আমি প্রতিটি পতনের পরে জেগে উঠবো
পৃথিবীর মহাপ্রলয় শেষে
ধ্বংসকে উপেক্ষা করে ধ্বংসের মহাসাগর থেকে বেরিয়ে আসবো।
জেগে উঠবো তোমারই আশায়।
এবং আমি শেষ পর্যন্ত জেগে উঠবো
হার না মানা পৃথিবীর পান্থশালায়
ফিরে আসবো তোমার চলা পথে পথে।
এবং লম্বা হয়ে দাঁড়াব দুর চোখে দেখবো।
এই সুদূর পৃথিবীর শেষ লগ্ন পর্যন্ত।
আমি পৃথিবীর সকল শুধ্যতার উপরে উঠবো
আমি তাবৎ পৃথিবীর মারণ আঘাতকে
ফাঁকি দিয়ে জেগে উঠবো
অবহেলিত আর লাঞ্ছিতগণের মতো।
জেগে উঠবো সূর্যের ইশারা ছুঁইয়ে
অথবা রোজ রাতে চাঁদের ধূসর বরফ ছুঁয়ে
ভেসে উঠবো রূপসী বালুকাবেলায়
জোসনা ভরা নক্ষত্রের সাথে মরুভূমির বুকে
আমি জেগে উঠবো প্রতিটি পতনের পর।
প্রতিটি গল্পের রঙ্গমঞ্চ ভেদ করে
সোনালী রৌদ্রের মতো পৃথিবীর বুক চিরে
ভেসে উঠবো শরীরের রৌদ্র স্নানে।
কোন এক শীতের দিবসে জেগে উঠবো
কাঙ্খিত পথিকবর তোমার হৃদয়ের ওম হয়ে
আমি মহা সমুদ্রের বুকে তুলে ধরবো পাল
বিস্তীর্ণ বিরাণ ভূমি কিংবা মরুভূমির বুকে
ছুটে চলা চাঁদের রাত কিংবা নক্ষত্রে গাঁথা
জীবন গল্পের মতো।
পৃথিবীর বুক চিরে স্মৃতির পরশ-পাথর ছুঁইয়ে
জেগে উঠবো তোমার মনের খোয়াব হয়ে
অলঙ্ঘনীয় স্মৃতি পাঠশালায়
তোমার বুকের মানচিত্রে।
ফুল হয়ে জেগে উঠবো,
ফল হয়ে জেগে উঠবো
জেগে উঠবো, জেগে উঠবো জেগে উঠবো।
জেগে উঠবো অসুস্থতায় ঔষধ হয়ে।
তোমার আঁকা পৃথিবী জুড়ে
জেগে উঠবো জীবনের গল্প নিয়ে।
তোমার ভালোবাসা হয়ে
তোমার বাগানের ভ্রমর হয়ে
নির্ঘুম রাতেঘুম হয়ে তোমার রাজ্যের রাজপুত্র হয়ে।
জেগে উঠবো অসামান্য শূন্যতার মাঝে
পৃথিবীর বুকে ভুল করেও যদি ভুলে যাও
ভুলে যেতে চাও স্মরণ করিয়ে দেবো বারবার
এই অসীম শূন্যতার বুকে কঠিনতম
হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে
মনে করিয়ে দেবো আমাদের জীবনের গল্প
মনে করিয়ে দেব আমাদের অতীত।
জেগে উঠবো মাটির বুক চিরে
জ্যাক অ্যান্ড জায়ানের বৃক্ষের মতো
পালতোলা জাহাজের একদম উচ্চতায়
বারবার উঠবো প্রতিটি পতনের পর
প্রতিটি পতনের পর আমি উঠবো
বেঁচে থাকার প্রয়োজনে নয়, তোমার প্রয়োজনে।
ভালোবাসবো বলে তাই
তোমার আমার ভালোবাসার প্রয়োজনে।
তুমি হয়তো ততদিনে ভুলে যাবে সব
তবে আমি সেখান থেকেই শুরু করব নতুন করে
প্রতিটি ধ্বংসের পরে জেগে উঠবো মহাপ্রলয়ে।
এই অসীম শূন্যতার বুকে কঠিনতম
হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে
মনে করিয়ে দেবো আমাদের জীবনের গল্প
মনে করিয়ে দেব আমাদের অতীত।
অসাধারণ লেখনী ভাইজান।