ভালবাসাহীন এক নদী পুড়িয়েছে বুক,
নারীর কাছে ঋণ রাখতে নেই জেনেও
টইটুম্বর দ্রাক্ষারস ক্ষরণের
সাক্ষ্য হতে চেয়েছে বালক
দাঁতেরা ক্রমশঃ বিপ্লবী হয়েছে
সুরা কামড়ে খাওয়া যায়না
চল্লিশ মোমের ক্যান্ডিলিয়ান থেকে
পান করা যায় আলো, শুধুই আলো
বোঝেনি পুরুষ, ভালবাসা কত ক্ষমাহীন!
ক্রিস্টালবলে দেখতে চেয়েছে সামনের দিনগুলো
যাদুঘোর এক নারীকে আলেয়া করেছে
ধাবমান স্বচ্ছতার দরজা অতিক্রমকারিনী
ভাষা রাখেনি কোথাও, যা সবার শোনার যোগ্য
ঘাসের কোমল আলপনায় এঁকে রেখেছিল চিহ্ন কিছু
সমুদ্রের গায়ে লেগে থাকা চাঁদের আহলাদে
যে নারী কেবলই পর হয়ে যায়
বালক ছুটেছিল নিজ বৃদ্ধকাল নিয়ে
সূর্যতেজে চোখ লুকায় হরিনী গাছের কোটরে।
অবরোহনরত পাহাড়ের কোনো ক্ষমতা নেই
অতীন্দ্রিয় মোক্ষপ্রাপ্তি আছে,
অবিনশ্বর নয় এই যাত্রা তবু
মোহাচ্ছন্ন দুষ্মন্ত যখন খুশী ছুটে যেতে পারে
ভীত বনবালাও বুঝি তখন সিংহী অথবা সংহারী!
ভালবাসা পোড়ায় যে চোখ তাকে রোধ করা যায় না
যেমন যায়না মরা নদীতে হঠাৎ নামা কল্পনার জোয়ার
শরীরী জেল্লায় নারীটি ক্রমাগত গিরগিটি হয়
সবজেটে রঙ ফিকে বাদামীতে রূপান্তর হতে থাকে।
প্রেম অধিষ্ঠাত্রি কবে করেছিল চুম্বন বালকের চোখ!
অন্ধ প্রেমে বেদীর উপর রেখেছিল নিজস্ব লেজ
দেবী! প্রেম শিখিয়ে এভাবে ছিনিয়ে নিতে নেই
সংগৃহীত শক্তি অপচয়ের হিসেব তবে এই?
তুমি হয়ে যাচ্ছ মরুভূমি
একফোঁটা জলও নিলে শুষে
এটুকুই ছিল যে দাতার সম্বল!
বালক ক্রিস্টাল বলে ফের খুঁজে পায় নদীটার মানচিত্র
যে দাঁতেরা সঙ্গ ছেড়েছিল তারাও কামড়ে ধরে রক্তাম্বরী আপেল।
ভালবাসাহীন এক নদী পুড়িয়েছে বুক জেনেও বালক
নারীর কাছেই ফিরে আসে বারবার ঋণী হতে
বিশ্বাস খুঁজতে ভ্যান গগের শহর থেকে
ছুটে আসে শত শত চিত্রশৈলী
উচ্চাভিলাষী সুতাগুলো বাঁধা পড়ে যায়
এক পুরুষ নারীর চোখের রেলিং টপকে খাদে নামে
খাদ তো আসলে নিরেট বোঝাবাহক
নারী-পুরুষের প্রেম সে দিব্যি গিলে ফেলে
ভালবাসা বুঝি ঝলমলে কোনো এক সন্ধ্যার
শুধুই ক্রন্দনরত একটি লহমার নাম মাত্র!
উচ্চাভিলাষী সুতাগুলো বাঁধা পড়ে যায়
এক পুরুষ নারীর চোখের রেলিং টপকে খাদে নামে
খাদ তো আসলে নিরেট বোঝাবাহক …
বেশ প্রেমময় কাব্যিক কবি আপু ভাল থাকবেন