বন বাদাড়ে ঘুরে ফিরে তোমার
কেটেছে সারাবেলা,
ছিন্নমূলে হয়েছে বড় তাই
পেয়েছ কত হেলা।
অনাহারে থেকে তুমি ঘুরছে
মানুষের দ্বারে দ্বার,
জানেন শুধু ঐ সৃজনকারী
বুভুক্ষা থেকেছ কত বার।
কৈশোরে তুমি লেটো দলের সাথে
ঘুরে গেয়েছ কত গান,
মসজিদের মুয়াজ্জিনের কাজ করে
বাঁচায়েছ তোমার প্রাণ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যোগ দিয়েছিলে
ঐ সেনাবাহিনীর দলে,
সেখান থেকে ফিরে সাহিত্য চর্চা করেছ তুমি
দৃঢ় মনোবলে।
লিখছ কাব্য শৈলী সাহিত্যের ঐ
সকল শাখায়,
সৃজনকারী দিয়েছিল বুদ্ধি বাবরি দোলানো
ঝোকড়া মাথায়।
বেঁচেছিলেন ৭৭ বছর। জন্মের পর থেকে মাত্র ৪৩ বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবন কাটিয়েছেন। এর মধ্যে সাহিত্য রচনার কাল ছিল মাত্র ২৪ বছর। তারপরও বাঙালির জীবনে নজরুলের দিগন্ত বিস্তারি প্রভাব! গবেষকরা বলেন, সাহিত্য রচনার সময়কালের ব্যাপ্তি যাই হোক না কেন; নজরুলের প্রভাব শতাব্দী পেরিয়ে আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
মানবতাবাদী কবি নজরুল একুশ শতকে এসে হয়ে উঠেছেন মনুষ্যত্বের কবি। যখন দেশে দেশে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, ধর্মীয় কুসংস্কার বাড়ছে। তার বিপরীতে, অসাম্প্রদায়িক ও মানবতার কবি নজরুল চর্চার বিকল্প নেই।
অসাধারণ মন্তব্য করেছেন।।।
তার সাথে কারে তুলনা করা যায় না।।
শুভকামনা রইল।।।