কই যাইতাম?
পারিনা বউয়ের কথা সইতাম, পারিনা মরতাম,
পারিনা সংসার হালাইয়া দূরে গিয়া থাকতাম।
অহন কী করতাম? পারিনা কারো কাছে কইতাম,
না পারি কামাইতাম, না পারি কারো কাছে চাইতাম!
বাজারে দেহি, মাইনসে মাছ-মাংস করে দরদাম,
আমারঅ মনডায় কয় সামনে যাইয়া জাগাইতাম!
জিগাই না ঢরে, যাই হুটকি আলু বাইগুন কিনতাম,
বেশি টেকা থাকলে, মাছ কিন্না বাইত যাইতাম।
আমরা গরিব মানুষ, মনডায় চায় কতকিছু খাইতাম,
পারিনা দামের লাইগা, দাম কম অইলে পারতাম!
পারিনা খাইতাম, পারিনা পোলাপাইনেরে পড়াইতাম,
পারিনা হেগো বই খাতা-কলমের খরচ সামলাইতাম।
দেশে অহনকা চাইল ডাল হগলকিছুর বেশি দাম!
কামাই রোজগার কম, পারিনা সংসার চালাইতাম।
ঘরে গেলে বউ ঝিয়েরা করে ঘ্যানঘ্যান হামতাম,
মনে মনে কই, কী করতাম! আমি কই যাইতাম?
.
ছবি নিজের তোলা।
ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের কিছু কিছু এলাকার আঞ্চলিক ভাষা আমার কাছে এতোটাই দূর্বোধ্য লাগে যে শুনে একদম নিরবেই সয়ে যাই। বুঝি আর নাইবা বুঝি।
সেই পার্থক্য নির্ণয়ে নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা একদম সহজবোধ্য। লিখাটিতে সত্যের সমন্বয় অসাধারণ এবং উপভোগ্য মনে হয়েছে। দারুণ মি. নিতাই বাবু।
হ্যা দাদা, জন্মস্থান ছেড়ে আসার পর নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষা রপ্ত করে ফেলেছি। এখন এই ভাষাকেই মায়ের ভাষা বলি।
সুন্দর বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি ভালো থাকবেন।
খুব সুন্দর এক উপলব্ধিকর কাব্যিক কবি দা
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কবি লিটন দাদা।
সাবলিল প্রকাশ।
খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।শুভ কামনা রইলো সুহৃদ।
সাবলিল প্রকাশ। খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।শুভ কামনা রইলো সুহৃদ।