ফেব্রুয়ারী ১২, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪
তুমি স্বাধীন মানুষ; তুমি কোনো রোবট না কাঠ পুতুল না তোমার দেহে প্রাণ আছে অনুভূতি আছে আশা আকাঙ্ক্ষা ইচ্ছা অনিচ্ছা ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা আছে
একটি পুতুল বা কোনো রোবট নিজের ইচ্ছাধীন চলতে পারেনা। তাঁর যে মালিক সে যেভাবে পরিচালনা করবে সেভাবেই চলে।
আমি যখন দেখলাম রোবটটিকে তাঁর স্বাধীনতা দেয়া যায়। স্বাধীন মতো চলতে দেয়া যায়। তখন আমি তাঁর ভিতরে বিশ্বাস দিয়েছিলাম যে, রোবটটি (তুমি) স্বাধীন।
আমি কোনো নিকৃষ্ট কিম্বা বিবেকবুদ্ধিহীন মালিক হতে চাইনা। না সেটা ককখনও না। কেউ কারও মালিক হতে পারেনা।
মানুষ; তুমি কোনো বাজারের পন্য না যে আমি পণ্যটি কিনেছি এবং পণ্যটি এখন থেকে আমার অধিনস্থ।
মানুষ; এই জীবনবাদের জগতে তুমি তোমার নিজের মালিক।
এখানে কেউ তোমাকে বলতে আসবে না তুমি একটি বাজার থেকে কেনা পণ্য। দাসত্বের যুগ আর নেই। মানুষ এখন রাস্তায় খোলা বাজারে বিক্রি হয়না।
মানুষ এখন তাঁর স্বাধীন জীবনের সময়টাকে বিক্রি করে। কখনও খোলা বাজারে কখনও অফিস আদালতে ইত্যাদি।
নির্দয় মানুষের কাছে তুমি পুতুল হতে পারো। একটি পরিবার তোমার দাবীদার হতে পারে। পুতুলের মতোই পরিচালনা করতে পারে।
কিন্তু সেখানে ভালোবাসাটাও থাকে আবার থাকে নির্দয় বিবেকহীন মনোভাব।
আসলে এসব বুঝবার বিষয়। অনুভব করবার বিষয় অনুধাবন করার বিষয়। বিশেষ কোনো একটি দিক নিয়ে জীবন গোছানো যায়না। পৃথিবী সাজানো যায়না।
একটি পরিবারকে ঘরের সেই জীবন্ত পুতুলটিকে স্বাধীনতা দেয়া উচিৎ এটি তাঁর অধিকার।
জগতে কারও কোনো অধিকার নাই একজন স্বাধীন প্রানকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা।
এটি আইন বহিভূত বিবেক বর্জিত হৃদয়হীন অপরাধ। যে কোনো মানুষকে তাঁর সঠিক পথে চলতে দেয়া উচিৎ ।
প্রত্যেকটি মানুষ তাঁর জায়গা থেকে তাঁর সাফল্য তুলে ধরবেন শক্তি সামর্থ্য তুলে ধরবেন।
যে প্রাণী সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে কখনও রোবট হতে পারে না। পুতুল হতে পারে না। দাসত্ব করতে পারে না। দাস হতে পারে না। তাঁর কোনো মালিক থাকতে পারেনা।
এই সত্য যারা অনুধাবন করতে পারে না তারা কখনও মানুষ নয়। শিক্ষক নয়- শিক্ষিত নয়।
কিম্বা যারা এসব জেনেও চুপ করে থাকে তারা হলো সমাজের চতুর সুবিধাবাদী। সুবিধা ভোগি।
তারা নিজেরা স্বাধীনতা ভোগ করবে অথচ তাঁর সামাজিক ভাবনার উল্টো প্রয়োগ করবে। সমাজ পরিবার তাদের টার্গেট হয়।
দমিয়ে রাখা নীতিমালা যে সমাজের গোড়ায় প্রবিষ্ট সেই সমাজ কখনও স্বাধীন হতে পারেনা।
পুতুল সেই হয় যে নিজেকে পুতুল বলে ভাবতে থাকে। রোবটটি ও সেই হয় যে ভাবে আমার একজন পরিচালক আছে মালিকে আছে।
কিন্তু যে কখনও ভাবতে শেখেনি তাঁর কোনো বন্ধু থাকতে পারে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে পথপ্রদর্শক থাকতে পারে।
জন্মের পর থেকে যখন আমরা বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই আমাদের শিখিয়ে দেয়া হয়। কিছু বাধ্যবাধকতা। চাপিয়ে দেয়া হয় কিছু বাধ্যবাধকতা।
কিন্তু তাকে বলা হয়না তুমি স্বাধীন। তোমার বিবেকজ্ঞান থেকে সিদ্ধান্ত নাও কোনটা ভালো আর কোনটি মন্দ।
কিন্তু আমরা বরাবর ধরেই বেড়ে উঠি পরাজিত চেতনায়। পরাধীনতার শিকল যখন হৃদয়ের গহীনে শেকড় গেড়ে বসে পড়ে তখন তাকে আর ফেরানো যায়না।
তখন তাকে আর বুঝানো যায়না তখন তাকে তাঁর ইচ্ছাধীন করানো যায়না।
কারণ আমরা আমাদের সমাজ পরিবার থেকে যে শিক্ষা পেয়ে বেড়ে উঠি সেই শিক্ষায় সিদ্ধান্তহীনতার অভাব থাকে।
স্বাধীনতার অভাব থাকে। আস্থার অভাব থাকে। বিশ্বাসের অভাব থাকে। আর এসব করি আমরা আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে নয় আমরা এসব করি নিজেদের স্বার্থে।
এটাই বাস্তবতা এরচেয়ে চরম সত্য জগতে আর কি থাকতে পারে।
সংক্ষিপ্ত।
একটি পুতুল বা কোনো রোবট নিজের ইচ্ছাধীন চলতে পারেনা। তাঁর যে মালিক সে যেভাবে পরিচালনা করবে সেভাবেই চলে। এটাই বাস্তবতা এরচেয়ে চরম সত্য জগতে আর কি থাকতে পারে। সত্য কথন প্রিয় শামীম বখতিয়ার।
দারুণ এনালাইসিস। পাশাপাশি আপনার চিন্তা এবং মেধাকে জানাই সম্মান। ভালবাসা প্রিয় শামীম ভাই।
প্রতিটি লাইন মূল্যবান।
এটাই বা এটাই বাস্তবতা এরচেয়ে চরম সত্য জগতে আর কি থাকতে পারে।