স্মৃতি থেকে নেয়া

src

রৌদ্রের আড়াল থেকে ডাক শুনে শব্দহীন
নৈঃশব্দের অনির্বচনীয়তার আরণ্যক অন্ধকারে
ফোটে মৃত্যু
ফোটে মৃত্যু, গোপন, নির্বোধ

বৈতরণীর দু’পারে জেগে থাকে
পঞ্চপান্ডবের মৃত্যুর ব্যালাড
সেই পুঁথি পাঠ করে কর্ণ
আর এ-কালের যাবতীয় খাপছাড়া কণ্ঠ

বাঁশী বাজে, রবীঠাকুরের বাঁশী
তবু ঘাসে আর লোলুপ লালায়
আর দুঃস্বপ্নের শিশিরে ভেজা পারস্য গালিচায়
মৈথুনে কম্পিত হয় বাঘের শরীরের সঙ্গে সিংহীর শরীর
আমার সমুদ্রে তোলপাড় তুলে ছুটে আসে
রক্তমুখী হাঙ্গরের পাল …
আমি চেয়ে থাকি, বলি না কিছুই।

টুকরো-টুকরো জীবনের স্পর্শে আর স্বাদে
আর ঘ্রাণে আর পিপাসার মদে
ভেসে যায় আদিগন্ত অনাবিল সবুজ তরঙ্গ
নিরুপায় হাওয়ার ক্যান্সারে
ফুসফুসে জমা হয় পাপ আর গ্লানি।

কতটা আগুন হলে একটি ফাল্গুন
খান্ডবের মত জ্বলে যায়, পুড়ে যায়
ছাইভস্মে লেখে তার চূড়ান্ত ঠিকানা
জানে না সে সর্প তবু ব্রহ্মান্ড পোড়ায়
বিলাসে, বৈভবে, উদগ্র নেশায়।

ছিটকে- পড়া তারার শোকে
অন্তরীক্ষে জ্বেলে দেয় কালের লোবান
ধোঁয়ার চাদরে ঢাকা পড়ে
গোলাভরা সোনালী চাঁদের কণা
শিকড়শুদ্ধ মৃত্তিকা উপড়ে নিয়েছে কারা
এ পৃথিবী জানে তবু বলে না কখনও
সবই যেন ঘেরা থাকে স্মৃতি থেকে নেয়ায়।

src1

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter