মনসা মঙ্গল কাব্য …. জয় জয় মা মনসা মা মনসার মর্ত্যে আগমন (ধর্মীয় কবিতা) তৃতীয় পরিচ্ছেদ

মনসা মঙ্গল কাব্য …. জয় জয় মা মনসা
মা মনসার মর্ত্যে আগমন (ধর্মীয় কবিতা)

কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

(তৃতীয় পরিচ্ছেদ)

বাণিজ্য করিতে যায় চাঁদ সদাগর,
মাঝিমাল্লা সাথে চলে সপ্তডিঙা পর।
দেবী মা মনসা ভাবে আসিল সময়,
সমুচিত শিক্ষা তারে দিব সুনিশ্চয়।

দৈববাণী আসে ভেসে শুন সদাগর,
পাইবে সকলি তুমি যদি পূজা কর।
চাঁদ বলে, না পূজিব চ্যাংমুড়ি কানি,
কভু নাহি পাবি পূজা কহিলাম আমি।

কুপিত হইলা দেবী শুনি তার কথা,
মনসা দেবীর শাপ না হবে অন্যথা।
সপ্তডিঙা রোষে তার ডুবিল সাগরে,
মাঝিমাল্লা কহে তবে চাঁদ সদাগরে।

চাঁদ সদাগর বলে, না হেরি উপায়,
ভাসিয়া সাগরজলে বুঝি প্রাণ যায়।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

2 thoughts on “মনসা মঙ্গল কাব্য …. জয় জয় মা মনসা মা মনসার মর্ত্যে আগমন (ধর্মীয় কবিতা) তৃতীয় পরিচ্ছেদ

  1. কবিতায় প্রাণঢালা শুভেচ্ছা প্রিয় কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

  2. ওঁ তদ্বিষ্ণোঃ পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয়ঃ দিবীব চক্ষুরাততম্।
    ওঁ অপবিত্রঃ পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোঽপি বা।
    যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্যাভ্যন্তরঃ শুচিঃ।।
    ‘ওঁ বিষ্ণু’‘ওঁ বিষ্ণু’‘ওঁ বিষ্ণু’

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।