জন্মদাতা জন্ম দিলো, গর্ভে ধরলো অভাগিনী মা!
কতো কষ্টে যে রাখলো গর্ভে, তা জানে অভাগিনী মা!
একসময় সন্তান জন্ম হলো, মায়ের মুখে হাসি ফুটলো!
অন্ধকার ঘর আলো হলো, মা-বাবার মনে শান্তি পেলো।
সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন শুরু হলো, একসময় স্কুলে দিলো।
সন্তান বড় হলো! লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত হলো।
দেশ ও দশের নেতা হলো, বড় একজন ব্যবসায়ী হলো।
মা-বাবা বৃদ্ধ হলো, একসময় তাদের মৃত্যুও হলো!
দুই-চার দিন লোক দেখানো কান্না-কাটি করা হলো!
তাদের রেখে যাওয়া ধনসম্পদ সবকিছু সন্তানের হলো!
কিন্তু তাদের কবর তাদের জায়গায় দেওয়া হলো না!
কবর দেওয়া হলো গোরস্থানে, নিজের জায়গায় হলো না!
চার দিনের দিন খরচ হলো, চল্লিশ দিনের দিনও হলো!
তাদের বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করা হলো!
পাড়া প্রতিবেশীদের দেখানো হলো, এরপর ভুলে গেলো!
মাস গেলো, বছর গেলো, মা-বাবা কবরেই শুয়ে রইলো!
তাদের কথা কেই-বা মনে রাখলো? সবাই ভুলে গেলো!
আর প্রতিবছরই এই মাজারে সেই মাজারে দৌড়াদৌড়ি!
অমুকের মৃত্যুবার্ষিকী জন্মবার্ষিকী নিয়ে কত পাড়া-পাড়ি।
প্রতিবছর দলবল নিয়ে মাজারে যেতে গাড়ি করে বায়না!
অথচ মা-বাবার কররে বা শ্মশানে বছরে একদিনও যায়না!
হায়রে আদরের সন্তান!
4 thoughts on “আদরের সন্তান”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
লিখনিতে বাস্তবতাকে যেভাবে তুলে ধরা গিয়েছে এটাই আমাদের চিরন্তন সত্য।
অসাধারণ কবি দা
কবি দা অসাধারণ এক কাব্যিক পাঠ করলাম
অসামান্য, বেশ চমৎকার লিখনশৈলী