কাশফুলের গভীর গল্প

দুই শীতের মাঝখানে একটি পুরস্কার
আমার দিকে অভ্যন্তরীণ ব্যাধি নিয়ে তাকিয়ে আছে
আমি কালিগঙ্গা নদীতে ভেসে আসা
মুর্মূষু শিশুটির মতো অসহায় হয়ে চেয়ে রইলাম।

বহু মানুষ সেদিন
সংক্ষিপ্ত আশ্বিনের আয়ু জানিয়ে
আমাকে বলেছিলো – উঠে এসো, ভিড়ে, চিৎকারে
এই যে এদিকে শব্দের যুদ্ধ ভেলায়।

আমি দুই শীতের মাঝখানে
কাশফুলের গভীর গল্পে
একমাত্র মায়েরই ডাক শুনতে পেলাম
ওই দিকে যাসনে বাবা ধর্মীয় দালালদের আড্ডাখানায়।

ফারুক মোহাম্মদ ওমর সম্পর্কে

সত্ত্বার নাগরিকত্ব চাইতে গিয়ে দেখি পথভ্রষ্টতা চেপে বসেছে। প্রার্থনার মতো একা তবু কেন মাথা তোলে দেয়াল? কারা দেয়াল বানায় পৃথিবীর বুকে,কারাই বা ভাঙে এই বাঁধা? দেয়াল তো আসলে মানুষেরই গল্প। লোহা, ইট আর পাথর দিয়ে লেখা। দেয়ালের ইতিহাসে সেঁটে থাকে আবেগ,রাজনীতি আর বাঁধা। আঠা ফুরিয়ে পোস্টারের মতো দেয়ালে ঝুলে থাকে ভয়, প্রতিরোধ, আত্মরক্ষা,অহমিকা অথবা অবিশ্বাসের গল্প। এখানে গদ্যের শরীরে কবিতার মন, জীবন এখানে স্মৃতি, মনে পড়াটাই ভ্রমণ। সমস্ত দেখাই যেন এক গভির অন্তদৃষ্টি। ধ্যানের মধ্যে পাওয়া এক একটি কবিতা যখন হয়ে ওঠে নিরস্ত্র জনগোষ্ঠীর অস্ত্র। তখন কবিতা হয়ে ওঠে উদ্ভাস।

6 thoughts on “কাশফুলের গভীর গল্প

  1. প্রকৃত এবং পূর্ণ কবিতার আস্বাদ। অভিনন্দন কবি মি. ফারুক মোহাম্মদ ওমর। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

  2. নিখুঁত শব্দের গাঁথুনিতে দারুণ। শুভকামনা থাকলো কবি।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।