তোমাদের হ্যাপি ন্যু ইয়ার
লেখা হয় বরফাক্ষরে
যদি না খোলো শ্যাম্পেন
যিশুবাবা হেবি রাগ করে
যদি না করো এনজয়
সারারাত যে-রাত জাগে
ওদিকে বুড়ো বেডরুম
টুক ক’রে ঠান্ডা লাগে
ভিখিরি ব্রিজের তলায়
উন্মাদ যেখানে খুশি
প’ড়ে কাঠবৎ আচরণ
বুকে বেঁধা শীত-আলকুশি
তোমাদের নব জানুয়ারি
আমাদের মাথার ছাদে
(সেন নীরেন অশ্রুকুমার)
ফুটো করে কী আহ্লাদে!
বাঙালি তো সূর্যসেনা
বাঙালি সূর্যঘেমো
যদি গলা শুকিয়ে আসে
চাঁদপুর মেলায় নেমো
কাল গেছে নীলের উপোষ
রাত্তিরে সাবুদুধমাখা
আজকে চড়ক-বাণে
ঝ’রে পড়ে আশমানচাঁপা
মাঠে ক্ষেতে অন্ধকারে
শোয় মানুষ আর অরণি
ভোরে মাথা গুনতি করো
একটাও কম পড়েনি
আমাদের নতুন ধারণ
অসু, চেত, আনন্দসাধ
বোশেখের পয়লা দিনে।
কিছুদূরে রবীন্দ্রনাথ…
তোমাদের হ্যাপি ন্যু ইয়ার লেখা হয় বরফাক্ষরে। প্রকৃতির নীল হলুদের সবুজ সমারোহে আমাদের নতুন বছরের উৎসবে বাড়ে আত্মার আত্মীয়তা।
হ্যাপি ন্যু ইয়ার আর বাংলার নববর্ষ ;মাঠের ক্ষেতে অন্ধকারে শোয়া মানুষের আনন্দ কোন অংশে কম নয়।
অসাধারণ কম্পেয়ারিজম কবি চন্দন দা।
বরফাক্ষরে হ্যাপি ন্যু ইয়ার থেকে আমাদের বোশেখের পয়লা দিন অনেক বেশী তাৎপর্যময়। ভরপুর আনন্দের।
আমাদের নতুন ধারণ
অসু, চেত, আনন্দসাধ
বোশেখের পয়লা দিনে।