বহিছে অজয় নদী

গ্রাম সীমানার পাশে বহিছে অজয়,
বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল হয়।
পার হয় গরুগাড়ি যাত্রী হয় পার,
নদীঘাটে হাট বসে প্রতি রবিবার।

আনে কেহ ধামা ঝুড়ি ঝাঁটা আর কূলো,
বেগুন পটল আলু কেহ বেচে মূলো।
তেলেভাজা আলুচপ চায়ের দোকান,
একতারা হাতে লয়ে বেণু ধরে গান।

ওপারের লোকজন সবে আসে হাটে,
বসে হাট কলরব অজয়ের ঘাটে।
বেলা যেই আসে পড়ে ভেঙে যায় হাট,
লোকজন ঘরে ফেরে জনহীন ঘাট।

চাঁদ উঠে, তারা ফুটে আকাশের গায়,
কল কল অবিরাম নদী বয়ে যায়।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

3 thoughts on “বহিছে অজয় নদী

  1. 'চাঁদ উঠে, তারা ফুটে আকাশের গায়,
    কল কল অবিরাম নদী বয়ে যায়।'

    অজয় জলের জয় হোক প্রিয় কবি মি. ভাণ্ডারী। শুভ সকাল। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. অনন্য সাধারণ কবিতা প্রিয় কবি ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

  3. শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দা। 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।