আজকাল স্বপ্নেও পালাই। কোথায়? সেইসব নদী পাহাড় উপত্যকার কাছে, আমার স্বপ্নের সেই ছোট্ট গ্রামের কাছে। যেতে আর পারি কই? সেসব স্বপ্নও কোথায় চলে গেছে ভেসে। একটা বাড়ি। তারমধ্যে মধ্যে একটা ঘর। খানকতক আসবাব, কিছু দরকারি–অদরকারি জিনিস।
কখনো মনে হয় একটা সোজা রাস্তা ধরে চুপচাপ হেঁটে যাই একা একা। এ যেন সেই ছোটবেলার খেলার মতন। একটা ব্যাগে একটা জামা, আরও কিছু জিনিস ভরে একটা চেয়ারকে ট্রেন মনে ভেবে, কু ঝিক ঝিক। কোথায় কোথায় চলে যেতাম।
কি যে হল, বড় হয়ে গেলাম। এ খুব অন্যায়। ভাল করে চেটেপুটে সবকটা চকলেট জমিয়ে নেওয়ার আগেই দেখি কোন ফাঁকে বিতিকিচ্ছিরি বিদঘুটে রকমের বড় হয়ে গেছি। সেদিন শপিংমল থেকে এক প্যাকেট টক-ঝাল-মিঠে লজেন্স কিনে এনেছি। এনে সামনের টেবিলে রেখে দিয়েছি। এদিক সেদিক ঘুরছি-বসছি-পড়ছি-গান শুনছি- ভ্যাবলা হয়ে তাকাচ্ছি-আনতাবড়ি ভাবছি-আর ফাঁকে ফাঁকে একটা করে লজেন্স টুপটাপ করে মুখে পুরে দিচ্ছি। আর রাংতা গুলোকে জমিয়ে রাখছি একটা কৌটোতে, লাল-নীল-সবুজ-সোনালি- রুপোলী-চকচকে রাংতা সব। সেই ছোট্ট বেলার মতো।
ভালো লাগে মাঝে মাঝে কিছু নিয়ম ভেঙে ফেলতে।
আপনার লিখা গুলোন পড়লে কেন জানি না নিজেও নস্টালজিয়ায় পড়ে যাই। ফিরে আসি অতীত সময় থেকে। বর্তমানকে আপনার মতো করে সাজানোর চেষ্টা করি।
ইউনিক আপনার এক্সপেশন।
মাঝেমধ্যে নিয়ম ভাঙ্গা ভালো।
কিন্তু বেশি চকলেট খাওয়া ভালো না, হু।