যখন রোম পুড়ছিল
আমার একলৌতা পার্লার ফেরত বউ
ঝাঁ চকচকে কিচেনে সদ্য বারবিকিউ থেকে আনা
বিরিয়ানি আর চিকেন মুঘলাইএর ফয়েল
খোলায় ব্যস্ত ছিল,
এক মনে নিজের চোদ্দো বাই আঠেরোর বেডরুমে
আমারই ফ্যাশন দুরস্ত মেয়ে নিজস্ব নখের ডগায়
চিত্রবিচিত্র রঙের কারিকুরি লাগাচ্ছিল
কেয়া শেঠের সাড়ে পাঁচশো প্যাক,
আর আমি লাখ দামী সোফায় শরীর ডুবিয়ে
ব্ল্যাকডগে মৃদু চুমুক দিতে দিতে দেখছিলাম আইপিএল।
রোমিও সম্পর্কে যথাযথ কৌতূহল থাকায়
রোম আমাকে কিম্বা আমাদের পরিবারে কক্ষনো
দখলদারি করতেই পারে নি।
পৃথিবী গোল কিম্বা ডিম আমার পিতৃপিতামহের
সাবলীল জীবন দর্শনে তার বিন্দুমাত্র ছাপ ছিল না,
আসলে কিভাবে দরজা বন্ধ করতে হয়, আমরা জানি।
ঔপনিবেশিক সময়ে আমার পরিবারের কেউ
বিপ্লবী হয় নি ভুল নিবেশে,
ভাষা, খাদ্য, নকশাল এটসেট্রা এটসেট্রা ফালতু বুজরুকি
আমরা ডাস্টবিনে ফেলেছি অবলীলায়;
তাই একা আমিই কোটিতে হাঁটি, পা ফেলি রূপোলি
রূপোপজীবি মসৃণ রাস্তায়।
রাস্তায় ঝাঁকেঝাঁকে ইঁদুর অথবা বেজন্মা ছুঁচো
আমাদের দুশ্চিন্তার কারন হয় না হে সেলুকাস!
যখন রোম পুড়ছিল …
পুড়ুক –
রাস্তার ইঁদুরের পালে পালে লাফাচ্ছিল সমুদ্রে …
লাফাক –
আমার বা আমাদের গোলকে জ্বলন্ত রোম অবাঞ্ছিত ক্ষত।
© soumitrachakraborty
অসাধারণ কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী। আপনি দারুণ লিখেন।
ধন্যবাদ কবি শাকিলা তুবা।
আমাদের গোলকে জ্বলন্ত রোম অবাঞ্ছিত ক্ষত। মূল্যবান কথা কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
ভালো থেকো প্রিয় ভাই।
সৌমিত্রদা,
কবিতার সারমর্ম তো ভালোমত বুঝলাম না। ব্লগের সবাই জাত কবি, আর এদিকে আমি কবিতা বুঝি কম। কি যে সমস্যায় আছি….
[রোম পোড়ার সময় আমিও আইপিএল দেখছিলাম]

হাহাহা নিজু ভাই। আমার এলেবেলে লিখা শুধু পড়ুন বুঝে নেবোর প্রয়োজন নাই।
শুভেচ্ছা কবি সৌমিত্র চক্রবর্তী।
ধন্যবাদ কবি সুমন আহমেদ ভাই।
কবিতাটার সবগুলো এলেমেন্টস ভীষণ উন্নত লেগেছে। বিশেষ করে এর পরিপক্ক বুনন, ভাবকল্প, আধুনিক অবয়ব এবং শেষের চমক!
কবিতা পড়ার সুখ অনেক সময় প্রিয়তমার খোঁপায় বেলিফুল দেখার মতো লাগে! অসাধারণ এই কবিতায় সেই সুখ পেলাম!
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ডেজারট ভাই। আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি।
মনের কথাগুলো আপনার কবিতায় ভেসে উঠে শ্রদ্ধেয় দাদা। আপনার লেখা কবিতা পড়ে এই সমাজের বিলাসিতা প্রেমীদের থেকে একটু দূরে আকতেে ইচ্ছে করছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ কবি নিতাই দা।
"ঔপনিবেশিক সময়ে আমার পরিবারের কেউ বিপ্লবী হয় নি ভুল নিবেশে, ভাষা, খাদ্য, নকশাল এটসেট্রা এটসেট্রা ফালতু বুজরুকি আমরা ডাস্টবিনে ফেলেছি অবলীলায়; তাই একা আমিই কোটিতে হাঁটি, পা ফেলি রূপোলি রূপোপজীবি মসৃণ রাস্তায়।"
ভিন্ন স্বাদের চমৎকার অভিজাত একটি কবিতা পড়লাম ।প্রতিটি ছত্রেই অসাধারণ স্বকীয়তা, মনোমুগ্ধকর উপস্থাপন সত্যিই মনে রাখার মতো ।
বিনীত শুভেচ্ছা কবি বোন রুকশানা হক।
শব্দ ও ভাষার অপূর্ব সমন্বয় কবিতাটিকে হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছে।
কবিতা পাঠে মুগ্ধ হলাম। প্রিয়কবিকে আন্তরিক প্রীতি
ও শুভেচ্ছা জানাই। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!