ভীড়ের আড়ালে

ঠাসাঠাসি ভীড়ের মানুষ কি যেন খোঁজে হন্যে হয়ে। ২১ শের বইমেলার গেইটে, বাণিজ্যমেলার ফটকে, ঈদের ছুটিতে রেল-স্টেশনে, পূজোর মণ্ডপে, বেপরোয়া হন্তদন্ত মরিয়া গিজগিজে মাথায় মাথায় ঠুকাঠুকি করে কি খোঁজে ইহারা?

নিত্যকার একঘেয়ে আটপৌরে জীবনের ক্লান্তি এড়াতে, দুঃখগুলো মুছে ফেলতে, রোগশোকের ক্লিন্নতা ভুলতে, সম্পর্কের জটিলতা অবসানে “হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোনোখানে” ভেবে ভেবে দূরে যেতে চায় তারা।

দ্রুতগতি বাহনে দূরে কোথাও পৌঁছে গিয়ে দেখে, ছায়ামূর্তির মতোন ক্লান্তিগুলো তারো আগে সেখানে পৌঁছে গিয়ে চোখ মুদে দুলছে আরামকেদারায়। আড়চোখে পথিককে মেপে নিয়ে ছায়ার দখল বুঝিয়ে দিয়ে, আবার জেঁকে বসে মনে ক্লান্তির মূর্তিগুলো তেমনি আগের মতোন সে বেলাতেই।

দূর পথ ঘুরে, ঘরে ফিরে এসে, মানুষগুলো তখন নিজের মনকেই বোঝায়, “হোলো না এবার, নেক্সট টাইম জমবে ফাটাফাটি ছুটি।”

জীবন পেরিয়ে যায়, তবু অবসাদ বিহীন একখণ্ড অবসর পোহানো হয় না আর কারো।

7 thoughts on “ভীড়ের আড়ালে

  1. আমাদের যাপিত জীবনের অবসাদের গল্প গুলোন অভিন্ন। ভীড়ের আড়ালে আমাদের নিজস্বতা আমাদের স্বপ্ন চাওয়া সমূহ সবই হারিয়ে যায় আপা। ভালো থাকুন। :)

  2. দূর পথ ঘুরে, ঘরে ফিরে এসে, মানুষগুলো তখন নিজের মনকেই বোঝায়, “হোলো না এবার, নেক্সট টাইম জমবে ফাটাফাটি ছুটি।”

    শুভ কামনা সতত

  3. জীবনানুভূতির চিত্র আপনার সুরচনায় দারুণ উঠে এসেছে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_smile.gif.gif

  4. জীবন পেরিয়ে যায়, তবু অবসাদ বিহীন একখণ্ড অবসর পোহানো হয় না আর কারো। এমন ভাবনা আমারও হয় শ্রদ্ধেয় আপা। আপনাকে শুভেচ্ছা।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।