মার নাড়ি কেটে
উষ্ণ জঠর ফেলে আলাাদা সেই কবে
আবারো বাঁধা পড়েছি মায়ার বন্ধনে;
কত সে ঘষাঘষি
শীল-পাটার ভেতরে ঐ লঙ্কার মতো
কত রক্ত ঝরাঝরি নিঠুর নিষ্পেষণে।
পেরিয়ে এসেছি
শত বনভূমি স্বপ্নের কোলাহল সীমা
বিস্তীর্ণ মাঠ কত নদ নদী কত সমুদ্র;
কাদা আর ধূলি স্তূপে
আটকে গেছি কখনো, অজানা কৃত্রিম
নিয়তির হাসিতে মন যার বড্ড রুদ্র।
লোকালয় পেয়েছি
যেথা মমতার গন্ধ ছড়িয়ে চারিপাশে
জড়িয়ে ধরে যেন আমি নই আলাদা;
পাশের বন্ধু স্বজন
তাদের হাসিকান্না অশ্রুজলের ভাষা
বুঝতে শিখিনি ভেবেছি এহি বসুধা।
একদিন চিরশায়িত
জেগে দ্যাখি মৃত্তিকার কোলে আমি
পারিনি কখনো যেন আলাদা হতে;
বড্ড আঁধার ঘর
ভাবলাম আমি এবার মুক্ত আলাদা
পোকা, বিচ্ছুরা এসেছে সঙ্গ দিতে।
আবারো কারা যেন
তাজা তাজা ফুল রাখে আমার বুকে
শুনি কোলাহল কত সে কলকাকুলি;
হলেম কই আলাদা
যদিও নেই সে কাটাকুটি যুদ্ধ লড়াই
তবু কেহ দেয় গালি, দেয় শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আমার মতে … কাব্য মানের বিচারে মরণোত্তর উপলব্ধি … এক অসাধারণ একটি লিখা। অসামান্য একটি লিখাও বটে। অভিনন্দন কবি মি. সাইদুর রহমান।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভ কামনা শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী।
এক ধম অন্যরকম লাগল কবি দা
অনেক শুভ কামনা রইল———
অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন।
এমন অসামান্য লেখা অনেক দিন পড়িনি। অভিনন্দন কবি সাইদুর ভাই।
অনেকদিন পর আপনার একটি অসাধারণ কবিতা পড়লাম। নিয়মিত থাকুন শব্দনীড়ে কবি সাইদুর ভাই।
হলেম কই আলাদা
যদিও নেই সে কাটাকুটি যুদ্ধ লড়াই
তবু কেহ দেয় গালি, দেয় শ্রদ্ধাঞ্জলি।
অসাধারণ কবি দা।