প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস এবং আমাদের করনীয়

নভেল করোনা ভাইরাসের ভয়ে সারা পৃথিবী এখন থরথর করে কাঁপছে। আক্রান্ত হচ্ছে লাখো মানুষ। মৃত্যুবরণ করছে হাজারে হাজার। যেটা ছিল বৈদেশে, সেটা এখন এসে পড়েছে আমাদের দেশে। এই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে ঘরবন্দী কার্যক্রম শুরু করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ রাস্তাঘাটে চলাফেরা বন্ধ করে ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন দেশের মানুষ নিজেদের দৈনন্দিন কাজকর্মও একরকম বাদ দিয়ে ঘরবন্দী হয়ে জীবনধারণ করছে।

এখন কথা হলো, আমরা কি ওইসব উন্নত দেশের মানুষের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘরবন্দী হয়ে থাকতে পারবো? ঘরে বসে থাকার মত আমাদের ক’জনেরই-বা ওইরকম সহায়সম্বল আছে? আছে হয়তো হাতেগোনা কিছু মানুষের। আর বাকি সবাই সহায়সম্বলহীন। তাহলে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে বিজ্ঞ চিকিৎসকদের ঘরবন্দী নিয়মকানুন আমরা ক’জনই-বা মেনে চলতে পারবো? এক কথায় উত্তর আসবে, “পারবো না!” তাহলে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে আমাদের যা করতে হবে, তা হলো–

১। প্রথমে মনের ভয় দূর করুন।
২। যাঁর যাঁর ধর্মমতে মহান সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণে রাখুন।
৩। নিজের মা-বাবাকে ভক্তিভরে শ্রদ্ধা করুন।
৪। যদি স্ত্রীর কথা শুনে নিজের মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে থাকেন, তাহলে বৃদ্ধাশ্রম থেকে যথাশীঘ্র তাঁদের বাড়িতে নিয়ে আসুন।
৫। পরের ধনসম্পদে থেকে কুনজর পরিহার করুন।
৬। অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকুন।
৭। নিজ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হউন।
৮। পরকে ঠকানোর চিন্তাভাবনা থেকে বিরত থাকুন।
৯। যদি বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকেন, তাহলে ক্ষমতার অপব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
১০। দেশ ও দশের ক্ষতি হয়, এমন কর্ম থেকে বিরত থাকুন।
১১। মায়ের জাতি নারীদের প্রতি কুনজর পরিহার করুন।
১২। মায়ের জাতি নারীদের নিজের মা-বোন মনে করে সমদৃষ্টি রাখুন।
১৩। সকল জীবের প্রতি উদার মনোভাব দেখান।
১৪। মহান স্রষ্টার সৃষ্টি এই সুন্দর পৃথিবীকে ভালো-বাসুন এবং সব ধর্মের মানুষকে ভালোবাসতে শিখুন।
সবশেষে; যদি পারেন বিজ্ঞ চিকিৎসকদের আরোপ করা নিয়মকানুন মেনে সতর্কতা অবলম্বন করুন–

১। মুখে মাস্ক পরিধান করুন।
২। সবসময় নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৩। কারো সর্দি কাশি হলে তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
৪। দরকার হলে হাতে প্লাস্টিকের গ্লাভস পরিধান করুন।
৫। প্রতিদিনের ব্যবহৃত কাপড় প্রতিদিন ধুয়ে ফেলুন, ঘরদোর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৬। যেখানে সেখানে কফ, থু থু ফেলবেননা।
৭। যাদের সর্দি কাশি আছে তারা রুমাল কয়েকটা সাথে রাখুন, এবং তা প্রতিদিন পরিস্কার রাখুন।
৮। কারো সর্দি কাশি, জ্বর এবং সাথে হাঁপানির মতো অনুভূত হয়, তাহলে দ্রুত স্থানীয় আইসিসিডিআর বির হাসপাতাল, বা সরকারের নির্ধারিত হাসপাতালে গিতে নিজের চিকিৎসা নিন।

বিঃদ্রঃ মনে রাখবেন! এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে, একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা। আপনার আমার যতক্ষণ আয়ু আছে, ততক্ষণই বেঁচে থাকবো। আয়ু শেষ তো সব শেষ! রোগবালাই হলো একটা আলামত। ঝড়-তুফান, জলোচ্ছ্বাস, ভূকম্পন যেমন, ঠিক তেমন! এই আছে, এই নেই! এতে ভয়ের কিছু নেই। মহান সৃষ্টিকর্তার ইশারায় যা হবার, তা হবেই হবে।

নিতাই বাবু সম্পর্কে

নিতাই বাবু ২০১৫ সালে তিনি শখের বশে একটা ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করে লেখালেখি শুরু করেন।তিনি লিখতেন নারায়ণগঞ্জ শহরের কথা। লিখতেন নগরবাসীর কথা। একসময় ২০১৭ সালে সেই ব্লগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্লগ কর্তৃক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জনাব সাঈদ খোকন সাহেবের হাত থেকে ২০১৬ সালের সেরা লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন। সাথে নগর কথক উপাধিও পেয়ে যান। এরপর সেই ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শব্দনীড় ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেন। শব্দনীড় ব্লগে উনার প্রথম লেখা "আমি রাত জাগা পাখি" শিরোনামে একটা কবিতা। তিনি চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে লেখালেখি পছন্দ করেন এবং নিয়মিত শব্দনীড় ব্লগে লিখে যাচ্ছেন।

4 thoughts on “প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস এবং আমাদের করনীয়

  1. প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে, একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তা। যতক্ষণ আয়ু আছে, ততক্ষণই বেঁচে থাকবো। ভয়ের কিছু নেই। মহান সৃষ্টিকর্তার ইশারায় যা হবার, তাতো হবেই। সতর্ক থাকতে হবে। ব্যাস। 

    1. কথায় আছে, “পাপে বাপকেও ছাড়ে না।” এই পৃথিবীতে যেসব নতুন নতুন রোগ সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে, তা কেবল পাপের প্রায়শ্চিত্তই বলা চলে। এটা আমার একান্ত অনুভূতি, শ্রদ্ধেয় দাদা।
      তবে এই প্রাণঘাতী রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে সবকিছুর আগে মনের ভেতর ভয় না রেখে নিজে নিজেকে সামলে রাখতে হবে। পরিবারের সকলের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও প্রতিবেশীদের দিকেও নজর রাখতে হবে বলে আমি মনে করি। মহান সৃষ্টিকর্তা সকলের সহায় হোক।     

      সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! সাথে শুভকামনা থাকলো।

    1. মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের অবশ্যই মাপ করবেন বলে শতভাগ আশাবাদী। তবে এই প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের আক্রমণের পরবর্তী সময়ের কথাই এখন বেশি করে ভাবা হচ্ছে। তখন মনে হয় অনেক প্রাণ ঝরে যাবে ক্ষুধার যন্ত্রণায়। মনে হয় সেদিন  বেশি দূরে নয়, অতি নিকটে। 

      শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয়।                   

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।