গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা আমার গাঁয়ের কবিতা (অষ্টম পর্ব)

গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা
আমার গাঁয়ের কবিতা (অষ্টম পর্ব)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

এই গাঁ আমার মাটি মা আমার
গাঁয়ের শীতল ছায়া,
গাঁয়ের মাটিতে স্নেহের পরশ
মমতা মাখানো মায়া

এ গাঁয়ের মাটি সোনা সম খাঁটি
সোনার ফসল ফলে,
মরাল মরালী করে জলকেলি
কাজল দিঘির জলে।

এ গাঁয়ের পাশে অজয় তটিনী
আপন বেগেতে ধায়,
ওপারের থেকে তরী এসে ভিড়ে
অজয়ের কিনারায়।

আমার গাঁয়ের রাঙাপথ বাঁকে
সারি সারি তালগাছ,
বটের তলায় মেতেছে খেলায়
ছোট খুকি করে নাচ।

ছোট বাড়ি ঘর আছে পর পর
অলি গলি সরু পথে,
গাঁয়ের বধুরা কাঁখেতে কলসী
জল আনে নদী হতে।

প্রতি ঘরে ঘরে জ্বলে উঠে দীপ
সাঁঝের প্রদীপ জ্বলে,
গাঁয়ের বধূরা প্রদীপ জ্বালায়
উঠোনে তুলসীতলে।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

4 thoughts on “গাঁ আমার মা মাটি আমার ভালবাসা আমার গাঁয়ের কবিতা (অষ্টম পর্ব)

  1. পল্লী জীবনের কথা-গল্প মন উদাস করে দেয়। নস্টালজিয়ায় ভাসি। ভালো থাকুন কবি।

  2. আহা, অসাধারণ প্রকাশ। ভালোবাসা জানবেন কবি।      

  3. কোনও গ্রামের গল্প পড়লে আর শুনলেই নিজেদের গ্রামের কথা মনে পড়ে যায়। আপনার দক্ষ হাতের লেখা এই পর্বটিও যেন আমাকে নিজেদের গ্রামে পৌঁছে দিলো। শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।         

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।