প্রিয় নবকলিকা। চিরকুট: ০৮। তারিখ: ৭ বৈশাখ, ১৪২৬ বাংলা।
ওগো নবকলিকা,
এই মাতাল গ্রীষ্মপবনে হঠাৎ মেঘভাঙা শব্দের এই শহরের পথের ধারে ফুটে থাকা রক্তরঙা রক্তিম জবার কয়েক ফোঁটা বৃষ্টির স্পর্শঘ্রাণ শুভেচ্ছা প্রারম্ভ কালে। ব্যস্তময় কোলাহলপূর্ণ নগরীর হিমশীতল করা কোন এক শাখীর আশ্রয়ে বসে লিখছি তোমায়। কেমন আছো নগুরে অশ্রুমতী?
আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো নেই, ভীষন ক্লান্তি আমার অলিকে।
এই শহরের কিছু মানুষ কঠিন স্বার্থপর, এদের কথা ও কাজের কোন মিল নেই।
কর্মস্থলের কিছু মানুষ আমাদেরকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাতে বেশ পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করে। বিশ্বাস আছে, একদিন অলীকটা ঠিকি পরিবর্তন হবে। তোমাকে নিয়ে আমার শত ভাবনার ঝংঝাল একদিন সত্য হবে। বর্ষার কোন একদিনে বকুল পুষ্পের মালা খোঁপাতে গুঁজে তুমি চলে এসো, আমার হৃদয়কে চুরি করে নিয়ে যাও। আমার বৃক্ষপটের প্রতি ইঞ্চিতে তোমার পদচারণ,তুমি বার্তা পাঠাও।
আমার দেহের শিরায় শিরায় কোথায় হয়নি বলো এখনো তোমার পদচারণ? এই অক্ষিদ্বয়ের উজ্জল ভাষাতে তুমি কি বোঝো না তোমাকে ভালবাসি। জানি আমার এ দুর্গন্ধময় আবেগ তোমার অসহনীয়, তুমি কি কখনো এই হৃদয়ে নেমে দেখেছো,
তোমার জন্য হৃদয় মোহনায় কত উত্তাল ঢেউ!
প্রেমিক প্রেমিকাদের আবেগ ঢালা ছবিগুলো দেখে নিজেকে বিষণ্ন কাকতাড়ুয়া মনে হয়। স্বপ্ন আমার সে তো একখানা ভাঙাচোরা আদি আয়না,সে আয়নায় শুধু তোমারই অবয়ব প্রতিবিম্ব। উন্মাদের মত বর্ষার কোন এক বিকেলে বৃষ্টিস্নান করেছিলাম তোমার সাথে কোনকালে, মনে পড়ে?
ভেজা দাঁড়কাক হয়েছিলাম তোমার অনুরাগ শ্রাবণে, তুমি সাবান হাতে নিয়ে আমার মুখখানি ছুঁয়ে দিতে চেয়েছিলে। তুমি আমার স্মৃতিমাখা হৃদয়ের অলিগলিতে। তোমার অপেক্ষা মাঝে মাঝে আমাকে বড্ড হতাশার ছোবল বসিয়ে দেয়, আমি আবার আশাহত হই। তুমি আমার পুষ্পকাননে ফুল কুড়াতে এলে, বকে দেবার মত কেউ নেই আজ।
তুমি আমার কাছে আসলে আমি অদ্ভুদ শিহরণে উদাসীন হয়ে পড়ি।
ওহে সুশ্রী, তুমি বাসা বাধো কার মনে?
কোন একদিন সফেদ শুভ্র প্রহরে সাদা কাফনে দেহ পেঁচিয়ে আমাকে সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে রেখে আসবে সবাই! সেদিন মনের দাফন কি দিয়ে চুকাবে তুমি? এই যে শোনো, তোমার কীর্তিকলাপ দেখে বড্ড হাসি পায়, আবার দুঃখ হয়। এই অগ্নিবিষাদ জড়ানো মগজে ভালো কিছু আর আসেনা। আমার স্বপ্ন অলীকে কিছু মানুষের লাথি, তবুও আমি চালিয়ে যাবো কলমের তারাবাতি। এই কথা গুলো কোন সন বা তারিখে তোমাদের ভালো লাগবেই।
এই তপ্ত শহরে সজীব দ্রুমের মত হাসি ফোটাবো প্রাণ হতে হৃদয়ে।
যদি উপর মনিব সহায় হোন।
মন জেলখানায় বন্দী কথাগুলোকে মুক্তি দিলাম চিরকুটে, আমাকেও একটু মুক্তি দাও, ভালবাসা দাও হে প্রিয়। বিশ্বাস আছে মনিবের উপর, উনি একটা ব্যবস্থা করেই দিবেন। ভালো থেকো আর আমার জন্য একটু দোয়া করিও প্রার্থনায়।
ইতি
তোমার গল্পের বালক
ছবি: আমার নিজস্ব মোবাইল দিয়ে তোলা।
স্বপ্ন আমার সে তো একখানা ভাঙাচোরা আদি আয়না, সে আয়নায় শুধু তোমারি অবয়ব প্রতিবিম্ব। ___ চমৎকার আপনার শব্দ নিয়ে খেলার কৌশল। লিখকের এই গুণ থাকতে হয়। অভিনন্দন এবং স্বাগতম মি. মেঘ প্রিয় বালক। নিয়মিত সঙ্গী হোন আমাদের।
ধন্যবাদ মাননীয় ব্লগ মডারেটর আজাদ কাশ্মীর, আমার লিখা চিরকুটে প্রথম মন্তব্য আপনার, প্রথম মন্তব্য প্রথম ভাললাগা। অবশ্যই নিয়মিত হবো। আমার করা মন্তব্য আমি দেখতে পারছিনা, সমস্যা কি বললে কৃতজ্ঞ হবো। আমাকে কি নজরদারি করা হচ্ছে নতুন হিসেবে?
কোন পোস্টে যে কোন নতুন মন্তব্যকারীর প্রথম মন্তব্য অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকে। এটা সাময়িক। সবার পোস্টে আপনার যখন যাতায়াত নিয়মিত হয়ে যাবে এই সমস্যাটি থাকবে না। আপনি মন্তব্য করে যান। অপেক্ষমান মন্তব্যে ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দেয়া হবে। ডোন্ট উয়োরি ম্যান।
ধন্যবাদ জানিবেন, অপেক্ষায় থাকিলাম মন্তব্য ক্লিয়ারেন্সের।
স্বাগতম ভাই মেঘ প্রিয় বালক। আপনার সুরচনার সাথে আগেই পরিচিত হয়েছি। ভালো লাগে আপনার অনুভব আর অনুভূতির শাব্দিক প্রকাশ। লেগে থাকুন। শব্দনীড় হোক আপনার।
ধন্যবাদ প্রিয় সুমন আহমেদ,শব্দনীড় হোক আপনার, এমন মন্তব্য ভিতর হৃদপিন্ড আলো আলোয় ভরে গেল। ভালবাসা জানিবেন প্রিয় সুমন ভাই,একটি বাক্য রেখে গেলাম পূর্বে শব্দনীড় ব্লগ ছেড়ে চলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে,আমি অভিমানী,অহংকারী না।
অভিমান ঝেড়ে ফেলুন।
আমার প্রিয় লেখকের আগমনে যারপরনাই খুশি হয়েছি। অভিনন্দন দাদা ভাই।
প্রিয় বোন রিয়া,ছোট ভাইয়ের মুক্তঝরা হাসির শুভেচ্ছা জানিবা। কিভাবে বুঝে নিলা চলে যাওয়া লেখক প্রর্ত্যাবর্তন করেছে চিরকুটে।
বুঝে নিয়েছি দাদা ভাই।
চিন্তা শক্তি অনেক প্রখর। দেখি এ যাত্রায় কতদূর লিখতে পারি। দোয়া করিও।
আগে লিখার প্রশংসা করে নেই। খুব সুন্দর চিঠি। অনেকদিন মিস্ করেছি ভাই। ভালোবাসা।
ধন্যবাদ প্রিয় সৌমিত্র,অনেকদিন মিস করেছেন জেনে ভালবাসা আরো দিগুন হলো। কিভাবে চিনলেন চলে যাওয়া অভিমানী লেখককে?
আপনি ছাড়া আর কেইবা এমন মায়াভরা চিরকূট লিখতো ভাই !!
দোয়া করিবেন,যেন এ বারের যাত্রায় অনেক দূর লিখতে পারি কারো উপর অভিমান না করে।
সরল সুন্দর লেখা ভাইজান। অভিনন্দন রইলো।
ধন্যবাদ প্রিয় অাবু সাঈদ ভাই।
সুন্দর লিখেছেন ভাই। মন্তব্য পড়ে বুঝলাম আপনি আমাদের সতীর্থ ছিলেন।
ধন্যবাদ শাকিলা তুবা,হ্যাঁ আমি এই ব্লগে পূর্বেও ছিলাম। অভিমান করে চলে গিয়েছিলাম। অামি অভিমানী ছিলাম,অহংকারী ছিলাম না।
চিরকূট পড়লাম। সুন্দর লিখছেন। স্বাগতম ভাই।
ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক, শুভেচ্ছা জানিবেন আমার ব্লগে।