এলেবেলে-৩৪

আমাদের চট্টগ্রামে দুইটা ভাষা। একটা চাটগাইয়া আর একটা বাংলা।

আমরা যারা পুরনো দিনের মানুষ আমরা ছোটবেলায় শুধু চাটগাইয়াতেই কথা বলতাম। বাবা মা ভাইবোন আত্নীয় স্বজনদের সাথে সেই ভাষাতেই কথা বলতাম।
আর একটূ বয়স হলে স্কুলে গেলাম সেখানে আমরা বাংলা শিখলাম। আমাদের শিক্ষকরাও দোভাষী চাটগাইয়াও বলেন আবার বাংলাও বলেন। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কেউ আবার বাংলা ছাড়া চাটগাইয়া জানে না। আবার স্কুলে গিয়ে কেউ আমার মতো দোভাষী হয়ে গেছে।

তারপর আমাদের বয়সের বন্ধু আত্মীয় স্বজনরা বিয়ে শাদী করলেন। বাচ্চা কাচ্চা হলো। সেই বাচ্চাদের সাথে আমার সেই চাটগাইয়া ভাষী বন্ধুরা বাংলাতেই কথা বলেন। চাটগাইয়াতে কথা বলেন না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই উনাদের সেই বাংলাতে(!) গুরুচণ্ডালী দোষ আছে। যাক সে কথা।

এবার আসল কথায় আসি…
আমার সেই বন্ধু আত্মীয় স্বজন মামা চাচারা যখন আমাদের মতো পুরনো বন্ধু আত্মীয় ভাগিনা ভাতিজীর সাথে চাটগাইয়া তে কথা বলেন কি নিদ্বির্ধায় আমাদেরকে “তুই” সম্বোধন করেন। মজার ব্যাপার হলো সেই তিনিই উনার সন্তানকে “তুমি”বলেই বাংলাতে কথা বলছেন। তুই শব্দটা দুই অর্থে ব্যবহৃত হয় “তুচ্ছার্থে” এবং “আপনার্থে”।

প্রশ্ন হলো কোন অর্থে নিজের বাচ্চাকে “তুমি” বলেন ? আর আমাদেরকেই বা “তুই” বলেন !!

মিতা সম্পর্কে

দিন ফেলে রাতে দৌড়াই; রাত ফেলে দিনে। শরীর ফেলে মনে দৌড়াই; মন ফেলে শরীরে।সব পাই,আবার কিছুমাত্রও পাই না। স্বপ্ন ঊড়ে বারে বারে,তবুও স্বপ্ন দেখি লেখাপড়া ক্লাস ফাইভ ।

3 thoughts on “এলেবেলে-৩৪

  1. আমি একটু সংযোজন করছি স্যার।

    আমাদের উত্তরাঞ্চলে বেশ কিছু জেলা বা এলাকা রয়েছে, একদম রাখঢাক না রেখে কথার শুরুতেই ( শিক্ষিত অশিক্ষিত মূর্খ নির্বিশেষে) যেখানে পরিচিত-অপরিচিত যে কোন মানুষকে তুমি, আর গবাদি পশুকে আপনি বলে সম্ভাষণ বা সমাদর করা হয়। অবাক হলেও পরে লক্ষ্য করেছি ওখানে এটা দোষের কিছু নয়। বরং নির্দোষ আচার প্রক্রিয়া।

    প্রশ্ন দিয়ে এই প্রশ্নকে ব্র্যাকেটবন্দী রাখা যাবে না। যেখানে যেমন হাল ধরে নিন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Razz.gif.gif  

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।