দেয়াল
শুনেছি ইয়াজুজ মাজুজ বন্দী আছে চওড়া দেয়ালে
ভাঙতে ভাঙতে ক্লান্ত হয়ে যায় এক ইঞ্চি থাকতে
জেগে উঠে দ্যাখে আবার আগের মতো চওড়া দেয়াল।
একদিন নাকি ওরা দেয়াল ভেঙে বেরিয়ে আসবে
সমুদ্রের পানি সব শুষে নেবে
মাছ গাছ প্রাণী সব খেয়ে নেবে
মানুষ?
তাও নাকি খেয়ে ফেলবে।
সে যাই হোক
যেদিন আসবে
সেদিন দেখা যাবে।
ইদানিং মাঝ রাতে আমার ঘুম ভেঙে যায়
দেয়াল তোলার শব্দে।
ইট বালি সিমেন্টের দেয়াল
ইটের পর ইট
লোহার পর লোহা
স্টিলের পর স্টিল
পাথরের পর পাথর
আবার ইটের পর ইটের দেয়াল।
যে দেয়াল আস্তে আস্তে নীরবে নির্মিত হচ্ছে
তা ভেঙে আমিও এক দিন বেরিয়ে আসবো।
সেদিন আমার শক্তি?
ইয়াজুজ মাজুজ খেয়ে ফেলার শক্তি থাকবে আমার
সমুদ্র বৃক্ষ প্রাণী সব খেয়ে ফেলতে পারবো
মানুষ?
হ্যাঁ – সব মানুষও খেয়ে ফেলতে পারবো।
কিন্তু আমি সেদিন কিছুই খাবো না
যারা দেয়াল তুলেছিল?
না- তাদেরও খাবো না
আমি সেদিন ওদের ল্যাবে নিয়ে দেখাবো
আমার রক্ত লাল – গ্রুপ ও পজেটিভ
লবণের ফ্যাক্টরিতে গিয়ে আমার অশ্রু ফেলে
দেখাবো – এখানেও লবণ আছে
সেদিন আমি
ঘৃণা অপমান লাঞ্ছনা
প্রেমহীন জ্বালা যন্ত্রণা
ভালোবাসাহীন বঞ্চনা
অবহেলা আর কষ্টগুলো
বের করে আনবো আমার বুক চিড়ে
সেদিন আমি একটি কবিতা লিখবো
যেটা গোক্ষুর সাপের মতো ছোবল দেবে ওদের মস্তিষ্কে
অতঃপর নীলাভ বিষে ওরা মতিভ্রম হয়ে
উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটে গিয়ে
স্বেচ্ছাবন্দী হয়ে যাবে সেই দেয়ালে।
অসাধারণ বক্তব্য-প্রধান সুখপাঠ্য যুক্তিপূর্ণ লিখা। অভিনন্দন মি. ইলহাম।
বিশেষ মুগ্ধতা কবি ইলহাম দা। সুপার্ব।
আবৃতি উপযুগী কবিতাটিতে অভিনন্দন জানিয়ে গেলাম কবি ইলহাম ভাই।