এক.
কে যায় সেখানে? নির্বোধ, দুর্বোধ্য, নিথর;
হারিয়ে ফেলেছে দক্ষতা?
ভোজ উৎসব হতে শক্তি রূপান্তরে,
হারিয়ে ফেলেছে সর্ব কর্মসঞ্চালন ক্ষমতা?
সে আজ মৃত!
জীবিত বা মৃত যে কোন অবস্থায়
মানুষের প্রকৃত অবস্থা কি?
আমি আমার কে? তুমি তোমার?
তুমি তো জানো, মৃত্যু কেন্দ্রিক
জীবন যাপনের যে পদ্ধতিগুলি প্রচলিত
আমি তাতে পুরোপুরি অভ্যস্থ নই,
মানুষতো মৃত্যুতে যে অর্থহীনতা জন্ম লয়
তার শূন্যতায় ঈশ্বরকে ডেকে আনে,
অত:পর উপাসনার পদ্ধতির পার্থক্যে
তারা পরস্পর আলাদা হয়ে যায়।
আমি নিজেকে আচার অনুষ্ঠানে পূর্ণ
কতগুলি মন্ত্র উচ্চারণে সীমাবদ্ধ রাখব!
আমি জানি আমি অস্তিত্ববান আর শব্দময়,
মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু আমার দিকে
সাংকেতিক বাণী পাঠায়,
আমি শুধু জানি আমাকে
সেইসব বাণীকে লিপিবদ্ধ করতে হবে,
করে তুলতে হবে শব্দময়।
দুই.
আমার কবিতাগুলি প্রেমের উচ্চারণ,
সৃষ্টিশীলতার অনন্য অনুভব,
বস্তুকে আত্মায় রূপদানের অনন্য মাধ্যম,
প্রেমের চেয়ে মাধুর্যময়
আর কোন চিত্রকর্ম নেই অনুভব ক্যানভাসে।
কে সে? রাজ্যজয় করে উঠেছে ক্ষমতারশীর্ষে?
অর্থের পাহাড়ে দাঁড়িয়ে গায় সফলতার গান?
আমি তাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি না কখনও,
আমি তাকে সুশাসনের আহ্বান জানাই,
কি হাস্যকর সে আমাকে আদেশ দেয়,
কহে- তাকে বলি মহামান্য!
তার সম্মান তো আলাদা কোন নয়
একজন মানুষ থেকে!
এইসব কোলাহল আর বেদনাহত যন্ত্রণাকে
পাশ ফিরিয়ে তোমার কাছে ফিরে ফিরে আসি,
হে অমিতব্যয়ী প্রেমিকা আমার,
সব কিছু মুছে যাবে, থেমে যাবে কোলাহল
এসো, জেগে থাকি যতক্ষণ জেগে থাকা যায়
সৃষ্টিশীলতার আদিম উৎসবে।
অসাধারণ লেখেছেন কবি দা
এই লেখাটা দুই নামে দুই কেন ।
সেইটাই বুঝতে না পেরে আবার পোষ্ট দিয়েছি।
আমার কবিতাগুলি প্রেমের উচ্চারণ,
সৃষ্টিশীলতার অনন্য অনুভব,
বস্তুকে আত্মায় রূপদানের অনন্য মাধ্যম,
প্রেমের চেয়ে মাধুর্যময়
আর কোন চিত্রকর্ম নেই অনুভব ক্যানভাসে।
শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। আমি এখানেই থেমে গেলাম।
শুভকামনা থাকলো দাদা।