কেউ খোলে দাও পাটাতনের পেরেক

শোনেছি সেখানে একটি অপূর্ব নদী আছে।
আর রুপাগলা ঝর্ণার মতো বেয়ে আসে
বাল্যকাল। জলকেলি শেষে চাঁদিও তুলতুলে পরশ শুষে নেয় দেহের জলকণা। এখানে অফুরন্ত সময়। চারদিকে জুলেখিও বাসনার আকুতি এবং রক্তবিহীন লেবুর আগরিও খুশবু। দুধসাদা প্রজাপতির ডানায় বাঁধাহীন উড়া-উড়ি সাত আঙিনায়।

এখানে কোন বিদ্যুৎ নেই। সবদিকে কেবল নিজস্ব আলো। ইচ্ছে হলেই মোমের হলদে আলোয় বসতে পারি মুখামুখি। ইচ্ছে হলেই নামবে দুধবৃষ্টি। বেজে ওঠবে ভায়োলিনের নাঙা সুর।

আমি জন্ম থেকেই, কান পেতে বসে আছি মাটির পাটাতনে। কেউ খোলে দাও পাটাতনের পেরেক। এই অরণ্য ছেড়ে ছুটে যাই – ভায়োলিনের সেই সুরের খোঁজে।

এ কে এম আব্দুল্লাহ সম্পর্কে

কবি, সাহিত্যিক। প্রকাশিত গ্রন্থ: যে শহরে হারিয়ে ফেলেছি করোটি (কবিতা) / ইমেইল বডিতে সময়ের অনুবাদ (কবিতা)। ক্ষুধা ও সৌন্দর্য (উপন্যাস), টি-ব্রেকের গল্প(গল্প), শাজরাত কাঠের ক্যারাভ্যান ও আত্মার ফ্লেক্সিলোড ( কবিতা), Rat’s City Tour- (English)Story book for children.

6 thoughts on “কেউ খোলে দাও পাটাতনের পেরেক

  1. লিখাটি পড়লাম এবং এই লিখাটিকে অনেক বেশী নিজ মনের সাথে মিলিয়ে নিলাম। শুভেচ্ছা অফুরান মি. এ কে এম আব্দুল্লাহ। ব্লগিং এ আপনার নিষ্ঠতা অসামান্য। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    1. অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা। 

    2. https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gifঅনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা। 

  2. কবিতার টিকাঃ

    লিখেছেন- সুকুমার রায়

    পদে পদে মিল খুঁজে, গুণে দেখি চৌদ্দ
    এই দেখ লিখে দিনু কি ভীষণ পদ্য!
    এক চোটে এইবারে উড়ে গেল সবি তা,
    কবিতার গুতো মেরে গিলে ফেলি কবিতা।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।