তীরন্দাজ-যাদুকর-বিজ্ঞানী এবং অপ্রমাণিত ত্রিভূজ
প্রিয় কবিতা,
এটাই হয়ত তোমার কাছে আমার শেষ চিঠি
এ চিঠি তুমি পড়বে কি না আমি জানি না।
আমি আর চিঠি লিখব না
তোমাকে
কাউকে
ফেসবুকে
ভেবেছিলাম এ কাঠের হৃদয়ে ঝড় তুলতে পারবে
এমন রমণীর সাথে কোথাও কি আর দেখা হবে?
যে চোখ এ চোখে দৃষ্টি দিলে
বুঝে নেবে কি ব্যথা এ অশ্রু জলে
অথচ সে চোখ সাপ হয়ে কেটেছে যে মন
তাই দৃষ্টির দূরেই রয়ে যাক সেই স্বজন।
ধরে নিও
বুঝে নিও
অজস্র কবিদের ভীড়ে
কবিতা পড়তে না পেরে
হেটে হেটে ধুধু মরু প্রান্তর ধরে
গেছে চলে এক কবি দূর-অতিদূরে
সে ছিল এক ভিন্ন ধরণের অভিমানী
তাই সে আর পিছু ফিরে তাকায় নি।
ক্যাপশন যদি আর কখনো ছবি না পায়
ছবি যদি ছবির ফ্রেমের আঁটকে যায়
তবে জেনে রেখো-
“বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়”।
তুমিও জানো
আমিও জানি
সবাই জানে
এ চিঠি, কে – কাকে লিখছে
জানুক – সত্য কে কবে চাপা রাখতে পেরেছে!
ভালো থেকো
ভালো রেখো।
আমি আর হব না মুখোমুখি তোমার
জলে জল মিশিয়ে জ্বলতে চাইব না আর
প্রতিদিন মধ্যাহ্ন আসে বলে কবিতা লিখব না আর
মধ্যাহ্ন আসবে বলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে যাব না আর
মধ্যাহ্ন আসবে বলে-
কোনও সাহিত্য আড্ডায়
একুশের বই মেলায়
কিম্বা কোনও জনসভায়
এবং কবিতা পড়তে রাত্রি জাগব না আর।
প্রিয় কবিতা,
তুমি হয়ত জানো না
আমি শত্রুর সামনে বদর যুদ্ধের এক ক্ষিপ্ত সাহাবী
ব্যাঘ্রের সামনে ক্ষিপ্ত ব্যাঘ্র – সিংহের সামনে হিংস্র সিংহ
অথচ প্রেমিকার সামনে এক ভেজা ট্যাবি।
এতোটুকু ব্যথা যদি দিয়ে থাকি মনে
ক্ষমা করে দিও তোমার সূহৃদয়ের গুণে।
ইতি,
“লিখে রাখো ক্যাপশন তুমি প্রিয় কবি”
কবিতাটির পরিধি সামান্য বাড়ানো গেলে অনায়াশে আবৃতি উপযোগী অসাধারণ কিছু একটা যে হবে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। অভিনন্দন মি. ইলহাম।
অনন্য এবং সুন্দর হয়েছ কবিতাটি। অভিনন্দন প্রিয় কবি ইলহাম ভাই।
কয়েকবার করে পড়লাম কবি ইলহাম দা। আপনি আসলেই জিনিয়াস।