কোনোদিনই সকালে আমার খবরের কাগজ পড়া হয় না। সকাল এগারটা পর্যন্ত এতো ব্যস্ত থাকি যে তখন যদি যমদা আসেন ডেটিং এর জন্য, তাকেও বলতে পারি এগারোটার পরে আসতে। তখন সাজুগুজু করে নাহয় ডেটিং এ যাবো। প্রতিদিনই দুপুরে আমি খবরের কাগজ পড়ি। আজও বাড়ি ফিরে আনন্দবাজার উল্টেপাল্টে দেখতে গিয়ে একটা জায়গায় এসে চোখ আটকে গেলো। ‘বৈচিত্রে ঐক্য ‘ অনেকে দিন পর এইরকম ভালোলাগা রইলো মনে। হ্যাঁ এটাই তো আসল ভারতের চেহারা হওয়া উচিত। সব ধর্ম মিলেমিশে হাত ধরাধরি করে থাকবে। শান্তিতে থাকবে।
ধর্ম হচ্ছে কোনো কিছু ধারণ করা। অর্থাৎ, কোনো কিছু যে বৈশিষ্ট্য ধারণ করে সেটাই তার ধর্ম।
দ্রৌপদী একবার কৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন –
ধর্ম কি তা কিভাবে জানবো ?
আর কিভাবেই তা হৃদয়ে ধারণ করবো ?
উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ বললেন –
ধর্মকে জানতে হলে, প্রথমে ধর্মের আধারকে জানতে হবে, এই আধারই ধর্মকে জানতে ও ধারণ করতে সাহায্য করবে। ধর্মের আধার হলো পাঁচটি …
১. জ্ঞান = জ্ঞানই মানুষকে সত্য দর্শন করায়।
২. প্রেম = মানুষের হৃদয়কে শান্ত করে।
৩. ন্যায় = মানুষের কর্তব্য ও কর্মকে জানিয়ে দেয়।
৪. সমর্পণ = যা মানুষের ভক্তি ও শ্রদ্ধাবান করে তোলে।
৫. ধৈর্য = যা মানুষকে সমস্ত কার্যের শক্তি প্রদান করে।
যখন মানুষ এই আধারকে আয়ত্ত্ব করে নেয়। তখন সে ধর্ম কে জানতে ও হৃদয়ে সহজেই ধারণ করতে পারে। আর তার সমস্ত প্রশ্ন ও তার উত্তর সমস্ত কিছুই তার কাছে সহজলভ্য হয়ে যায়। যাইহোক, সব ধর্মের সারকথা কিন্তু একই। সেটা যে আমরা কবে বুঝবো!
ছোটবেলায় আমরা সবাই এক সাথেই বড় হয়েছি। হাত ধরাধরি করে। এক সাথেই উৎসব পালন করেছি। এতো ভেদাভেদ আমাদের ছিলো না, আর আমাদের বাড়ি থেকেও এইসব ভেদাভেদ শেখানো হয় নি। মন ভালো করা ছবিটি দিই।
আহা কী সত্য সুন্দর লেখা। কোমলতায় ভরে গেল মন। শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
ধন্যবাদ। খুশি হলাম প্রিয় অর্ক দা।
খুব সত্য বলেছেন!
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই … প্রিয় মিড দা। ভাল আছেন তো ?
জেনে ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন –
ধর্মকে জানতে হলে, প্রথমে ধর্মের আধারকে জানতে হবে, এই আধারই ধর্মকে জানতে ও ধারণ করতে সাহায্য করবে। ধর্মের ০৫টি আধার জানা হয়ে গেলো।
অণুপ্রাণিত হলাম প্রিয় বন্ধু।
আপনার লেখায় যে অসাম্প্রদায়িকতা উঠে এসেছে, সমাজে এমনটাই তো চাই।
হুম ঠিকই বলেছেন তুবা দি।
আবেগ নয়; যুক্তির বিচারে জীবনকে পরিচালিত করতে হবে।
সহমত জ্ঞাপন করছি সুমন দা। ধন্যবাদ।
শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদি, অনেক পরে হলেও কিন্তু আমি মন দিয়ে আপনার লেখা পড়ি। ভালো লাগে, আরও পড়তে ইচ্ছে করে। আপনার আজকের লেখা পড়ে মনটা অনেক ভালো হয়ে গেল দিদি। সত্যি অসাধারণ লেখা। সৎ যুক্তি এবং সৎ পরামর্শো বটে। আপনার লেখা পড়ে অনেকেই হয়ত ভেদাভেদ ভুলে যাবে দিদি।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
অনুপ্রাণিত হলাম আপনার মন্তব্যে প্রিয় কবি নিতাই দা।
সমাজে সহাবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সমাজকে আমাদের বাসযোগ্য গড়ে তোলার দ্বায়িত্ব আমাদের।
ঠিক বলেছেন কবি দি।
সত্য কথার সংযোজন ঘটিয়েছেন লেখায় দিদি ভাই।
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। এটাই বাস্তবতা।শুভ কামনা।
ধন্যবাদ কবি দি ভাই।