যে নগরীতে চালের মূল্য চুকাতে,
মধ্যবয়সী রিকশাওয়ালার সারা দিনগুজরান,
অল্প ক’দিন আগের জন্মানো বাচ্চাটির ক্ষুধা নিবারণে,
মায়ের সাধের গহনা বেচার আয়োজন।
সেই নগরে অল্প কিছু টাকায় ফুল কিনেছি,
তোমার বেণি করা চুলে-
আলতো ছোঁয়ায় ফুলগুলো গুঁজার বাহানা আমার,
অনুমতি দিবেতো আমায়?
বিধবার বাছাধন এই নগরেই মরে,
হাসপাতালের বিছানায় খসে পড়ছে দেহ-
টাকার বড্ড প্রয়োজন,
তবেই না মুক্তি মিলবে দেহের।
সেই হাসপাতালের ঠিক পাশের পার্কে,
তোমার নিমন্ত্রণ আজ-
দশ টাকার পুরাতন নোটে বাদাম কিনবো-
গল্প বলতে বলতে খাবেতো তুমি?
প্রতিবাদের মিছিলে সামিল হয়ে,
রুইতন নিক্ষিপ্ত অন্ধকার কারাগারে,
বৃদ্ধ বাবার পক্ষে কেউ কথা বলেনি-
তাদের যে টাকার বড্ড অভাব।
কোলাহলপূর্ণ বাজারের ঠিক মাঝখানে,
এক টুকরো কাগজের বুকে তোমার নাম লেখে,
তোমার প্রিয় রঙের কতক বেলুন কিনবো-
আসবে কি তুমি?
এই নগরীর মধ্যবয়সী মহিলার ঘরে,
উন্মাদচিত্তে আদিমতা চলে-
টাকার বড্ড অভাব তার,
ছোট্ট মেয়েটাকে মানুষ বানাবে বলে।
সেই ঘরটার ছায়াগুলো তাড়াতে,
শকুনের চিহ্ন মুছতে-
আমার সবকিছু বেচে দিবো,
তারপরও থাকবে কি তুমি?
পরিচ্ছন্ন সুন্দর একটি কবিতার উপস্থাপন।
অভিনন্দন কবি।
ধন্যবাদ ভাই
অনবদ্য প্রকাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম
ধন্যবাদ ভাই