নগরের মানুষের ব্যস্ততা বড় বেশি
তারা এদিক যায়; সেদিকে যায়
অকারণ দিক-বিদিক ঘুরে বেড়ায়।
তাদের হাতে অফুরন্ত সময়
তারা গল্পগুজব, আড্ডায়
সময়কে অসময়ে পর্যবসিত করে।
নগরের মানুষেরা গায়ে হাওয়া
লাগিয়ে বেড়ায়। বাজারে, চায়ের
দোকানে; অহেতুক হাওয়া কথা বলে
বাতাস উত্তপ্ত করে। ঈশানের কোনে
কালো মেঘ জমা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে
ঝড়ের আলামত। নগরের মানুষেরা
উদাসীন; সমূহ বিপদ বিচলিত করছে না।
নগরের মানুষেরা মত্ত নিজেদের নিয়ে
সার্টের বোতামে, হাতের তালুতে,
পাজামার ফিতায় তারা জপে যায়
নিজস্ব গুণগান। তাদের অগোচরে
সাপ বলশালী হচ্ছে, প্রবল তেজে
উঁচিয়ে ফণা তেড়ে আসছে।
আজদাহা আসছে বিষাক্ত শ্বাসে
তছনছ করতে জনপদ।
নগরের মানুষেরা বড় বেশি অগোছালো
তারা দিক নির্দেশনা হীন।
তারা কোন স্বপ্ন দেখে না
শুষ্ক বিছানায় মৃতবৎ পড়ে থাকে।
নগরে যখন কোনো আশার আলো বাকি নেই
চারিদিকে যখন ক্ষুধার্ত শকুন
তখন তিনি এসে দাঁড়ালেন
তর্জনী উঁচিয়ে বললেন ‘ভায়েরা আমার’
তিনি মানুষকে স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানালেন
তাঁর ডাকে অগোছালো মানুষ সারিবদ্ধ হল।
তিনি তাদের নিয়ে পৌঁছুলেন।
পৌঁছুলেন সবুজের পাড়ে
তিনি এসেছিলেন বলে আমরা কণ্ঠ পেয়েছি
তিনি এসেছিলেন বলেই গলা খুলে গাইতে পারছি
‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায়…’
কবিতাটি পড়লাম। একরাশ শুভ কামনা প্রিয় কবি আবু মকসুদ। শুভ সকাল।