আমার গাঁয়ের মাটি সোনা সম খাঁটি গাঁ আমার মাটি আমার (ষষ্ঠ পর্ব)

আমার গাঁয়ের মাটি সোনা সম খাঁটি
গাঁ আমার মাটি আমার (ষষ্ঠ পর্ব)

কলমে-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

গাঁয়ের মাটি স্নেহ পরশে
ভুলায় নয়ন মন,
গাঁয়ের মাটি পবিত্র খাঁটি
সুখ শান্তি নিকেতন।

আমার গাঁয়ে সবুজ গাছে
সবুজ শীতল ছায়া,
এই গাঁয়েতে খুঁজলে পাবে
মমতা মাখানো মায়া।

বাড়ি আমার পাথরচুড়ে
অজয় নদীর ধারে,
আম কাঁঠাল কলা খেজুর
তালগাছ সারে সারে।

গাঁয়ের মাঝে কাজল দিঘি
সুশীতল তার জল,
পাড়ার ছেলে স্নানের কালে
করে কত কোলাহল।

দিঘির জলে শালুক ফুটে
পানকৌড়ি রোজ আসে,
শীতল জলে মরাল খেলে
মরালীরা জলে ভাসে।

আমার গাঁয়ে রাঙাপথ বাঁয়ে
ছোট ছোট বাড়িঘর,
দূরে তাকাই ঐ দেখা যায়
অজয় নদীর চর।

দিনের শেষে তপন হাসে
দেখতে লাগে ভালো,
আঁধার নামে আমার গ্রামে
জোনাকিরা দেয় আলো।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

4 thoughts on “আমার গাঁয়ের মাটি সোনা সম খাঁটি গাঁ আমার মাটি আমার (ষষ্ঠ পর্ব)

  1. গাঁয়ের মাঝে কাজল দিঘি
    সুশীতল তার জল,
    পাড়ার ছেলে স্নানের কালে
    করে কত কোলাহল।

     মুগ্ধতা রাখছি ।
    সুখী হোন অনেক ….

  2. জীবনের এই আর এক স্বরূপ। ভীষণ ভালো লাগে। অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা কবি।

  3. ছন্দে ছন্দে গাথা শব্দমালা মুগ্ধ করে রাখলো। 

    মুগ্ধত। 

    শুভকামনা।     

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।