কথা শুরু হলে অনেক কথাই বলে ফেলি
ভালো কিম্বা ভালো নয়
সবকিছুই সময়ের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে।
বাড়ি ফিরেছ এখন? আজকাল বড় চিন্তায়
থাকি, দিনকাল ভালো নয়,
গলির অন্ধকার মাঝেমধ্যে হাত বাড়ায়
একলাহুতুম ভয়ের বাসাগুলোতে
লাল চোখের হুমকি চোখ বুজলেও দেখতে পাই।
তোমার চুল সেসময় ওড়ে আজব হুতাশী হাওয়ায়
তোমার পানপাতা চিবুকের শেষ উপত্যকায়
বিন্দু ঘামে আমার ভালো লাগার
বাদশাহী গ্রহরত্ন জ্বলজ্বল করে।
রুটি করতে বসেছ রাতের গ্রাস তুলে দিতে!
সারাজীবন নিজেই রাতের গ্রাস হয়ে গেছ
নিজেরই অজান্তে কোনো এলার্ম ছাড়াই।
রাত্রির শেষ ট্রেন চলে গেলে নিঃস্ব
কালোয় দু লাইনের সমান্তরাল ফাঁকে
অনেকের মধ্যেও একলা পড়ে থাকে
কালো পাথরের দল।
আমার অশক্ত চশমার কাচ হঠাৎই ঝাপসা
হয়ে প্রাচীন প্রস্তরযুগের হেরে যাওয়া
মুখগুলো একের পর এক দেখিয়ে চলে
অকাল বর্ণবিচ্ছুরণে;
পরাজিত মুন্ড ঝোলে বিজয়ীর সিংহদরজায়।
তোমার হাতের তালু ক্রমশঃ নির্মম
শক্ত হয়ে আসে অতন্দ্রিলা
সামাজিক সংস্কারের ব্যর্থ চাপে,
ধীরে বয়স বাড়ে, শিরদাঁড়া নরম হয়,
প্রাচীন পাহাড় চিরে বেরিয়ে আসে
মত্ত ম্যামথের দল।
কাল আবার আরেকটা কাজের দিন
কাল আবার কর্তব্যের সূত্ররা ক্যালকুলাসের
পাগলাঝোরা নিয়মে সামনে দাঁড়িয়ে
তোমার শরীর ঝুলিয়ে বারবিকিউ এ মাতবে,
তার আগে –
অন্ততঃ আজ রাতটুকু আমারই থাক
অন্ততঃ এই সূক্ষ্ম সেকেন্ডের ভগ্নাংশে তোমাকেই ছুঁয়ে থাকি।
অন্ততঃ আজ রাতটুকু আমারই থাক
অন্ততঃ এই সূক্ষ্ম সেকেন্ডের ভগ্নাংশে তোমাকেই ছুঁয়ে থাকি।
লেখা বেশ উপমাময়।
বেশ অনুভূতির ছুঁয়া কবি দা
বেশ অনুভূতির ছুঁয়া কবি দা————-
ঠিকই দাদা। আজকাল লালা চোখওয়াদের ভয়েই থাকতে হহ।
শুভকামনা থাকলো।
দাদা’র লেখাটি অত্যন্ত সুন্দর রাবীন্দ্রিক ভঙ্গিতে লেখা। আর কিছুটা কবি শামসুর রহমানের। লেখার স্রোতধারা তা অত্যন্ত স্বচ্ছ কাঁচের মতো পরিষ্কার এবং শব্দভাণ্ডার টা অত্যন্ত প্রখর। একাধারে যে শব্দগুলো গঠিত হয়েছে সেগুলো তন্ত্র জাঁকজমকপূর্ণভাবে তার জায়গাগুলোকে আকৃষ্ট করে ধরে রেখেছে। কবিতা এমনই হওয়া চাই এমনই হওয়া দরকার এভাবে কবিতা না লিখলে আসলে কবিতাকে কবিতা বলে মনে হয় না। কবিতা তখন হয়ে যায় ঘোলা জলে মাছ শিকারের মতো। এই জায়গা থেকে আপনার লেখাটি অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ও শব্দ ভান্ডারে সুসজ্জিত।
ধন্যবাদ অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ও সাবলীল ভঙ্গিমায় লেখা একটি কবিতা উপহার দেয়ার জন্য।
টেক প্রশাসককে অনুরোধ করবো একটি জায়গায় নজর দিতে সেটি হলো, একজন ব্যক্তি যখন বহু কমেন্ট করতে যাচ্ছে তখন মনে হচ্ছে সার্ভার হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। এটার কোন সমাধান যদি থাকে তাহলে অবশ্যই সমাধান করার জন্য অনুরোধ করছি। এটা মোবাইলের কোন সমস্যা না বাড়লে কম্পিউটারের কোন সমস্যা না। সমস্যাটি সার্ভারের।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা