যুদ্ধবিরোধী কবিতা : অস্ত্রহীন যুদ্ধের অস্তিত্ব

অস্ত্রহীন যুদ্ধের অস্তিত্ব

বুলেট শেষ হয়ে গেলে সৈনিককে দেখাতে হয় বাহুর দক্ষতা। ক্যরাটে কসরত
করে নিতে হয় মাঠের দখল। যে যুদ্ধ অস্ত্র হাতে শুরু হয়েছিল- সেই মুক্ত
হাতের দশটি আঙুলই হয়ে উঠে সর্বশেষ মরণাস্ত্র। জামানত হারিয়ে তখন
বজ্রশিলার মতো বৈশাখও সৈনিকের পাশে দাঁড়িয়ে বলে-এগিয়ে যাও। বাঁচো,
ও বাঁচাও পুষ্পদেশ, মাটি ও মৈত্রীর নিশানা। যেখানে একদিন পরম গৌরবে,
দাঁড়িয়েছিলেন পূর্বপুরুষ, রক্ষা করো তাদের অস্তিত্ব। পাল্লা দাও এইসব ঢেউয়ের
সাথে। আমি এমন বুলেটহীন যুদ্ধের পাশ দিয়ে হেঁটেছি অনেকবার। রক্তাক্ত
না হয়েও জড়িয়ে ধরেছি সবুজ আচ্ছাদন। যুদ্ধবাজ পাথরগুলোকে কাদামাটির
বুক থেকে সরিয়ে দিতে দিতে তালাশ করেছি- ‘এইচএমএস ভিক্টরি’-
নামের সেই যুদ্ধজাহাজটির। ১৮০৫ সালে ট্রাফালগার যুদ্ধের
. যে জাহাজটি এখনও সাক্ষী হয়ে আছে।

# 🌱

2 thoughts on “যুদ্ধবিরোধী কবিতা : অস্ত্রহীন যুদ্ধের অস্তিত্ব

  1. বাঁচো, ও বাঁচাও পুষ্পদেশ … মাটি ও মৈত্রীর নিশানা। yes

  2. সুন্দর হয়েছে, একরাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম , শুভ কামনা সবসময়

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।