শেষ পর্যন্ত মানুষ চিনতে পেরেছি,
সত্যি বলছি। প্রহেলিকা ভোরে
ছোরা হাতে যে হৃদপিণ্ড ফালাফালা
করছে তাকে গতকালই চিনতে পেরেছি।
জানতাম আমার দিকে ধেয়ে আসছে
ছোরা, জানতাম গুপ্ত ঘাতক নয়
প্রকাশ্য বন্ধু শান দিচ্ছে, ঘৃণার গরল
উগড়ে দিতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
তার অপেক্ষা ফুরিয়েছে, গর্তে পা আটকালে
টেনে তুলেছিলাম। ছোরার অস্তিত্ব তখনই
টের পেয়েছি। টের পেয়েছি সর্বস্বান্ত
হওয়ায় সময় এলো বলে। উদ্যত ছোরা যখন
পাঁজরে বিঁধছে, আমি হাসছি। মানুষ
চেনার আনন্দে আহত হৃদয় উদ্বেলিত হচ্ছে।
3 thoughts on “পরিচয়”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
খুব সুন্দর লেখেছেন কবি দা
অপূর্ব কথামালা,
চমৎকার মানের একটি কবিতা। শুভেচ্ছা প্রিয় কবি প্রিয় আবু মকসুদ ভাই। সালাম।