সনদগুলো কোথায়! জন্মসনদ, শিক্ষাসনদ, বিত্তসনদ!
বলতে বলতে ওরা আমার সামনে সারিবদ্ধ
দাঁড়ায়। আমি স্থির হয়ে থাকি-
বলি আমার কোনও যোগ্যতা সনদ নেই!
কোথায় জন্ম হয়েছিল মনে আছে যদিও,
তবু শরণার্থী আমি! তোমরা চাইলে ‘রিফিউজি”
আমাকে বলতেই পারো! জন্মের তারিখটি
বাংলা পঞ্জিকায় লাল কালি দিয়ে মা,
দাগিয়ে রেখেছিলেন, তবে এর কোনো নিবন্ধিত
প্রমাণ নেই। মায়ের কথা বুকে ধারণ করেই আমি
বেরিয়েছি পথে, পেরিয়েছি বন্দরের পর বন্দর,
উড়েছি আকাশ থেকে আকাশে,
ভেসেছি সমুদ্র থেকে সমুদ্রে!
আমার কথা শুনে ওরা আরেকটু বেশি
চোখ রাঙিয়ে তাকায় আমার দিকে!
বলে, মিথ্যে বলছ তুমি! কি তোমার মধ্যনাম!
বলো, কেন আত্মগোপন করে আছ!
আমার খুব হাসি পায়। প্রায় চারদশকের কাছাকাছি
সময় খোলাটুপি মাথায় দিয়ে করেছি বিহার
কেউ পরিচয় জানতে চায়’নি
আর আজ এরা খুঁজে আমার মধ্যনাম!
সংযত হই। বলি তোমাদের দেয়া সনদটির
দিকে তাকাও। দেখবে…
সেখানেই লেখা আছে আমার নাম,
লেখা আছে অনিবন্ধিত অসত্য
আত্মজীবনীর পাতায়। আছে বৃক্ষে, আছে পুষ্পে
আছে টুটোফাটা আকাশের গায়ে,
আছি আমি। আছে আমার পরিচয়।
আরও জানতে চাও! হ্যাঁ-
আমিই ফকির সালাহউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াস!
®
√ নিউইয়র্ক / ১২ জানুয়ারি ২০২১
চমৎকার । ভালো লাগল।
তোমাদের দেয়া সনদটির দিকে তাকাও। দেখবে…
সেখানেই লেখা আছে আমার নাম,
লেখা আছে অনিবন্ধিত অসত্য
আত্মজীবনীর পাতায়।
আমিও আপনার অসাধারণভাবে লেখা কবিতায় আমার পরিচয় দিয়ে গেলাম। আমি অদম্য নিতাই বাবু।
শুভকামনা থাকলো।