বৃষ্টি নামে টুপুর টাপুর ……. প্লাবনে ভাসে দুইকুল আমার বর্ষণসিক্ত কবিতা (প্রথম পর্ব)

2

বৃষ্টি নামে টুপুর টাপুর ……. প্লাবনে ভাসে দুইকুল
আমার বর্ষণসিক্ত কবিতা (প্রথম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

বৃষ্টি নামিল টুপুর টাপুর
অজয়ে আসিল বান,
খেয়া পারাপার বন্ধ আজিকে
বাঁধা আছে তরীখান।

জোয়ারের জলে হাসিছে অজয়
ভেসে যায় দুই কূল,
প্লাবনের জলে ভাসে তরুশাখা
ভেসে যায় তরুমূল।

নদীবাঁধ ভেঙে গাঁয়ে ঢুকে জল
চারিদিকে কোলাহল,
ঝড়ো হাওয়ায় নীড় ভেঙে যায়
কাঁপে বিহগের দল।

অশনি ভরা বিজুলির হাসি
অন্ধকার কাল মেঘে,
গুরু গুরু স্বরে গর্জিছে মেঘ
বায়ু বয় দ্রুত বেগে।

আষাঢ়ের মাসে ঝরিছে বাদল
নদীতে বন্যা প্রবল,
প্লাবনের জলে ভাসে গোটা গ্রাম
চারিদিকে শুধ জল।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

1 thought on “বৃষ্টি নামে টুপুর টাপুর ……. প্লাবনে ভাসে দুইকুল আমার বর্ষণসিক্ত কবিতা (প্রথম পর্ব)

  1. জোয়ারের জলে হাসিছে অজয়
    ভেসে যায় দুই কূল,
    প্লাবনের জলে ভাসে তরুশাখা
    ভেসে যায় তরুমূল।  https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।