অস্তিত্বের কোলাহল থেকে …
আমি এখন জীবনের পথচলা মানুষ
কেউ একজন
আমার অস্তিত্বের সময়চক্র থেকে
বহমান পাথর সরিয়ে দিয়ে
এনে দিয়েছে ভালোবাসা।
আমি এক সময় প্লাউমিতসা’র
পাহাড়ি অঞ্চলে গিয়েছিলাম
সেখানকার কাশবন ছুঁয়ে জীবনের সে
জটিল দিনগুলোকে
আড়াল করার চেষ্টা করেছি’ পারিনি।
তাইগেকোস পর্বতের চারপাশে
ঘুরতে-ঘুরতে যখন জল তরঙ্গ ছুঁয়ে যায়
হৃদয়ের ভূমধ্য অঞ্চল
তখন প্রকৃতির বিশালতা আমাকে
বিশাল করতে পারেনি।
অবশেষে ফিরে আসি শূন্যস্থান থেকে
নক্ষত্রখচিত একটি গোলাপ হাতে নিয়ে।
আমি হয়তো ভেবেছিলাম
কোন একদিন এই গোলাপটি
কারো হাতে পৌঁছাবে;
হোক সেটা দীর্ঘ সময় একদা
সেটা শুকিয়ে যাওয়া গোলাপ।
অস্তিত্বের লড়াইয়ে টিকে যাওয়া
জীবন কখনো খুঁজে পায়নি পথের দিশা
সে জীবন একসময় তো
সবকিছু ফিরে পাওয়ার
যে বাসনা করেছিল তাই এখন
একটি দিনের মতোই উজ্জ্বল।
আমার অন্ধকার পথের সময়
থেকে এখন জীবনের আলো
ফুলকির মতো উতসারিত হয়
আমি এখন জেনে গেছি বেঁচে থাকার মানে
আমি এখন জেনে গিয়েছি
বেঁচে থাকতে গেলে কিভাবে যুদ্ধ করতে হয়
আমি এখন জেনে গিয়েছি
জীবন চলার পথে কোন মানুষের প্রয়োজন;
কোন মানুষ আপনাকে
অপ্রয়োজনে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে।
কষ্টের সরোবরে হাঁটতে হাঁটতে
কবে যে কষ্টের খেরোখাতা বন্ধ করেছি
আজ তা কেও জানেনা।
অবশেষে ফিরে আসি শূন্যস্থান থেকে
নক্ষত্রখচিত একটি গোলাপ হাতে নিয়ে।
কবে যে কষ্টের খেরোখাতা বন্ধ করেছি
আজ তা কেও জানেনা।
অনবদ্য শব্দ চয়ন I শুভ কামনা নিরন্তর