বিনয় গল্প লেখে। কবিতাও লেখে। ওর চেনা জানা অনেকে সেসব লেখা পড়ে। কেউ ভাবে উচ্চ দরের লেখা। কেউ ভাবে কেন যে এসব লেখে? তাই কেউ লেখা পড়ে তেমন কোন মন্তব্য করে না।
আবার যারা চেনে না জানে না তারাও এ লেখা পড়ে অথবা পড়ে না। বলে – আপনার লেখা দেখলাম। বেশ লেখেন তো।
এই পর্যন্ত। তবে বিনয় লেখে। নিজে ছোটখাটো এক অফিসে কাজ করে। বাড়ি ফিরে কিছু সময় ছেলেমেয়েকে পড়ায়। তারপর লেখে। লেখার কথা ভাবে। কোন চায়ের ঠেকে যায় না। তাস পেটাতে ভাল লাগে না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাজে তর্ক করতে ভাল লাগে না। তাই সময় পেলে লেখে।
মুশকিল হচ্ছে লেখার প্যাঁচ জানে না, উপস্থাপনা জানে না। কবিতার মত উদ্দাত্ত আলোড়ন তুলতে পারে না। এসব বিনয় ব্যাগ কাঁধে মোটা মোটা বই নিয়ে ঘোরা কিছুজনের কাছে শুনেছে।
ফলে বিনয়ের লেখা ওই পর্যন্ত।
বিনয়ও ভাবে তাহলে লিখে কি হবে? আবার ভাবে ঠিকই তো লিখেছি কিন্তু সত্যিই কি গল্পের আকার নেই? সত্যিই কি কবিতার ঝংকার নেই? তাহলে কি এসব ছেড়ে গুলতানীতে যাওয়া ঠিক? ঠেকে যাওয়া ঠিক?
বিনয় ভাবতে থাকে। অফিসে পরিতোষ একদিন বলল – দাদা, আপনি লেখক? আপনার লেখা পড়েছি।
পড়েছেন? কেমন লাগলো? এসব জিজ্ঞেস করার সাহস পায় নি বিনয়।
বাড়িতে বউ বলে – বেশ তো লিখছো। লেখো। লিখতেই থাকো।
বিনয় তাই লেখে। লিখতেই থাকে।
4 thoughts on “লেখালেখির লেখক”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
বিনয় লিখে চলুক।
পড়ুক সবাই। পাঠক তৈরী করতে হবে। জীবনে গতানুগতিকতা থাকবেই।
লেখকের পাঠক তৈরি করতে হবে কেন? বই বিক্রির জন্য। তাহলে লেখার কি দরকার? ভাল থাকবেন। আমার লেখায় খুব কম মন্তব্য। তাও আমি লিখি। আমার লেখা খুব কম পত্রিকা ছাপে। আমার কোন পরিচিতি নেই । তাও আমি লিখি।
বাড়িতে বউ বলে – বেশ তো লিখছো। লেখো। লিখতেই থাকো।
বিনয় তাই লেখে। লিখতেই থাকে।