নামছে সন্ধ্যা, ফিকে হয়ে আসছে রঙ।
তপ্ত রোদের খোলস ধীরে ধীরে
খসে পড়ছে। দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে
লাল কাপড় বেধে ফিরে এলে
বরুণার আতরের গন্ধমাখা
ওষ্ঠ তৃপ্তি দিয়েছিল। গায়ের পথে
দেখা দিলে বিভ্রান্ত বাজিকর;
তাড়া করি, তীব্র ঘোড়ায় চড়ে
ফিরিয়ে আনি লুণ্ঠিত সম্মান।
পেশীর সৌরভে সূর্য ম্লান হয়।
গায়ের ঘরে ঘরে প্রতিদিন সূর্যের
বদলে আমি উদিত হওয়ায়
ঘোষণা অবিনশ্বরের স্বপ্ন দেখায়।
পেশী চুপসে গেছে, মরে গেছে
রোদের তেজ। চোখের জ্যোতি অন্ধকারে
সখ্য খোঁজে। বাঘের সাথে মল্লযুদ্ধে
যে পা মাটি আকড়ে দাঁড়িয়েছিল
সেই পা যুগল লাঠির অপেক্ষায়
থাকে। সন্ধ্যা নেমেছে। যৌবনের
আঁকাবাঁকা স্রোতস্বিনী নদী গর্তে ঢুকছে।
সোজা হয়ে গেছে একদা’র দীপ্ত লেজ।
সন্ধ্যা নেমেছে। যৌবনের
আঁকাবাঁকা স্রোতস্বিনী নদী গর্তে ঢুকছে।
সোজা হয়ে গেছে একদা’র দীপ্ত লেজ।
অসাধারণ অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ