হাতে তুলে।
ভরে নে ঝোলা,
দিয়ে নেক আমল গুলা,
যারে যা, যা শয়তানি কর্ম ভুলে।

কোন সৃষ্টি নয় স্রষ্টা

কোন সৃষ্টি নয় স্রষ্টা

ভুল করনা, ভুল করনা!
সৃষ্টিকে স্রষ্টা ধরনা!
স্রষ্টা তো তিনিই;
যিনি দিনকে করে রাত,
রাতকে করে দিন!
যাহার কর্ম সীমাহীন!

কোন সৃষ্টি নয় স্রষ্টা!
স্রষ্টা সকল সৃষ্টির উপদেষ্টা!
কোন সৃষ্টি পাইনা স্রষ্টার মান।
কখনো যায়না গাওয়া
কোন সৃষ্টিরগুনগান!
স্রষ্টা তো তিনিই;
যাহার কুদরত সর্বত্রে বিরাজমান!

যিনি সর্ব জ্ঞানে, সর্ব ধ্যানে,
সর্ব কালের মহান।
যিনি সর্ব সৃষ্টির কণ্ঠে
প্রশংসনীয়!
যাহার অবস্থান এক,
অদ্বিতীয়!
তিনিই স্রষ্টা, সৃষ্টির উপদেষ্টা!

(২৭/১০/২০১৮)

♥ আমি শিক্ষিত বলে ♥

আমি শিক্ষিত বলে

(১)
আমি শিক্ষিত বলে, বেরই না ভোরের বেলা নিড়ানি কোদাল হাতে, মূর্খের মতো গায়ের ঘাম ঝরাতে।
আমি শিক্ষিত বলে, পেটের দায়ে অস্ত্র হতে মূর্খের মতো ডাকাতি করতে বেরই না মাঝ রাতে।
আমি শিক্ষিত বলে, যায়না মূর্খের মতো সরাসরি ঝামেলা পাকাতে।
আমি শিক্ষিত বলে, চায়না বিচার মূর্খের মতো হাত তুলে রবের দরবারে।
আমি শিক্ষিত বলে, রাস্তায় চলিনা রবের ভয়ে মুখ নীচু করে।
আমি শিক্ষিত বলে, মূর্খের মতো করিনা হারাম হালাল বিচার।
আমি শিক্ষিত বলে, মূর্খের মতো পা ফেলিনা নীচের দিকে তাকিয়ে।
আমি শিক্ষিত বলে, মূর্খের মতো বেড়ায়না সারাদিন এদিক ওদিক হাঁকিয়ে।
আমি শিক্ষিত বলে, মূর্খের মতো অফিসের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরি না বাবু বাবু বলে।
আমি শিক্ষিত বলে, মূর্খের মতো মরে পড়ে থাকিনা রাস্তার ধারে,কোন রোগ ব্যাধি হলে।
আমি শিক্ষিত বলে, মূর্খের মতো কখনো যায়না ডাস্টবিনের কাছে।
আমি শিক্ষিত বলে, মূর্খের মতো কখনো ছুটিনি সত্যের পাছে।
আমি শিক্ষিত বলে, মূর্খের মতো কখনো থাকিনি চশমা বিহীন চোখে।
আমি শিক্ষিত বলে, মূর্খের মতো কখনো করিনি আহা! দয়া মায়া।
আমি শিক্ষিত বলে, মূর্খের মতো কখনো চায়নি রবের ছায়া।

(২)
আমি শিক্ষিত বলে, লোভ লালসায় মেতেছি সর্বদা।
আমি শিক্ষিত বলে, কলমের খোঁচা মেরে করেছি কত ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, গড়েছি কত অট্টালিকা।
আমি শিক্ষিত বলে, পায়ে হাঁটি না রাস্তা সর্বদা গাড়ি করে চলি।
আমি শিক্ষিত বলে, কথায় কথায় অহরহ মিথ্যা আমি বলি।
এই তো আমি শিক্ষিত আজ,
শিক্ষা নিয়ে চালাই ফন্দিবাজ।

(০৫/১১/২০১৮)