দেবনগর

মানুষের পা ভিজিয়ে দেয় যে কুয়াশা, তার কোনো
পরিচয় নেই। পৌষ কিংবা মাঘ তার জন্মমাসও নয়।
ভালোবাসার ভোর থেকে ঝরে বিন্দু, কিছুটা হিম
আর কিছুটা অসীম আনন্দ নিয়ে, মানুষ খালি পায়ে হাঁটে।

এখানে দেবীরা আগুন হাতে অপেক্ষা করতো উষ্ণতার;
এখানে শীত হাতে রাইকিশোরী, একাই গাইতো-
প্রাণের কৃষ্ণগীতি। আর পুষ্পগুলো,
আনমনে সেরে নিতো প্রেমে প্রেমে ভ্রমর-ভজন।

নেমে এলে উদার আকাশ,
উৎসবে মেতে উঠে ধ্যানের দেবনগর। উৎসব মানেই
উপাসনা, ধ্যান মানেই মঙ্গলের কাছে ফেরা-

সেকথা মানুষও জানে। তাই ঋতুমগ্ন প্রদীপ হাতে
যেতে চায় আরও কাছে,
সাজাতে চায় নতুন বসন্তের জন্য; পথের পসরা।

2 thoughts on “দেবনগর

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।