শীতকালই কেন বিয়ের মৌসুম?

শীতকালই কেন বিয়ের মৌসুম?

বছরে সব চেয়ে বেশি বিয়ে হয় শীতকালে। এই জন্য শীতকালকে বলা হয়ে থাকে বিয়ের মৌসুম। শীতের সময় দিন ছোট হলেও বিয়ের আয়োজনে পাওয়া যায় নানা রকম সুবিধা।

শীতের সময়ে অনেকেই শারীরিক অসুস্থতার জন্য খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দেন বা বেশি খেতে পারেন না। তাই বিয়ের খাওয়ার খরচ কম হবে চিন্তা করে অনেকেই বিয়ে এই সময়ে বিয়ে করে থাকেন।

বিদ্যুৎ বিল কম আসে
শীতকালে গরমকালের মত ফ্যান বা এসি ব্যবহার করতে হয় না। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে ফ্যান বা এসি প্রয়োজন কম পড়ে। যে কারণে স্বাভাবিক ভাবেই বিদ্যুৎ বিলও কম আসে।

শীতে পরিশ্রম করা সহজ
একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে কত রকমই না পরিশ্রম আর কাজ করতে হয়। প্রায় ১ মাস আগে থেকে শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। কিন্তু এই সময়ে গরমকালের মত কাজ করলেই এনার্জি চলে যায় না। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে ক্লান্তি আসে না।

বিয়ের সাজ
আমাদের দেশে বিয়ের সাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শীতে বিয়ের সাজ অনেক সময় থাকে আর ভারী কাপড়ে অস্বস্তিও লাগে না। তাই বর কনে এই সময়টিকেই বেছে নেন বিয়ের জন্য।

ফুলের দাম কম থাকে
শীতকালকে বলা হয় ফুলের মৌসুম। বাজারে এই সময়ে ফুলের কোনো কমতি থাকে না আর দামও তুলনামূলক ভাবে কম থাকে। তাই স্টেজ ডেকরেট ও বিয়ের নানা আয়োজনে ফুল কিনতে খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। তাই অনেকেই এখান থেকেও বেশ কিছু টাকা সাশ্রয় করতে পারেন।

5 thoughts on “শীতকালই কেন বিয়ের মৌসুম?

  1. চমকপ্রদ তথ্য বটে। যে কোন বিয়ের জন্য তাহলে শীতকালই বেষ্ট। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

  2. ভালো পরামর্শ। উৎসুকরা আরও উৎসাহী হয়ে উঠুক। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Claps.gif.gif

  3. শীতকালে মেকাপ গলে যাবার সম্ভাবনা কম থাকে………………।।https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_yahoo.gifhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_yahoo.gif

  4. নভেম্বর থেকে জানুয়ারি, বাংলায় বললে অগ্রহায়ণ থেকে মাঘ মাসকে ‘বিয়ের ঋতু’ হিসেবে চিন্তা করা হয়। অর্থাৎ, বিয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিতহয়ে গিয়েছে নিজেদের অজান্তেই। আবার, পৌষমাসে বিয়ে হলে নাকি কন্যা আচার ভ্রষ্টা এবং স্বামী বিয়োগিনী  হতে পারে, এমন  কুসংস্কারও  প্রচলিত রয়েছে। শরৎকালে বিয়ে করতে গেলেও পড়তে হয় কুসংস্কারের খপ্পরে। গ্রাম বাংলায় প্রচলিত রয়েছে- ভাদ্র মাসে বিয়ে করতে নেই, এমাস অপয়া-অশুভ! আরও আছে অনেককিছু, আর লিখে শেষ করা যাবে না।

    যাই হোক শ্রদ্ধেয় সুরাইয়া নাজনীন দিদি, আপনার লেখনীয় পোস্ট থকেও অনেককিছু জানা হলো। যা আগে জানা ছিল না। ভালো থাকবেন আশা করি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।