আদর্শ

আমি আমার মা বাবার কোনকিছুই গ্রহণ করি নি।

আমার মা বাবা কখনও স্কুলে যায় নি
আমি এখন মস্ত বড় ডিগ্রিধারী,
আমার বাবা চাষী আমি চাকুরে,
জমিজমার ভরসায় আমার মা বাবা
আমাদের মানুষ করেছেন
আমি ওসব বেচে দিয়েছি,
আমার মা বাবা সংসার আবর্তে থেকেছে
কোথাও কখনো বাইরে বেড়াতে যায় নি
আমি নিজে এবং সপরিবারে হিল্লী দিল্লি ঘুরে বেড়াই,
আমার মা বাবাকে পাড়া পড়শি ছাড়া কেউ চেনে না
আমার আবার বেশ নাম ডাক,
আমার বাবার হাত পা ফুটিফাটা
মায়ের হাত খসখসে
আমাদের হাত পা গাল সব ক্রিমমাখা চকচকে,
আমার মা বাবা সংসার ছাড়া
আর অন্যকিছু কখনও ভাবে নি
আমার ভাবনা আমার সংসার ছাড়াও
অনেক কিছু ভাবে।

এভাবে আমি আমার মা বাবার চিন্তা ভাবনা ও আদর্শের
আজ মস্ত বড় কর্পোরেট
কিন্তু গ্রহণ করি নি কোন কিছুই
না বাক্য না কর্ম না ব্যবধান,
ছাপিয়ে যেতেও পারি নি
মনুষ্যত্বের কণামাত্র।

6 thoughts on “আদর্শ

  1. কবিতাটি পড়লাম প্রিয় কবি দা। আমরা কি আমাদের বাবা মায়ের থেকে কিছু পাইনি? আমরা এতোটাই বদলেছি ? আমাদের শেকড় আমরা অস্বীকার করতে পারবো না। :)

  2. আমি আমার মা বাবার কোনকিছুই গ্রহণ করি নি। আমিও নিতে পারি নি হয়তো। :(

  3. দিনদিন আমরা আমাদের আত্মসমালোচনা নিজেরা করতে ভুলে যাচ্ছি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।