সুরাইয়া নাজনীন এর সকল পোস্ট

একমুঠো আনন্দে একফালি বারান্দা

aa

গ্রীষ্মের প্রাণ জুড়োনো বিকেল কিংবা রোদমাখা দুপুরেও যদি থাকে ঝিরিঝিরি হাওয়া, হাতে চায়ের কাপ, ম্যাগাজিন—শখের বারান্দায় রাখা আরামকেদারায় পিঠ এলিয়ে তা উপভোগ করার যে মজা, তা বাড়ির আর অন্য কোনও অংশে নেই। শহুরে জীবনের কারাগারে এ যেন একটুখানি খোলা আকাশ। তাই তো মনের মতো বাড়ি খুঁজতে গিয়ে সকলেই অন্যতম প্রাধান্য দেন বাড়ির এই অংশটির প্রতি। আর কিছু থাকুক না থাকুক, বাড়ির যে কোনও কোণে এক চিলতে বারান্দা থাকা চাই-ই চাই।
bb

বাড়ির এই অংশের প্রতি আমাদের ভাল লাগাও চিরকালীন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বারান্দার কাঠামো এবং চেহারায় আমুল পরিবর্তন এসেছে। পুরনো দিনের দালান বাড়ির সেই কাঠের নকশা করা রেলিংয়ে ঘেরা লম্বা, টানা পরিসর আজকাল আর নেই। তখন তো জায়গার কোনও টানাপোড়েন ছিল না, ফলে মনের মতো আয়তনে বারান্দা তৈরি করার স্বাধীনতাটুকু পাওয়া যেত। বলাই বাহুল্য, আজকাল আর সেই সুযোগ নেই। বাড়ির আয়তনের সঙ্গেই আজকাল ছোট হয়ে এসেছে বারান্দার পরিসরও।

আধুনিক ‘ফ্ল্যাট’ কালচারে বারান্দার জায়গা নিয়েছে ‘ব্যালকনি’। সে তাকে যে নামেই ডাকুন না কেন, বারান্দার প্রতি সেই ভালবাসা, টান কিন্তু আজও অমলিন। তবে সাজসজ্জার নিরিখে কিন্তু বাড়ির অন্যান্য অংশের তুলনায় বারান্দা যারপরনাই অবহেলিত। সাধারণত বারান্দা বা ব্যালকনি বাড়ির সামনের দিকেই থাকে। সুতরাং বাইরে থেকে দেখতে গেলে কিন্তু বারান্দার দিকেই সবার আগে নজর যাওয়া স্বাভাবিক। অথচ বাড়ির এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটির সাজসজ্জার দিকে আমরা কেউই বিশেষ নজর দিই না। ড্রয়িং, ডাইনিং, বেডরুম ইত্যাদির প্রতি যে যত্ন নিই, বারান্দার ভাগ্যে তার একরত্তিও জোটে না। এ কিন্তু ভারী অন্যায়!

cc

বারান্দায় ছোট ছোট টবে রঙিন ফুল বা সাধারণ প্ল্যান্ট রাখতে পারেন। পাতাবাহার, মানিপ্ল্যান্ট, ফরচুন ট্রি, বনসাই ইত্যাদি বারান্দায় দেখতে বেশ ভাল লাগে। হ্যাঙ্গিং পটও বারান্দার সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করবে। আজকাল তো বাজারে বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর টব পাওয়া যায়। চিরাচরিত টবের পরিবর্তে সিরামিক, তামা, পিতল বা ক্লে-র তৈরি টব রাখতে পারেন।

কিংবা বারান্দার গ্রিল বা পিলার বরাবর কোনও লতানো গাছ দিয়ে সাজাতে পারেন। বিভিন্ন ওয়াল হ্যাঙ্গিং বা উইন্ড চাইমসও রাখতে পারেন। কাগজ বা ম্যাগাজিন পড়ার অভ্যেস থাকলে এক কোণে ছোট কাপবোর্ড রাখতে পারেন, বারান্দা অনেক পরিপাটি থাকবে। কাপ বোর্ডের উপরে ছোট তামা বা পিতলের ক্যান্ডেল বোল রাখতে পারেন। ভিতরে রঙিন নুড়ি পাথর, ফুল আর জল রাখুন। মোমবাতি না রাখলেও দেখতে ভাল লাগবে। গ্রীষ্মের দিনগুলোয় সন্ধেবেলা তাতে মোম জ্বালাতে পারেন। বারান্দাময় একটা উষ্ণ আবহ বজায় থাকবে। কাপ বোর্ডের উপর ছোট মূর্তি বা ফোটো ফ্রেমও রাখতে পারেন।

dd

বারান্দায় বসার ব্যবস্থা থাকা অত্যাবশ্যক। ছোট বারান্দার ক্ষেত্রে কয়েকটা বেতের মোড়া বা কাঠের টুল রাখলেই যথেষ্ট। জায়গায় কুলোলে একটা ছোট সেন্টার টেবলও রাখতে পারেন। বড় ব্যালকনির ক্ষেত্রে প্রপার সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট রাখুন। বেতের সোফা বারান্দার ইমেজের সঙ্গে বেশ ভাল মানায়। অবশ্য রট আয়রন বা কাঠ পছন্দ হলে, তাও রাখতেই পারেন। সঙ্গে রাখুন মাঝারি আকারের একটা সেন্টার টেবল। আসবাব বদল সম্ভব না হলে, বারান্দার চেয়ারে কয়েকটা কুশন কিনে রাখতে পারেন। একটু উজ্জ্বল বা আধুনিক কুশন কভার বাছলেই দেখবেন, ব্যালকনির আমেজে বেশ বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। বড় ব্যালকনি হলে কোণজুড়ে রাখতে পারেন দোলনাও। আরামকেদারা বা সুইং চেয়ার রাখলে বিশেষ জায়গারও প্রয়োজন নেই। তাই ছোট বারান্দার ক্ষেত্রে এগুলো বাছতে পারেন।

ফল ও শাকসবজি ধোয়ার নিয়ম

অন্য যেকোনো পরিস্থিতিতে ফল ও শাকসবজি যেভাবে পরিষ্কার করতেন, এখনো সেভাবেই পরিষ্কার করুন।

করোনাভাইরাসের মহামারির এ সময় নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার চিন্তায় অনেকের মনেই অনেক ধরনের প্রশ্ন জাগছে। এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

• সবার আগে অবশ্যই আপনার হাত সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।

• এরপর ফল ও শাকসবজি পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ফল ও শাকসবজির কোনোটা কাঁচা খেলে সেটা অবশ্যই খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

মুচমুচে জিলাপির রেসিপি

মুচমুচে জিলাপির রেসিপি
রমজান মাসে এলেও নেই দুপুরের পর থেকেই ইফতারের দোকানে দীর্ঘ লাইনের চিরচেনা সেই দৃশ্য। করোনার ভয়াবহ এই সময়ে সবাই যখন ঘরে, তখন ইফতারও তৈরি হচ্ছে নিজেদের রান্নাঘরেই। আর ইফতারের কমন আইটেম সবার প্রিয় জিলাপি। জেনে নিন সবচেয়ে সহজে কম সময়ে ও অল্প খরচে কীভাবে তৈরি করবেন শাহী জিলাপি:

উপকরণঃ
ময়দা দেড় কাপ
বেকিং পাউডার এক চা চামচ
টক দই ২ টেবিল চামচ
লবণ সামান্য
পানি ৪-৬ টেবিল চামচ
জর্দার রং সামান্য।

সিরার জন্য
চিনি ২ কাপ, পানি তিন কাপ, এলাচ ৩টি, ঘি সামান্য। ভাজার জন্য তেল।

যেভাবে করবেনঃ
প্রথমেই চিনি ও পানি জ্বালিয়ে কিছুক্ষণ পরে এলাচ দিয়ে সিরা করে নেবেন। সিরায় আধা চা চামচ ঘি মিশিয়ে নিন। ময়দার সঙ্গে বেকিং পাউডার ও দই দিয়ে মেশান। অল্প অল্প করে পানি মিশিয়ে একটু ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন বেশি ঘন না হয়। পরিষ্কার প্যাকেট বা সসের বোতলে জিলাপির মিশ্রণ নিয়ে নিন। এবার প্যানে তেল গরম হলে প্যাকেট বা বোতল থেকে চেপে ধরে জিলাপির প্যাঁচ দিয়ে দিয়ে পছন্দমতো ছোট-বড় আকারের জিলাপি মাঝারি আঁচে দু’পাশেই ভেজে নিন।

হালকা গরম থাকা সিরায় ভাজা জিলাপিগুলো দিয়ে ৪/৫ মিনিট রাখুন। তুলে নিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ মজার শাহী জিলাপি।

করোনায় বাজার করার সতর্কতা

মহামারী করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের ঘরে বন্দি রাখা। তবে জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপণ্য, ওষুধ ও কাঁচাবাজারের জন্য অনেককেই ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বাইরের জীবাণু থেকে রক্ষা পেতে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

করোনার কারণে কাঁচাবাজার থেকে সুপারশপ সবখানেই কিছু না কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে বাইরে যেভাবে সুরক্ষা নেয়া হোক না কেন নিজে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ভয় শুধু করোনাভাইরাস নিয়ে নয়। এসব স্থানে অনেক ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে থাকে, যা পুরোপুরি ধ্বংস করা সম্ভব হয় না। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য জানানো হয়েছে।

আসুন জেনে নিই বাজার করার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি-

১. সুপারশপে বাজার করার সময় অবশ্যই আপনাকে ঝুড়ি হাতে নিতে হবে। আর ঝুড়ি কিংবা কার্টের হাতলগুলো প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ স্পর্শ করেন। তাই এই হাতল থেকে জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপারশপগুলোর প্রায় অর্ধেক ঝুড়িতে থাকে এনটেরোব্যাক্টেরিয়া, যার কারণে অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। তাই জীবাণুমুক্ত থাকতে ঝুঁড়ির হাতলগুলো জীবাণুনাশক ‘ওয়াইপস’ দিয়ে মুছে নিতে হবে।

২. সুপারশপ ও মুদি দোকানের ফ্রিজের হাতলগুলোও প্রতিদিন বহু মানুষ স্পর্শ করেন। তাই জীবাণুমুক্ত থাকতে ফ্রিজের হাতলগুলো ধরার আগে জীবাণুনাশক ‘ওয়াইপস’ দিয়ে মুছে নিতে হবে। বাজারে যাওয়ার সময় সঙ্গে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ নিয়ে যান। আর ফ্রিজের হাতল স্পর্শ করার পরই তা দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।

৩. হিমায়িত খাবার কেনার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। খেয়াল করে দেখুন হিমায়িত খাবারের প্যাকেটে কোনো ফুটো আছে কিনা বা পানি পড়ছে কিনা। এসব প্যাকেট ছিঁড়ে গেলে রোগ-জীবাণু খুব সহজে প্যাকেটের ভেতরে প্রবেশ করে, যা খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৪. বাসা থেকে ব্যাগ নিয়ে বাজার করতে যান অনেকে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কাঁচাবাজারের ক্ষেত্রে তা নিরাপদ নয়। কারণ বাজারের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে জীবাণু। এসব জীবাণু ভরা জায়গা থেকে সদাই নিয়ে ঘুরে আসা ব্যাগ ঘরে জীবাণু ছড়াতে পারে।

তাই প্রতিবার ব্যবহারের পর তা ভালোভাবে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। না হলে এ ব্যাগই হয়ে ওঠে রোগ-জীবাণুর কারখানা। আর এক ব্যাগ একাধিকবার ব্যবহার না করাই ভালো।

যে লক্ষণে বুঝবেন আপনি করোনায় আক্রান্ত

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস আতঙ্ক সারা পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। সেইসাথে এ রোগ নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ও ভুল তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এ সময়ে করোনা সংক্রান্ত সঠিক তথ্যটি জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন।

জ্বর
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন জ্বর হওয়া অনেক স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে সময়টা যেহেতু কোভিড-১৯ এর, ফলে জ্বর হলে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। কারণ করোনাভাইরাসের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। তাই জ্বর যদি ৭ দিনের বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
কানে ব্যথা করোনাভাইরাসের আরেকটি লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কানে ব্যথা। কানে তীব্র বা মৃদু ব্যথা থাকতে পারে। কানের ভেতরে চাপ অনুভূত হতে পারে। কানে ব্যথা থাকলে মাসাজ করা যাবে না- বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

মাথাব্যথা সাধারণ ফ্লু এর ক্ষেত্রে মাথাব্যথা থাকতে পারে। ডিহাইড্রেশন হয়েও সেই সময় মাথাব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলে এই ব্যথা সেরে যায়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে মাথাব্যথা হলে প্যারাসিটামল খেয়েও সাধারণত ব্যথা কমে না।

চোখ জ্বালাপোড়া ঘুম কম হওয়া, টেনশন বা রেটিনার সমস্যার কারণে চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার লক্ষণ হিসেবেও চোখ জ্বালাপোড়া করতে দেখা গেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেক রোগীর শারীরিক লক্ষণগুলোর মধ্যে ছিল চোখ জ্বালাপোড়া করা।

গলাব্যথা করোনাভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ হলো গলাব্যথা। সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা ও টনসিলের কারণে গলাব্যথা থাকতে পারে। তবে এখন যেহেতু সারাবিশ্ব করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে, ফলে গলাব্যথা থাকলেও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

গায়েব্যথা
করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা হলো, গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল তাদের। বিশেষ করে হাত ও পায়ে। সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রেও হাত, পায়ে ব্যথা থাকতে পারে। তবে করোনাভাইরাসের লক্ষণ হিসেবে যেহেতু এই সমস্যাটি পরিচিত, ফলে অবহেলা করার উপায় নেই।

শ্বাসকষ্ট করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হলে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এ পর্যন্ত বেশিরভাগ করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা গেছে। সুতরাং শ্বাসকষ্ট যে কারণেই হোক, সচেতন থাকতে হবে।
ক্ষুধা মন্দা করোনাভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ হলো খেতে ইচ্ছা না করা। ক্ষুধার অনুভূতি থাকে না। ফলে শরীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি আসতে পারে।

বুকে ব্যথা বুকে ব্যথা, ভার অনুভূত হওয়া, কফ জমে থাকাও করোনাভাইরাসের লক্ষণ। ফলে এমন সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

শীতে আদার উপকারিতা

শীতে আদার উপকারিতা
বছরের অন্য সময়ের চেয়ে শীতে সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। তাই এ সময়ে সুস্থ থাকতে সতর্কতার পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু উপাদানেও নির্ভর করতে হয়।

শীতে সর্দি-কাশিকে দূরে রাখতে খেতে পারেন আদা। আদা আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগকে দূরে রাখবে। রান্নায় স্বাদ বাড়াতে আদা যেমন কাজে লাগে তেমনি অসুখ সারাতে আদার জুড়ি নেই। নিয়মিত আদা খেলে খুশখুশে কাশি, জ্বর, হজম শক্তি বাড়ে। আসুন জেনে নিই আরও যেসব খারণে শীতে আদা খাবেন সে সম্পর্কে-

১. সর্দি, কাশি, জ্বর ও ব্যথা-সংক্রমণে শীতকালে আদা বেশ উপকারী। রোজ সকালে খেতে পারেন আদা চা ও। এতে শরীর ভালো থাকবে।

২. শীত যাদের গলা খুশখুশ, নাক বন্ধ, নাকের-চোখের পানি একসার তারা জিভের তলায় বা গালে রেখে দিন আদার টুকরো। আদার ঝাঁঝাঁলো রস গলায় গেলেই আরাম পাবেন।

৩. শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে আদা। তাই শরীর উষ্ণ রাখতে নিয়মিত আদা চা বা টুকরো আদা চিবিয়ে খান।

৪. রক্তের সমস্যা কমায় আদার রস। শীতে অনেকেরই তাপমাত্রা কমে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় না। এতে ব্যথা বাড়ে বাতের। সমস্ত সমস্যা কমাতে তাই রোজ উষ্ণ পানীয়ে মিশিয়ে নিন আদা। কাঁচা আদা খেলেও একই উপকার পাবেন।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

মেয়েরাই বাবা-মায়ের দেখাশোনায় এগিয়ে

প্রথমবারে মতো বাবা-মা হওয়ার সময়ও ছেলে সন্তানেরই আশা করে থাকেন বেশিরভাগ দম্পতি। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা। বেশিরভাগ বাবা-মাই মনে করে থাকেন, ‘মেয়েদের তো বিয়ে দিয়ে দেব, তারা পরের ঘরে চলে যাবে। তাই বৃদ্ধ বয়সে ছেলে সন্তানদের কাছেই আমাদের থাকতে হবে এবং তারই তো আমাদের দেখভাল করবে।’

কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধারণাটি ঠিক নয়, পুরোপুরি ভুল।

ওই গবেষণায় দেখা যায়, একটা মেয়ে তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের পরিচর্চায় মাসে ১২.৩ ঘণ্টা সময় দেয়। বিপরীতে একটা ছেলে সময় দেয় মাত্র ৫ দশমিক ৬ ঘণ্টা। অর্থাৎ মেয়েদের তুলনায় অর্ধেকেরও কম সময় দেয় ছেলেরা।

একটা মেয়ে তার বাচ্চা-কাচ্চা, চাকরি এবং সংসারের হাজারটা সমস্যা সামাল দেয়ার পরও অন্য কারো সাহায্য ছাড়াই অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দেখভাল করে থাকেন। অন্যদিকে ছেলে সন্তানেরা এ কাজটা করে থাকেন বোন, স্ত্রী কিংবা কোনো কাজের লোকের সহায়তায়। তারপরও বাবামায়ের যত্নে তাদের মধ্যে গাফিলতি দেখা যায়।

বেসরকারি ওই সংস্থাটি পঞ্চাশোর্ধ ২৬,০০০ লোকের উপর জরিপ করার পরই এ কথা জানিয়েছে।

অথচ যুগের পর যুগ ধরে আমরা এই ভ্রান্ত ধারণাটা নিয়ে বসে আছি যে, কেবল ছেলেরাই বৃদ্ধ জনক জননীর দেখভাল করবে। আসলে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সেবাযত্নের ক্ষেত্রে লিঙ্গ কোনো ফ্যাক্টর নয়, দরকার কেবল একটা মায়াভরা মন। তাই মেয়ে বা ছেলে যাই হোক না কেন, সব সন্তানকেই সমান স্নেহ মমতায় বড় করে তুলতে হবে। তাদের প্রকৃতপক্ষে মানুষ বানাতে হবে। তারা মানবিকভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ পেলে তবেই না বৃদ্ধ পিতামাতার যত্ন করবে। নইলে তো তারা কেবল নিজেদের অর্থিক উন্নতির চেষ্টা করবে। এ সমস্ত সন্তানদের কাছে বাবা-মায়েরা তো কেবলই বোঝা। বুড়ো বাবা-মায়েদের জন্য তারা তো নিজেদের মধ্যে কোনো টানই অনুভব করে না, যত্ন করবে কি করে?

খাঁটি মধু চেনার উপায়

খাঁটি মধু চেনার উপায়

মধু উচ্চ ওষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এতে রয়েছে একাধিক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। শীতকালে সর্দি-কাশি সারাতে মধুর জুড়ি নেই। এটি কখনও নষ্ট হয় না। কিন্তু কি করে বুঝবেন, যে মধু খাচ্ছেন সেটি খাঁটি কিনা?

জেনে নিন খাঁটি মধু চেনার উপায়-

খাঁটি মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না।
মধুতে কখনও খারাপ গন্ধ হবে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয়।
এক টুকরো ব্লটিং পেপার নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। যদি কাগজ তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, বুঝবেন মধু খাঁটি নয়।

শীতের দিনে বা ঠান্ডায় খাঁটি মধু দানা বেঁধে যায়।
একটি মোমবাতি নিয়ে সেটির সলতেটি ভালভাবে মধুতে ডুবিয়ে নিন। এ বার আগুন দিয়ে জ্বালানোর চেষ্টা করুন। যদি জ্বলে ওঠে, তাহলে বুঝবেন যে মধু খাঁটি। আর যদি না জ্বলে, বুঝবেন যে মধুতে পানি মেশানো আছে।

বেশ কিছুদিন ঘরে রেখে দিলে মধুতে চিনি জমে যায়। কিন্তু বয়াম-সহ মধু গরম জলে কিছুক্ষণ রেখে দিলে চিনি গলে ফের মধু হয়ে যাবে। কিন্তু নকল মধুর ক্ষেত্রে এটা হবে না।

এক টুকরো সাদা কাপড়ে মধু মাখিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি দাগ না পড়ে তাহলে বুঝবেন মধু।

গ্লাসে বা বাটিতে খানিকটা পানি নিয়ে তাতে এক চামচ মধু দিন। যদি মধু পানির সঙ্গে সহজেই মিশে যায়, তাহলে বুঝবেন যে এটা অবশ্যই নকল। আসল মধুর ঘনত্ব পানির চাইতে অনেক বেশি, তাই তা সহজে মিশবে না। এমনকি নাড়া না দিলেও মধু পানিতে মিশবে না। সূত্র: জিনিউজ

শীতে পানির ঘাটতি হলে

শীতে পানির ঘাটতি হলে

শীতে এমনিতেই পানি খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। শরীর থেকে ঘাম হয়ে পানি বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা কমে যাওয়ার কারণে পানির চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তবে শরীর কিন্তু গরমে কাজ করতে যতটা পানি কাজে লাগায়, শীতেও জৈবিক কাজ সারতে ততটাই পানির প্রয়োজন হয়।

সমস্যা হয় শীতকালে মানুষের পানির অভাব খুব একটা অনুভব হয় না। তবে শীতকালে পানি কম খেলে তার কিছু লক্ষণ ঠিকই প্রকাশ পায়। এই যেমন কোনো অসুখ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর কিংবা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়।

শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে এক প্রকারের মাথা যন্ত্রণা দেখা দেয়। এমনিতে মাইগ্রেন বা চোখের কোনো সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ মাথা ধরলে বুঝবেন ‘ওয়াটার থেরাপি’ দরকার। অল্পতেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়লে বুঝতে হবে শরীরে পানির অভাব হচ্ছে। অনেকটা শ্রমের কাজ বা গা-ঘামানো কোনো কাজে ব্যস্ত থাকলে ফাঁকে ফাঁকে একটু বিরাম নিয়ে পানি খেলে শরীর ক্লান্ত হওয়া বন্ধ হবে। মূত্রের মাধ্যমে শরীরের অনেকটা টক্সিন বেরিয়ে যায়। কিন্তু পানি কম খেতে থাকলে শরীর তার পর্যাপ্ত টক্সিন বয়ে নিয়ে যাওয়ার উপকরণ পায় না। তাই মূত্র কম তো হয়ই, সঙ্গে তাতে জ্বালাভাবও থাকে। পানি কম খাওয়ার আরেকটি লক্ষণ কোষ্ঠকাঠিন্য।

কিছু খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আবার খিদে অনুভব হলে বুঝতে হবে শরীরে পানির অভাব রয়েছে। পানির অভাবে শরীরে টক্সিন জমলে অবধারিতভাবে তা ত্বককে নিষ্প্রাণ করে তুলবে। তাই ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠলেও বুঝতে হবে শরীরে পানির অভাব হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার

স্ক্রিনে তাকালে শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষতি: গবেষণা

এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি, ল্যাপটপ বা মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে শিশুদের মস্তিষ্কের গঠন পরিবর্তিত হয়ে যায়। সম্প্রতি গবেষণাটি বিখ্যাত গবেষণাগ্রন্থ ‘দ্য জার্নাল অব আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এ প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণাটি করা হয় তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী ৪৭ জন শিশু নিয়ে। এদের মধ্যে ২৭ জন মেয়ে ও ২০ জন ছেলেশিশু। গবেষকরা তাদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করেন এবং তাদের দু’টি দলে ভাগ করেন। একদল স্ক্রিনে কম সময় কাটায়, আরেকদল স্ক্রিনে বেশি সময় কাটায়। গবেষনাটি করতে শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে তাদের শিশুরা কতক্ষণ স্ক্রিনে সময় কাটান সে তথ্য নেন গবেষণা প্রবন্ধটির প্রধান লেখক ডা. জন হাটন ও তার সহকর্মীরা।

এতে স্ক্রিন-কিউ টেস্ট ব্যবহার করা হয়। তাদের ইন্টারনেট সুবিধা, ব্যবহারের পরিমাণ, দেখার বিষয়বস্তু সব লিপিবদ্ধ করা হয়। ১৫টি প্রশ্নের একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যারা কম নম্বর পেয়েছে, তারা স্ক্রিনে বেশি সময় কাটিয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব পেডিয়াট্রিক্সের (এএপি) মতে, তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের এক ঘণ্টার বেশি সময় স্ক্রিনে কাটানো উচিত না।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুরা ট্যাবলেট, স্মার্টফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশন স্ক্রিনে বেশি সময় কাটায়, তাদের মস্তিষ্কের সাদা পদার্থের পরিমাণ কমে গেছে। মস্তিষ্কের সাদা পদার্থের কাজ হলো মস্তিষ্কের এক অংশ থেকে অন্য অংশে বিভিন্ন বার্তা পৌঁছানো। এতে করে ওই শিশুদের ভাষার দক্ষতাসহ চিন্তাক্ষমতা কমে যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এর ফলে তাদের কথা বলা ও পড়ার ক্ষমতাও ঠিকভাবে গড়ে ওঠে না।

সিনসিনাতি চিলড্রেন্স হসপিটাল মেডিক্যাল সেন্টারে এসব শিশুদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। তারা এই পরীক্ষায় কম নম্বর পায়। একই সঙ্গে, তাদের এমআরআই স্ক্যান করা হয়। তিনটি পরীক্ষা করে তাদের পরীক্ষা করা হয় ভাষা দক্ষতা। সেখানে তাদের শব্দ ব্যবহার, পড়া, তথ্য বোঝার ক্ষমতা নির্ণয় করা হয়।

যাদের স্ক্রিন-কিউ বেশি, তাদের মস্তিষ্কের সাদা পদার্থের পরিমাণ কম। তাদের নিউরনের মাইলিনের গঠন পরিবর্তন হয়ে গেছে। মাইলিন হচ্ছে চর্বি সমৃদ্ধ এক ধরনের পদার্থ যা মস্তিষ্কের সাদা অংশের নিউরন তন্তুকে ঢেকে রাখে।

মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে বার্তাবাহকের কাজ করে মাইলিন। কোনো রোগ বা অন্য কারণে এর পরিমাণ কমে গেলে, বার্তা পৌঁছাতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে। এছাড়া, শিশুদের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাও কমে যায়।

যারা স্ক্রিনে বেশি সময় কাটায় অর্থাৎ যাদের স্ক্রিন-টাইম বেশি, তারা কগনিটিভ টেস্টেও কম নম্বর পেয়েছে। তাদের ভাষাদক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। নিজেদের চিন্তা ও অনুভবকে সহজ ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না তারা। বিভিন্ন বস্তু শনাক্ত করে সেগুলোর নাম বলায় তাদের গতি ছিল ধীর। সাধারণত শিশুরা পড়তে ও লিখতে শেখার আগে এটি শেখে। গবেষণাটিতে শিশুদের মস্তিষ্ক গঠনের বয়সে স্ক্রিন-টাইমের প্রভাবের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

তবে, এই গবেষণাটির সমালোচকরা জানান, এই ফলাফল বিভ্রান্তিকর। এটি দেখে শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষতি হলো কি-না তা নিয়ে বাবা-মাকে উদ্বেগ প্রকাশ করতে নিষেধ করেন তারা।

কমলা লেবুর যতো গুন

কমলা লেবুর যতো গুন
চোখ ধাঁধানো রং, টক-মিষ্টি স্বাদ আর সুঘ্রাণের জন্য কমলা সবার কাছেই প্রিয় একটি ফল। গোলাকার এই ফলটি দেখতে যতটা সুন্দর, এর উপকারিতাও কিন্তু ততটাই। নিয়মিত কমলা খেতে পারলে অনেকরকম অসুখ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

কমলায় প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফ্ল্যাভনয়েড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। একজন মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়, তার প্রায় পুরোটাই একটি কমলা লেবুতে পাওয়া যায়। ওজন কমানো, ত্বকের পুষ্টি এমনকী হৃদযন্ত্র ভালো রেখে শরীরে রক্ত চলাচল নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে কমলা। জেনে নিন কমলার আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান থাকে কমলায়, যা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ছোটবড় নানা ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে। ভিটামিন সি-এর অভাবে মুখে যে ঘাঁ হয় তার ঔষধ হিসেবে কমলা ভালো কাজ করে।

নিয়মিত কমলা খেলে দূরে থাকা সম্ভব মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে। কমলায় রয়েছে প্রচুর আলফা ও বেটা ক্যারোটিন ফ্ল্যাভনয়েড যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কমলায় লিমোনয়েড নামে এক পদার্থ থাকে যা মুখ, ত্বক, ফুসফুস, স্তন, পাকস্থলীতে ক্যান্সার প্রতিরোধে সরাসরি উপযোগী।

কমলা খেলে আপনার চোখও ভালো থাকবে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ঠিক রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ। কমলায় প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়া মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য জরুরি ফলিক অ্যাসিড যথেষ্ট থাকে কমলায়।

যদি আপনি আপনার বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলতে চান তবে কমলা রাখুন খাবার তালিকায়। কমলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওজন কমায়। খেতে পারেন কমলার রস করেও।

ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কমলার জুড়ি নেই। কমলায় থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে বহু বছর। এটি ত্বকের ব্রণ সমস্যা দূর করে ও ত্বকের কালো দাগ সারায়।

কমলায় আছে পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। যা শরীরে সোডিয়ামের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল কমাতেও কমলার জুড়ি মেলা ভার। কমলার চর্বিহীন আঁশ, সোডিয়াম মুক্ত এবং কোলেস্টেরল মুক্ত উপাদানগুলো হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে।

কমলার রয়েছে ভিটামিন সি যা যেকোনো ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে এবং ফ্লু ও ঠান্ডা প্রতিরোধে কাজ করে। এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম যা দাঁত ও হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক কমলালেবু। কমলা খেলে খাওয়ার রুচিও বাড়ে।

খোলা জায়গায় ব্যায়াম বেশি ভালো

নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করলে নানা রকম রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়, ওজন কমানো যায়, ভালো ঘুম হয় আর মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু অনেকেই সময় এবং সুযোগের অভাবে কোনো জিমনেসিয়ামে গিয়ে কিংবা বাড়িতেই ঘরের মধ্যে ব্যায়াম করেন।

তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ঘরের মধ্যে ব্যায়াম করে ঘাম ঝরানোর চেয়ে উন্মুক্ত পরিবেশে শরীর চর্চা করলে বেশি উপকার হয়। জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব রোয়েহ্যাম্পটন এর এক গবেষণায় এই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে মেন্টাল হেলথ এন্ড প্রিভেনশন জার্নালে।

চিকিৎসকদের মতে, বাড়তি ওজনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক পরিশ্রম করলে ক্যালরি খরচ হয়। শারীরিক পরিশ্রম যত বেশি করা হবে ক্যালরি খরচ তত বাড়বে এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ব্যায়াম এবং শরীরচর্চার ফলে শরীরের প্রতিটি কোষে অতিরিক্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ হয়। যা কি না শরীরকে সুস্থ রাখার মাধ্যমে কর্মস্পৃহা বাড়ায়।

শরীরচর্চা করলে মস্তিষ্ক থেকে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। এসব রাসায়নিক উপাদান চিত্ত প্রফুল্ল করে এবং শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি চেহারায় লাবণ্য ও ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে বিষণ্নতা কিংবা হতাশার মতো রোগ থেকেও নিজেকে রক্ষা করা যায়। এছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হৃদেরাগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অস্থিক্ষয় এবং ক্যানসারের মতো অনেক ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

ঐ গবেষণা দলের প্রধান ড. সান্দ্রা ক্লাপারস্কির নেতৃত্বে ১৪০ জনের ওপর গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ব্যায়াম করার আগের ও পরের মানসিক অবস্থা, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উত্কণ্ঠা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে যারা ঘরের মধ্যে ব্যায়াম করেন তাদের চেয়ে যারা সাধারণত খোলা জায়গায় ব্যায়াম করেন তাদের মানসিক অবস্থা বেশি ভালো থাকে। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যারা সাধারণত সবুজ গাছপালার মধ্যে ব্যায়াম করেন তাদের মানসিক অবস্থা অন্যদের চেয়ে ভালো থাকে। অন্যদের চেয়ে নিজেদের বেশি সবল মনে করেন। গবেষকদের মতে, প্রকৃতির শান্ত পরিবেশ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

-ডেইলি মেইল

অতিরিক্ত ওজন এবং ক্যানসার

অতিরিক্ত ওজন এবং ক্যানসার

আপনি সব সময় শুনে এসেছেন যে অতিরিক্ত ওজন হৃদেরাগ, ডায়াবেটিস এবং আরো অনেক অসুখ ঘটাতে পারে। কিন্তু আপনি কি জানেন, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষকেরা সন্দেহ করে আসছেন যে শারীরিক ওজনের সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে তারা প্রমাণ পেয়েছেন কীভাবে শারীরিক ওজন ক্যানসার ঘটায়। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি শুধু সেখানে বসে থাকে না, সেটা তন্ত্রে সক্রিয় পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্যানসার সৃষ্টি হওয়াকে সহজ করে দেয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, চর্বি কোষগুলো বুকে হরমোনসহ শারীরিক বৃদ্ধি ঘটানো বস্তুগুলোর নিঃসরণ ঘটাতে দ্রুত কাজ করে। এসব বস্তু শরীরের বিভিন্ন কোষে সংকেত পাঠিয়ে দ্রুত কোষের বিভাজন ঘটায়। এভাবে যত্রতত্র কোষ বিভাজন বেড়ে যায় এবং তা ক্যানসারের সৃষ্টি করে।

অতিরিক্ত ওজনের ফলে যে ক্যানসার ঘটে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেখানে সেক্স হরমোন ইস্ট্রোজেন এবং টেসটোসটেরনের একটা সম্পর্ক রয়েছে। এসব ক্যানসার হলো স্তন, অ্যান্ডোমেট্রিয়াম এবং প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যানসার। উদাহরণস্বরূপ, মেনোপজ পরবর্তী মহিলার স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেখা গেছে মহিলার ওজন অনেক বেশি। গবেষকেরা বিশ্বাস করেন যে, মোটা মহিলারা মেনোপজের পরে অবিরাম কিছু ইস্ট্রোজেন তৈরি করে যান, যা তাদের ডিম্বাশয়ে উত্পন্ন হয় না, উত্পন্ন হয় তাদের চর্বিকলা থেকে। আর একজন মহিলার সারা জীবনে বেশি ইস্ট্রোজেন নিঃসৃত হওয়া মানে তার স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া। সেক্স হরমোন একমাত্র দোষী হরমোন নয়।

শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ইনসুলিনের মাধ্যমেও ক্যানসার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। ইনসুলিন হরমোন খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করে। অতিরিক্ত ওজনের লোকদের কোষগুলো কখনো কখনো ইনসুলিনের প্রতি কম সংবেদনশীল হয়। এর মানে হলো রক্ত থেকে চিনি অপসারণ করতে শরীরকে বেশি ইনসুলিন উত্পন্ন করতে হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ইনসুলিন কোষের বিভক্তি ঘটায় এবং এভাবে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ইনসুলিনের এই ব্যাপারটি যেসব মোটা লোকের ঘটে, তাদের সাধারণত অন্ত্রের ক্যানসার হয়। কারণ অন্ত্রের কোষগুলো শরীরের অন্যান্য কোষের চেয়ে দ্রুত বিভক্ত হয়। চর্বি কোষ যত বড় হবে তত বেশি ইনসুলিন উত্পন্ন হবে, আর ক্যানসারের ঝুঁকির তত বেড়ে যাবে।

.
লেখক : ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল। সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমা বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।

পরিপাটি পূজার সাজ

বছর ঘুরে আবারও বেজে উঠল পূজার ঘণ্টা। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব এ দুর্গাপূজা। ঢাকের শব্দ আর বাতাসের তালে কাশফুলের দোলা, নাড়ু-মুড়কি ম ম ঘ্রাণ আর চিরায়িত লালপেড়ে সাদা শাড়ি মনে করিয়ে দেয় পূজার আগমনী বার্তা।

পূজার সময়ে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সাজতে পারবেন একদম মনের মতো করে। কারণ এসময় সবচেয়ে বেশি ঘোরাঘুরির; বেশি বেশি নিমন্ত্রণের। এমন আনন্দের দিনে সাজটাও থাকা চাই নিখুঁত। চলুন জেনে নেই কেমন সাজে এ পূজায় হয়ে উঠবেন অনন্যা-

ষষ্ঠী এবং সপ্তমীর সাজ
মেকআপ ভারি না রেখে সাজে স্নিগ্ধতা রাখলেই দেখতে ভালো লাগবে। মেকআপের শুরুতে একটা প্রাইমার লাগিয়ে নেবেন। এতে করে মেকআপ ত্বকে বসবে এবং নষ্ট হবে না সহজে। স্নিগ্ধ সাজের বেইজের জন্য বেছে নিন বিবি ক্রিম। এতে মেকআপ ভারি লাগবে না দেখতে। হালকা কন্ট্যুরিং, ব্লাশ এবং চাইলে হাইলাইটার লাগিয়ে নিতে পারেন। ভারি এবং গর্জিয়াস চোখের সাজ রেখে দিন অষ্টমী থেকে দশমীর জন্য।

ষষ্ঠী এবং সপ্তমীতে হালকা গোল্ডেন, শ্যাম্পেইন, রোজগোল্ড কালারগুলো আইশ্যাডো হিসেবে লাগাতে পারেন। তবে আইলাইনার এবং মাশকারা কিন্তু অবশ্যই রাখবেন। পূজার লুকে আইলাইনারটা দেখতে বেশ লাগে! চাইলে কাজলও লাগাতে পারেন। স্নিগ্ধ লুকের জন্য ষষ্ঠীর দিন একটু হালকা ধাঁচের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। তবে সপ্তমীতে একটু কালার যোগ করলে মন্দ হয় না। ব্যবহার করতে পারেন- ন্যুড, ব্রাউন, টেরাকোটা, অরেঞ্জ, পিংক, ব্রাউনিশ পিংক ইত্যাদি কালার।

অষ্টমীর সাজ
অষ্টমীতে গাঢ় রঙের শাড়ি ও পোশাক বেছে নিন। লাল, মেরুন, তসর, সিল্ক, কাতান অথবা সাদা-লালপাড় শাড়ি পরে যেতে পারেন এদিন। আঁচলে ভারি কাজ আছে এ রকম লালপাড়ের শাড়ি এক প্যাঁচ করে পরলে ভালো দেখাবে। অষ্টমীর দিন সকালে লাল শাড়ি পরার প্রচলন আছে। মেকআপের শুরুতে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে টোনার বুলিয়ে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নিন।

দিনের সাজে মেকআপ যতটা সম্ভব হালকা হওয়া উচিত। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বা কন্ট্রাস্ট করে চোখে আইশ্যাডো লাগান। পেনসিল আইলাইনার দিয়ে কিছুটা মোটা করে লাইন টেনে আইশ্যাডো ব্রাশ দিয়ে স্মাঞ্জ করে নিন। মাশকারা দিন ঘন করে। ঠোঁটে লাল রঙের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। সঙ্গে হালকা পিংক ব্লাশন। কপালে বড় লাল টিপ লাগিয়ে নিতে পারেন। আর বিবাহিতদের সিঁথিতে সিঁদুর তো আছেই। পায়ের আলতা দিতে পারেন পছন্দ অনুযায়ী। গোল্ড প্লেটের গয়না বেছে নিতে পারেন এ দিন। বাইরে বের হওয়ার আগে ভালো পারফিউম ব্যবহার করে নিন। চুল সামনের দিকে সেট করে পেছনে কার্ল করে ছেড়ে বা বেঁধে নিতে পারেন। কানের পেছনে চুলে গুঁজে দিন বেলি ফুলের মালা বা সাদা ও লাল জারবেরা।

নবমী ও দশমীর সাজ
এ দুই দিন সাজ হবে বেশ জমকালো। এসময় প্রচুর ঘোরাফেরা, দাওয়াত ইত্যাদি থাকে। তাই মেকআপ এক্সপেরিমেন্টাল হলে মন্দ হয় না! প্রথমেই ত্বকটাকে মেকআপের জন্য তৈরি করে নিয়ে প্রাইমার লাগিয়ে নেবেন। যেহেতু দুর্গাপূজা বলে কথা! অবশ্যই মেকআপ ফুল কভারেজ হবে। আর মেকআপটাও ভারি হবে। তাই বেছে নিন পছন্দের ফুল কভারেজ ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশন ত্বকে লাগিয়ে ব্রাশ বা বিউটি স্পঞ্জের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিন। মুখটাকে উজ্জ্বল দেখানোর জন্য ক্রিম হাইলাইটিং করতে পারেন। এর জন্য আপনার ত্বকের থেকে ২-৩ শেইড লাইট একটা কন্সিলার নিয়ে আপনার চোখের নিচে, কপালে, নাকের উপরে, থুতনিতে, কন্ট্যুরিং লাইনের নিচের দিকে লাগিয়ে নিন। কন্সিলারটি ব্রাশ-বিউটি স্পঞ্জের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিন।

এবার পুরো ফেস লুজ পাউডার দিয়ে সেট করে নিন। মুখ স্লিম এবং শার্প দেখাতে পাউডার কন্ট্যুরিং করে নিন। চাইলে আগে ক্রিম কন্ট্যুরিংও করে নিতে পারেন। চিকসের নিচে, কপালে হেয়ার লাইনে, নাকের দুই পাশে, থুতনির নিচে কন্ট্যুরিং এবং ব্লেন্ড করে নিন। মুখে একটু কালার যোগ করতে ব্লাশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন পিংক, কোরাল, অরেঞ্জ, ব্রাউন, পিচ ইত্যাদি রং। পূজার গর্জিয়াস মেকআপের সঙ্গে হাইলাইটার কিন্তু বেশ জমকালো লুক আনতে সাহায্য করবে। হাইলাইটার ব্রাশের সাহায্যে পাউডার হাইলাইটার নিয়ে চিক বোনে, কপালে, আইব্রো বোনে, আইব্রোর ওপরের দিকে, নাকের ওপরে, থুতনিতে এবং ঠোঁটের ওপরে লাগিয়ে নিন।

আই মেকআপের শুরুতে আইব্রোগুলো একটু ড্রামাটিকভাবই এঁকে নিলেই ভালো লাগবে। আই মেকআপ হিসেবে আপনি কাট ক্রিজ, হাফ কাট ক্রিজ, গ্লিটারি আই মেকআপ, স্মোকি, গ্লিটার কাট ক্রিজ, হেলো স্মোকি আই, স্পটলাইট আই মেকআপ ইত্যাদি ট্রাই করতে পারেন। চাইলে একেকদিন, একেকটা ট্রাই করবেন। দেখতে কিন্তু বেশ দারুণ লাগবে। আইশ্যাডো হিসেবে বেছে নিন ব্রাউন, রেড, ব্লু, গ্রিন, পিচ, কোরাল, ইয়েলো, পিংক, পার্পল, গোল্ডেন, সিলভার, রোজ গোল্ড, অরেঞ্জ, কপার, শ্যাম্পেইন, পার্ল, ব্রোঞ্জি, ব্ল্যাক ইত্যাদি কালার। আইলাইনার, মাশকারা, মোটা করে কাজল লাগিয়ে নিন মন মতো।

চাইলে লেন্স এবং ফলস আইল্যাশও পরতে পারেন। লিপস্টিক হিসেবে আপনার পছন্দসই যে কোনো কালার বেছে নিতে পারেন। পূজায় কিন্তু লাল রং প্রাধান্য পায়। পরতে পারেন ব্রাউন, ম্যাজেন্টা, পার্পল, বারগেন্ডি, ন্যুড, কোরাল, পিংকিস ব্রাউন, পিচ ইত্যাদি কালারও লাগাতে পারেন। এছাড়াও পূজার সাজে কপালে টিপ কিন্তু বেশ মানাবে। দীর্ঘসময় মেকআপ ধরে রাখতে চাইলে সবশেষে মেকআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করবেন।

এবং চুলের সাজ
সাজগোজে চুলের স্টাইল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চুল একটু লম্বা হলে পূজার সকালে হালকা হাত খোঁপাও ভালো লাগবে। শাড়ির সঙ্গে দিব্যি মানাবে। মাঝখানে সিঁথি করে সামনের দিকটা অল্প ফুলিয়ে নিতে পারেন। একটু কায়দা করতে চাইলে পুরো চুল ব্যাক কোম করে নিয়ে লো বান করতে পারেন। পূজার সন্ধ্যায় একটু গর্জিয়াস সাজতে চাইলে খোঁপায় ফুল বা একটু সাবেকি ধাঁচের খোঁপার কাঁটা বা হেয়ার অ্যাকসেসরিজ লাগাতে পারেন। খোঁপার ওপরে হেয়ার পিনও শাড়ির সঙ্গে ভালো মানাবে। চুল সবসময় বাঁধতে হবে এমন নয়, খোলা চুলেও স্টাইলিং করা যায়। স্ট্রেট করিয়ে নিতে পারেন আবার হালকা কার্লও করতে পারেন। পূজার সাজে ফুল কিন্তু থাকতেই হবে। সকালে মন্দিরে যাওয়ার সময় অর্কিডের গুচ্ছ গুঁজে দিন চুলে। অথবা চুল খোঁপা করে তাতে জড়িয়ে নিতে পারেন শিউলি ফুল, বেলি ফুল বা কাঠবেলির মালা।

ছেলেদের সাজ
পূজায় এখনও পাঞ্জাবি আর ধুতির আবেদনটাই অন্যরকম। পূজার শুরুর দিনগুলোতে তারা হালকা রঙের পাঞ্জাবি ও পায়ে আরামদায়ক ফিতাযুক্ত স্যান্ডেল পরতে পারেন। আর শেষ দিনগুলোতে জমকালো পাঞ্জাবি, ফতুয়া পছন্দ করতে পারেন। যারা একটু অন্যভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান তারা ধুতি পরতে পারেন।

তবে অঞ্জলি বা মণ্ডপে ঘোরার সময় পাঞ্জাবি, ধুতির রাবীন্দ্রিক সাজ থাকলেও অন্যান্য সময় তো হাল ফ্যাশনের ছোঁয়া চাই। শার্ট, টি-শার্ট পরে সন্ধ্যার পর মণ্ডপে ঘোরার মজাই আলাদা। তাই তরুণরা হাল ফ্যাশনের টি-শার্ট আর শার্টের দিকেও ঝুঁকছেন।

পূজায় দিনের বেলা হালকা রঙের পোশাককেই প্রাধান্য দিন। সাদা, ঘিয়ের পাশাপাশি শরতের স্নিগ্ধতা বজায় রাখতে নীল রংও বেছে নিতে পারেন। রাতের জন্য গাঢ় রং নির্বাচন করাই ভালো। লাল, কালো, সবুজ, চকলেট, মেরুন ইত্যাদি রং বেছে নিতে পারেন। ছেলেরা চুলে জেল ব্যবহার করে এ দিন ভিন্ন লুক আনতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন স্টাইলের আংটি ও ব্রেসলেট পাওয়া যায়, পরতে চাইলে হাতের জন্য পছন্দমতো ও মানানসই বেছে নিতে পারেন। দিনের বেলা রোদের কারণে এবং ধুলোবালি থেকে বাঁচতে হাতের কাছে অবশ্যই রাখবেন সানগ্লাস।

গবেষণা: বোন থাকলে জীবন আনন্দদায়ক হয়

গবেষণা: বোন থাকলে জীবন আনন্দদায়ক হয়

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভাই বা বোনের সঙ্গে বেড়ে ওঠা একটি শিশুর জীবন অত্যন্ত আনন্দদায়ক। এরপর কারো যদি একটি বোন থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। ছেলে বা মেয়ে যেই হউক না কেন, সে কিন্তু চরম সুখী। কারণ একজন বোনই পারে মায়া মমতা দিয়ে আপনাদের জীবনকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে তুলতে। তাই অনেকেই দেখি, বড় বোনকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করতে। সংসারে বোনের মতো এতটা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আপনাকে কে দেবে!

তাই যেসব পরিবার এখনও কন্যা সন্তান জন্ম নিলে মন খারাপ করেন তারা এই গবেষণা থেকে আশার আলো দেখতে পাবেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, একটি মেয়ে আপনাকে কতভাবে সাহায্য করতে পারে।

একটি মেয়ে তার পরিবারে জন্য অনেক দায়িত্ব পালন করে থাকে। ছোটবেলা থেকেই সে ছোট ভাইটি বা বোনটির যত্ন নেয়, মাকে ঘরকন্নায় সাহায্য করে। তাই নিজের বোন থাকলে সেই শিশুর মধ্যে মায়া-মমতা ও ভালোবাসার মতো গুণ সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পায়। ম্যাচিওরিটিও তাড়াতাড়ি আসের বোনের প্রভাবে। এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। কেবল ছোটবেলা নয়, বড় হওয়ার পরও বোন হতে পারে আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধু।

৩৯৫টি পরিবারের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন ব্রিংহাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। এমনকি ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়াও মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপযোগী বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

তাই কেবল পুত্র সন্তানের জন্য হা হুতাশ বন্ধ করে আমাদের উচিত মেয়ে সন্তানদের দিকে নজর দেয়া। একই সঙ্গে এক সন্তান নীতি থেকেও সরে আসা উচিত। কারণ ভাই বোন একসঙ্গে মিলেমিশে আনন্দময় পরিবেশে বেড়ে উঠা একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর বড় হওয়ার পরও তারা কখনও নিঃসঙ্গতায় ভুগে না।