বিলম্বিত ঠাণ্ডা কফির ধোঁয়া-সিঁদুরের মতো
স্রোত ধরে কী যে মহুয়া ঠোঁটের উপত্যকায়-
আশ্রিত স্বপ্ন ভাসে। ঘনশীল সবুজ পাতার
সন্ধ্যায়-বেঁচে থাকা কল্পনার নিঃশ্বাসে
তুমি পালানো-হরিণ, মাংসাশী বাতাস-
এক সঙীন জীবন নিয়ে ছুটছে। ঘরানার শহরে-
কেবল লুডুর গুটির মতো-অলীকবন,
গল্পের নিচে-কাপহীন পিরিচের শব্দ,
ঋষিঋদ্ধ সবুজ সমুদ্রে আশাবাদী মানুষ,
জিততেই হবে। এমন তো শিকারি মুহূর্ত
তোমাকে কেন্দ্র করে ছুঁয়ে দেবার পায়তারা…
তুমি বরং হাসো-হালদারি মুখ; হাসলে-
ভালো লাগে। শহরের মধ্যগামীপথ বেয়ে
দ্বন্দ্ব ছড়াবে। রক্তে-বিলোরুবিন বেড়ে গিয়ে
কেউ কেউ সুন্দরীতমার বিপরীত সন্ধ্যায়-
নাইট্রাস ঔষধ জড়িয়ে ধূসর কবিতায়
বুদ হবে। আর সন্দেহের তীর ছুঁড়ে লিখবে-
অদ্ভুত নীল চোখ-আমার খুব ঘুম প্রয়োজন।
মাংসাশী বাতাস-
এক সঙীন জীবন নিয়ে ছুটছে। ঘরানার শহরে-
কেবল লুডুর গুটির মতো-অলীকবন।